ঢাকা ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

সার-তেলের দাম বৃদ্ধি : কৃষিতে পড়বে নেতিবাচক প্রভাব

  • আপডেট সময় : ১১:২০:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ অগাস্ট ২০২২
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

কৃষি ও কৃষক ডেস্ক : সারের দাম বাড়ানোর পরপরই জ্বালানি তেলের দাম বাড়াল সরকার। এতে কৃষিক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষিক্ষেত্রে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে- এমন প্রশ্নে শনিবার বিকেলে তিনি ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান। ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রোপা আমনের জন্য সাপ্লিমেন্টারি ইরিগেশন দরকার। যেহেতু তেলের দাম বেড়েছে, সেহেতু সাপ্লিমেন্টারি ইরিগেশন বাধাগ্রস্ত হবে। তারপর আবার সারের দামও বেড়েছে। মোটামুটিভাবে রোপা আমনের উৎপাদন বিঘিœত হবে ব্যাপক হারে। তিনি বলেন, বোরোর চাষের সময় সার ও তেল বেশি প্রয়োজন। সাপ্লিমেন্টারি ইরিগেশনের ক্ষেত্রে ডিজেলের ওপর নির্ভর নির্ভরতা বেশি। সাপ্লিমেন্টারি ইরিগেশনে বাধাগ্রস্ত হলে উৎপাদনে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ কৃষি অর্থনীতিবিদ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ১০ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানির ব্যবস্থা করেছি। সামনে আরও পাঁচ লাখ টন আমদানির সম্ভাবনা আছে। এটি আরও বেড়ে যাবে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা বিঘিœত হবে এবং আমদানির ওপর নির্ভরতা আরও বেড়ে যাবে। এ বছর হয়তো ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করতে হতে পারে।
তিনি বলেন, পরিবহন খরচ বাড়বে। এর ফলে মার্কেটিং খরচ বেড়ে যাবে। এতে করে ভোক্তা পর্যায়ে দাম অনেক বেড়ে যাবে। তাতে করে ভোক্তারা কম কিনবেন। এর ফলে পরবর্তী উৎপাদনে নেগেটিভ প্রভাব পড়বে। তিনি মনে করেন, তেল ও সারের দাম বাড়ায় এখন উৎপাদন কমবে। এটি আমাদের খাদ্য নিরাপত্তাকে বিঘিœত করবে। আমদানির ওপর নির্ভরতা বেড়ে যাবে এ পরিস্থিতিতে। ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছিল। এখন অবশ্য কমতে শুরু করেছে। কিছুদিন অপেক্ষা করলে ভালো হতো।
সমস্যা সমাধানে কৃষকদেরকে নগদ টাকা সহায়তা দেওয়া দরকার বলেও মনে করেন এ কৃষি অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, এখন কৃষকদের নগদ সহায়তা দেওয়া দরকার। যে ক্ষতি হবে, তা হিসাব করে কৃষকদের নগদ সহায়তা দেওয়া দরকার। কৃষকদের যদি নগদ সহায়তা দেওয়া হয়, তাহলে এর নেতিবাচক প্রভাব অনেকটাই কম হবে। উৎপাদন ধরে রাখতে চাইলে কৃষকদেরকে নগদ সহায়তা দেওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি। শুক্রবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ভোক্তা পর্যায়ে ৩৪ টাকা বাড়ায় সরকার। অকটেনের দাম বাড়ে ৪৬ টাকা, পেট্রোলের দাম বাড়ে ৪৪ টাকা। অর্থাৎ রাত ১২টার পর থেকে ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সার-তেলের দাম বৃদ্ধি : কৃষিতে পড়বে নেতিবাচক প্রভাব

আপডেট সময় : ১১:২০:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ অগাস্ট ২০২২

কৃষি ও কৃষক ডেস্ক : সারের দাম বাড়ানোর পরপরই জ্বালানি তেলের দাম বাড়াল সরকার। এতে কৃষিক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষিক্ষেত্রে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে- এমন প্রশ্নে শনিবার বিকেলে তিনি ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান। ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রোপা আমনের জন্য সাপ্লিমেন্টারি ইরিগেশন দরকার। যেহেতু তেলের দাম বেড়েছে, সেহেতু সাপ্লিমেন্টারি ইরিগেশন বাধাগ্রস্ত হবে। তারপর আবার সারের দামও বেড়েছে। মোটামুটিভাবে রোপা আমনের উৎপাদন বিঘিœত হবে ব্যাপক হারে। তিনি বলেন, বোরোর চাষের সময় সার ও তেল বেশি প্রয়োজন। সাপ্লিমেন্টারি ইরিগেশনের ক্ষেত্রে ডিজেলের ওপর নির্ভর নির্ভরতা বেশি। সাপ্লিমেন্টারি ইরিগেশনে বাধাগ্রস্ত হলে উৎপাদনে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ কৃষি অর্থনীতিবিদ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ১০ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানির ব্যবস্থা করেছি। সামনে আরও পাঁচ লাখ টন আমদানির সম্ভাবনা আছে। এটি আরও বেড়ে যাবে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা বিঘিœত হবে এবং আমদানির ওপর নির্ভরতা আরও বেড়ে যাবে। এ বছর হয়তো ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করতে হতে পারে।
তিনি বলেন, পরিবহন খরচ বাড়বে। এর ফলে মার্কেটিং খরচ বেড়ে যাবে। এতে করে ভোক্তা পর্যায়ে দাম অনেক বেড়ে যাবে। তাতে করে ভোক্তারা কম কিনবেন। এর ফলে পরবর্তী উৎপাদনে নেগেটিভ প্রভাব পড়বে। তিনি মনে করেন, তেল ও সারের দাম বাড়ায় এখন উৎপাদন কমবে। এটি আমাদের খাদ্য নিরাপত্তাকে বিঘিœত করবে। আমদানির ওপর নির্ভরতা বেড়ে যাবে এ পরিস্থিতিতে। ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছিল। এখন অবশ্য কমতে শুরু করেছে। কিছুদিন অপেক্ষা করলে ভালো হতো।
সমস্যা সমাধানে কৃষকদেরকে নগদ টাকা সহায়তা দেওয়া দরকার বলেও মনে করেন এ কৃষি অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, এখন কৃষকদের নগদ সহায়তা দেওয়া দরকার। যে ক্ষতি হবে, তা হিসাব করে কৃষকদের নগদ সহায়তা দেওয়া দরকার। কৃষকদের যদি নগদ সহায়তা দেওয়া হয়, তাহলে এর নেতিবাচক প্রভাব অনেকটাই কম হবে। উৎপাদন ধরে রাখতে চাইলে কৃষকদেরকে নগদ সহায়তা দেওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি। শুক্রবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ভোক্তা পর্যায়ে ৩৪ টাকা বাড়ায় সরকার। অকটেনের দাম বাড়ে ৪৬ টাকা, পেট্রোলের দাম বাড়ে ৪৪ টাকা। অর্থাৎ রাত ১২টার পর থেকে ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে।