ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

চুক্তি সফল করতে ওপেক প্লাসে রাশিয়ার সদস্যপদ গুরুত্বপূর্ণ

  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

রয়টার্স : চুক্তির সাফল্যের জন্য ওপেক প্লাসে রাশিয়ার সদস্যপদ অত্যাবশ্যক বলে মন্তব্য করেছেন ওপেকের নতুন মহাসচিব হাইথাম আল-গাইস। রবিবার কুয়েতের আলরাই সংবাদপত্রে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি বলেছিলেন ওপেক রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেই। দেশটিকে বিশ্ব শক্তি মানচিত্রে একটি বড়, প্রধান এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী খেলোয়াড় বলেও অভিহিত করেন তিনি। ওপেক+ হলো অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) এবং রাশিয়ার নেতৃত্বে মিত্রদের একটি জোট। কুয়েতের প্রাক্তন ওপেক গভর্নর আল-গাইস ৩ আগস্ট তার প্রথম ওপেক প্লাস বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন। বৈঠকে সরবরাহ বাড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরের জন্য তেলের উৎপাদন অপরিবর্তিত রাখার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। আল-গাইসের বরাত দিয়ে আলরাই জানিয়েছে, ওপেক তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করে না, তবে এটি তেলের বাজারের বর্তমান অবস্থাকে ‘খুবই অস্থির এবং অশান্ত’ হিসাবে বর্ণনা করে সরবরাহ এবং চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বাজারকে সুরক্ষিত করার চেষ্টা করে। সম্প্রতি তেলের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি এখনও জোর দিয়ে বলছি, তেলের দামের সাম্প্রতিক বৃদ্ধি শুধুমাত্র রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। সমস্ত তথ্য এটাই নিশ্চিত করে, রাশিয়া-ইউক্রেন সম্পর্ক উন্নয়নের প্রাদুর্ভাবের আগেই তেলের মূল্য ধীরে ধীরে এবং ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়তে শুরু করে। কারণ বাজারে প্রচলিত ধারণা ছিল অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে।
২০০৮ সালের পর এবারই ২০২২ সালে তেলের দাম সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ, রাশিয়ার ওপর ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর গত মার্চ মাসে ব্যারেল প্রতি তেলের মূল্য ১৩৯ ডলার ছাড়িয়েছে। বর্তমানে সেটা ১০৮ ডলারে নেমে এসেছে। কারণ ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং উচ্চ সুদের হার মন্দার আশঙ্কা তৈরি করে যা চাহিদা হ্রাস করবে। বছরের শেষ নাগাদ তেলের দামকে প্রভাবিত করবে এমন কারণ সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে, আল-গাইস বলেছেন, ‘আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণটি হবে খনন, অনুসন্ধান এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অব্যাহত অভাব। কারণ এটি দামকে ঊর্ধ্বমুখী ঠেলে দেবে। তবে তারা কোন স্তরে পৌঁছাবে তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চুক্তি সফল করতে ওপেক প্লাসে রাশিয়ার সদস্যপদ গুরুত্বপূর্ণ

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২

রয়টার্স : চুক্তির সাফল্যের জন্য ওপেক প্লাসে রাশিয়ার সদস্যপদ অত্যাবশ্যক বলে মন্তব্য করেছেন ওপেকের নতুন মহাসচিব হাইথাম আল-গাইস। রবিবার কুয়েতের আলরাই সংবাদপত্রে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি বলেছিলেন ওপেক রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেই। দেশটিকে বিশ্ব শক্তি মানচিত্রে একটি বড়, প্রধান এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী খেলোয়াড় বলেও অভিহিত করেন তিনি। ওপেক+ হলো অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) এবং রাশিয়ার নেতৃত্বে মিত্রদের একটি জোট। কুয়েতের প্রাক্তন ওপেক গভর্নর আল-গাইস ৩ আগস্ট তার প্রথম ওপেক প্লাস বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন। বৈঠকে সরবরাহ বাড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরের জন্য তেলের উৎপাদন অপরিবর্তিত রাখার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। আল-গাইসের বরাত দিয়ে আলরাই জানিয়েছে, ওপেক তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করে না, তবে এটি তেলের বাজারের বর্তমান অবস্থাকে ‘খুবই অস্থির এবং অশান্ত’ হিসাবে বর্ণনা করে সরবরাহ এবং চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বাজারকে সুরক্ষিত করার চেষ্টা করে। সম্প্রতি তেলের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি এখনও জোর দিয়ে বলছি, তেলের দামের সাম্প্রতিক বৃদ্ধি শুধুমাত্র রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। সমস্ত তথ্য এটাই নিশ্চিত করে, রাশিয়া-ইউক্রেন সম্পর্ক উন্নয়নের প্রাদুর্ভাবের আগেই তেলের মূল্য ধীরে ধীরে এবং ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়তে শুরু করে। কারণ বাজারে প্রচলিত ধারণা ছিল অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে।
২০০৮ সালের পর এবারই ২০২২ সালে তেলের দাম সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ, রাশিয়ার ওপর ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর গত মার্চ মাসে ব্যারেল প্রতি তেলের মূল্য ১৩৯ ডলার ছাড়িয়েছে। বর্তমানে সেটা ১০৮ ডলারে নেমে এসেছে। কারণ ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং উচ্চ সুদের হার মন্দার আশঙ্কা তৈরি করে যা চাহিদা হ্রাস করবে। বছরের শেষ নাগাদ তেলের দামকে প্রভাবিত করবে এমন কারণ সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে, আল-গাইস বলেছেন, ‘আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণটি হবে খনন, অনুসন্ধান এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অব্যাহত অভাব। কারণ এটি দামকে ঊর্ধ্বমুখী ঠেলে দেবে। তবে তারা কোন স্তরে পৌঁছাবে তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।’