আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে বিজেপিশাসিত মণিপুরে রাজধানী ইম্ফলসহ কিছু জেলায় ৫ দিনের জন্য মোবাইলে ইন্টারনেট পরিে স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী দু’মাসের জন্য ২টি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলায় গত শনিবার সন্ধ্যায় একটি সম্প্রদায়ের ৩/৪ জন লোক একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার পর জেলায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকার আগামী দু’মাসের জন্য চুরাচাঁদপুর ও বিষ্ণুপুর জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। রাজ্য সরকারের আনা ষষ্ঠ ও সপ্তম সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে মানুষ বিক্ষোভ করছে। পুলিশের মতে, উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখাই তাদের প্রথম অগ্রাধিকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব এইচ জ্ঞান প্রকাশ বলেছেন, কিছু অসামাজিক লোকজন রাজ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আসলে, গত (মঙ্গলবার) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার মণিপুর (পার্বত্য অঞ্চল) জেলা পরিষদ ষষ্ঠ এবং সপ্তম সংশোধনী বিল পেশ করেছিল। আন্দোলনকারীদের মতে, এসব বিল তাদের দাবির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। যার বিরুদ্ধে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন মণিপুর’ বেশ কয়েকদিন ধরে তোলপাড় করছে। গত শনিবার ওই ইস্যুতে তারা রাজধানী ইম্ফলসহ অনেক জেলায় ব্যাপক গোলযোগ সৃষ্টি করেছিল। এ সময়ে বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুলিশ তাদের বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি উপজাতি ছাত্র। একইসঙ্গে ৫ জন উপজাতীয় ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করে তাদের ১৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ওই নেতাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছে ছাত্র সংগঠনটি। এর আগে পার্বত্য অঞ্চলে অবিলম্বে আরও স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে বনধের ডাক দিয়েছিল উপজাতি ছাত্র সংগঠন। মণিপুরের উপজাতি গোষ্ঠীগুলো রাজ্য বিধানসভায় এডিসি (সংশোধনী) বিল-২০২১ পেশ করার দাবি করছে। এই বিলের উদ্দেশ্য হল উপজাতীয় অঞ্চলগুলোকে আরও স্বায়ত্তশাসন দেওয়া। ওই ইস্যুতে গত সপ্তাহে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল এবং তা আরও তীব্র হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।#