ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

রাজধানীতে তেল কম দেওয়ার অভিযোগ, ডিপোর সামনে অবস্থান যুবকের

  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাপে তেল কম দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর কল্যাণপুরে ডিপোর সামনে অবস্থান করেছেন এক যুবক। তাঁর নাম শেখ ইসতিয়াক আহমেদ। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। ইসতিয়াক জানান, তাঁর বাসা শ্যামলীর আদাবরে। সেখান থেকে সকাল ১০টার দিকে মিরপুরের বিআরটিএ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে ৪ নম্বর দক্ষিণ কল্যাণপুরের সোহরাব সার্ভিস স্টেশন থেকে ৫০০ টাকার অকটেন নেন।
ইসতিয়াকের অভিযোগ, সামনে মিটার থাকলেও তেল সরবরাহকারী আকাশ তাঁকে পিছে আসতে বলেন। এতে তিনি গাছের আড়ালে পড়লে তাঁকে তেল দেওয়া হয়। তিনি বুঝতে পারেন, তাঁকে তেল দিতে কারসাজি করা হয়েছে। ৫০০ টাকার ভাউচার পেলেও তেল পাননি। ইশতিয়াক জানান, তাঁর মোটরসাইকেলে রিজার্ভেও তেল ছিল না। তাই তিনি ডিপো কর্তৃপক্ষকে মোটরসাইকেল থেকে তেল বের করে মাপার কথা বলেন। কিন্তু তারা তাঁর দাবিকে পাত্তা দেয়নি। এরপর বেলা ১১টা থেকে ‘সঠিক পরিমাণে তেল চাই’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করেন। বেলা দুইটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন।
সোহরাব সার্ভিস স্টেশনের ম্যানেজার সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তাঁরা তিন মাস থেকে ডিপো চালাচ্ছেন। ফলে ডিপোর পুরোনা কর্মচারীরা রয়ে গেছেন। তাঁদের একজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে ইসতিয়াক বলেন, তিনি সেখানে অবস্থান নিলে ডিপোর দুই-একজন লোক এসে তাঁর বাইকের ট্যাংকি ভরে তেল দেওয়ার প্রলোভন দেখান। কিন্তু তিনি সেটা চান না। তাঁর দাবি, দীর্ঘদিনের এই অনিয়ম বন্ধ হোক। ইসতিয়াক ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাজধানীতে তেল কম দেওয়ার অভিযোগ, ডিপোর সামনে অবস্থান যুবকের

আপডেট সময় : ১২:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাপে তেল কম দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর কল্যাণপুরে ডিপোর সামনে অবস্থান করেছেন এক যুবক। তাঁর নাম শেখ ইসতিয়াক আহমেদ। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। ইসতিয়াক জানান, তাঁর বাসা শ্যামলীর আদাবরে। সেখান থেকে সকাল ১০টার দিকে মিরপুরের বিআরটিএ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে ৪ নম্বর দক্ষিণ কল্যাণপুরের সোহরাব সার্ভিস স্টেশন থেকে ৫০০ টাকার অকটেন নেন।
ইসতিয়াকের অভিযোগ, সামনে মিটার থাকলেও তেল সরবরাহকারী আকাশ তাঁকে পিছে আসতে বলেন। এতে তিনি গাছের আড়ালে পড়লে তাঁকে তেল দেওয়া হয়। তিনি বুঝতে পারেন, তাঁকে তেল দিতে কারসাজি করা হয়েছে। ৫০০ টাকার ভাউচার পেলেও তেল পাননি। ইশতিয়াক জানান, তাঁর মোটরসাইকেলে রিজার্ভেও তেল ছিল না। তাই তিনি ডিপো কর্তৃপক্ষকে মোটরসাইকেল থেকে তেল বের করে মাপার কথা বলেন। কিন্তু তারা তাঁর দাবিকে পাত্তা দেয়নি। এরপর বেলা ১১টা থেকে ‘সঠিক পরিমাণে তেল চাই’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করেন। বেলা দুইটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন।
সোহরাব সার্ভিস স্টেশনের ম্যানেজার সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তাঁরা তিন মাস থেকে ডিপো চালাচ্ছেন। ফলে ডিপোর পুরোনা কর্মচারীরা রয়ে গেছেন। তাঁদের একজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে ইসতিয়াক বলেন, তিনি সেখানে অবস্থান নিলে ডিপোর দুই-একজন লোক এসে তাঁর বাইকের ট্যাংকি ভরে তেল দেওয়ার প্রলোভন দেখান। কিন্তু তিনি সেটা চান না। তাঁর দাবি, দীর্ঘদিনের এই অনিয়ম বন্ধ হোক। ইসতিয়াক ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।