ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা হামলার ৭৭ বছর

  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : জাপানের হোনশু দ্বীপে অবস্থিত আধুনিক শহর হিরোশিমা। আজ থেকে ঠিক ৭৭ বছর আগে, ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট, শহরটিতে ঘটে যায় পৃথিবীর ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ঘটনা। শহরটি সেদিন বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক হামলার শিকার হয়। শহরের বাসিন্দারা শনিবার সকালে হামলার ৭৭তম বার্ষিকীতে নিহতদের স্মরণ ও শান্তি কামনা করতে জড়ো হয়। ৬ আগস্ট, ১৯৪৫ সাল, স্থানীয় সময় সকাল ৮:১৫ মিনিট, ইউএস বি-২৯ যুদ্ধবিমান এনোলা গে ‘লিটল বয়’ নামে একটি পারমাণবিক বোমা ফেলে হিরোশিমায়। হামলাটি আনুমানিক ৩ লাখ ৫০ হাজার জনসংখ্যার শহরটিকে ধ্বংস করে দেয়। জীবিতদের মধ্যে অনেকে আহত হয়। আহত এবং তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পরবর্তীতে আরও হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। হিরোশিমায় পারমাণবিক হামলার ঘটনা স্মরণ করে বর্তমান বিশ্বে চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পরিপ্রেক্ষিতে নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতা সম্পর্কে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা হামলায় নিহত ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের স্মরণে শহরের কেন্দ্রস্থলে পিস পার্কে হাজার হাজার বাসিন্দা জড়ো হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেখানে গুতেরেস বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র নির্বুদ্ধিতা। মৃত্যু এবং ধ্বংস ছাড়া এগুলো কোনো নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয় না। এক শতাব্দীর তিন চতুর্থাংশ পরে, আমাদের অবশ্যই প্রশ্ন করতে হবে যে আমরা ১৯৪৫ সালে এই শহরের ওপরে ফুলে ওঠা মাশরুম মেঘ (পারণবিক হামলার পর সৃষ্ট মেঘের মতো ধোঁয়া যার আকৃতি মাশরুমের মতো) থেকে কী শিখেছি।’ হিরোশিমার মেয়র কাজুমি মাতসুই এই বছর অনুষ্ঠানে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানাননি। তিনি ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক পদক্ষেপের সমালোচক ছিলেন। মাতসুই বলেছিলেন, ‘জনগণের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য নির্বাচিত রাশিয়ান নেতা ইউক্রেন আক্রমণ করার সময় তাদেরকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছেন। একটি ভিন্ন দেশে বেসামরিক মানুষের জীবন ও জীবিকা লুট করেছেন। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি বিশ্বজুড়ে শান্তি পারমাণবিক প্রতিরোধের ওপর নির্ভর করে।’ ৬ আগস্ট হিরোশিমায় হামলার পর ৯ আগস্ট আরেক শহর নাগাসাকিতেও মার্কিন সামরিক বাহিনী পারমাণবিক হামলা চালায়। সে হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। জাপান হামলার ছয় দিন পর আত্মসমর্পণ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা হামলার ৭৭ বছর

আপডেট সময় : ১২:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : জাপানের হোনশু দ্বীপে অবস্থিত আধুনিক শহর হিরোশিমা। আজ থেকে ঠিক ৭৭ বছর আগে, ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট, শহরটিতে ঘটে যায় পৃথিবীর ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ঘটনা। শহরটি সেদিন বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক হামলার শিকার হয়। শহরের বাসিন্দারা শনিবার সকালে হামলার ৭৭তম বার্ষিকীতে নিহতদের স্মরণ ও শান্তি কামনা করতে জড়ো হয়। ৬ আগস্ট, ১৯৪৫ সাল, স্থানীয় সময় সকাল ৮:১৫ মিনিট, ইউএস বি-২৯ যুদ্ধবিমান এনোলা গে ‘লিটল বয়’ নামে একটি পারমাণবিক বোমা ফেলে হিরোশিমায়। হামলাটি আনুমানিক ৩ লাখ ৫০ হাজার জনসংখ্যার শহরটিকে ধ্বংস করে দেয়। জীবিতদের মধ্যে অনেকে আহত হয়। আহত এবং তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পরবর্তীতে আরও হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। হিরোশিমায় পারমাণবিক হামলার ঘটনা স্মরণ করে বর্তমান বিশ্বে চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পরিপ্রেক্ষিতে নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতা সম্পর্কে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা হামলায় নিহত ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের স্মরণে শহরের কেন্দ্রস্থলে পিস পার্কে হাজার হাজার বাসিন্দা জড়ো হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেখানে গুতেরেস বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র নির্বুদ্ধিতা। মৃত্যু এবং ধ্বংস ছাড়া এগুলো কোনো নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয় না। এক শতাব্দীর তিন চতুর্থাংশ পরে, আমাদের অবশ্যই প্রশ্ন করতে হবে যে আমরা ১৯৪৫ সালে এই শহরের ওপরে ফুলে ওঠা মাশরুম মেঘ (পারণবিক হামলার পর সৃষ্ট মেঘের মতো ধোঁয়া যার আকৃতি মাশরুমের মতো) থেকে কী শিখেছি।’ হিরোশিমার মেয়র কাজুমি মাতসুই এই বছর অনুষ্ঠানে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানাননি। তিনি ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক পদক্ষেপের সমালোচক ছিলেন। মাতসুই বলেছিলেন, ‘জনগণের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য নির্বাচিত রাশিয়ান নেতা ইউক্রেন আক্রমণ করার সময় তাদেরকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছেন। একটি ভিন্ন দেশে বেসামরিক মানুষের জীবন ও জীবিকা লুট করেছেন। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি বিশ্বজুড়ে শান্তি পারমাণবিক প্রতিরোধের ওপর নির্ভর করে।’ ৬ আগস্ট হিরোশিমায় হামলার পর ৯ আগস্ট আরেক শহর নাগাসাকিতেও মার্কিন সামরিক বাহিনী পারমাণবিক হামলা চালায়। সে হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। জাপান হামলার ছয় দিন পর আত্মসমর্পণ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটায়।