ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

ছাত্রলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে অচল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : ছাত্রলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে গত রোববার (৩১ জুলাই) রাত থেকেই অচল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ক্যাম্পাসে অচলাবস্থার ১৪ ঘণ্টা পেরোলেও কোনও পদক্ষেপ নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। স্থগিত করতে হয়েছে ক্লাস-পরীক্ষাও।
গতকাল সোমবার দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টের মূল ফটক অবরোধ করে বসে আছেন পদবঞ্চিত কর্মীরা। ফটকে ঝুলছে তালা। পাশেই পুলিশবক্সে অলস সময় কাটাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা কয়েক দফা ঘুরে গেলেও কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, আন্দোলনের কারণে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, স্পোর্টস সায়েন্স, মেরিন সায়েন্স ও ফাইন্যান্স বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের বাইরে হওয়ায় একমাত্র চারুকলা ইনস্টিটিউট পরীক্ষা নিতে পেরেছে। ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমীর মুহাম্মদ মুছা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রোববার মধ্যরাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করা হয়। ফলে ভোর থেকেই শিক্ষক বহনকারী কোনও বাস শহরের উদ্দেশ্যে যেতে পারেনি। সকালে ঝাউতলা স্টেশন থেকে শাটল ট্রেনের দুই লোকো মাস্টার ও একজন গার্ডকে অপহরণ করা হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও শাটল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের একাংশের ক্ষোভের মুখে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা। চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ পড়ে আছে। কোনও পদক্ষেপও নিচ্ছে না প্রশাসন। সামনে আমাদের পরীক্ষা শুরু হবে। এভাবে সময় নষ্ট করতে তো আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসিনি।’
রাসেল মোহাম্মদ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ছোট ছোট ঘটনাতেও বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধ করা হয়। এতে আমাদের দোষ কী? পরীক্ষা দিতে এসে এখন ফিরে যেতে হচ্ছে আমাদের।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলছি।’ এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের ৩৭৬ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপরই বিক্ষোভ শুরু করেন পদবঞ্চিতরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ছাত্রলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে অচল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট সময় : ১২:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : ছাত্রলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে গত রোববার (৩১ জুলাই) রাত থেকেই অচল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ক্যাম্পাসে অচলাবস্থার ১৪ ঘণ্টা পেরোলেও কোনও পদক্ষেপ নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। স্থগিত করতে হয়েছে ক্লাস-পরীক্ষাও।
গতকাল সোমবার দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টের মূল ফটক অবরোধ করে বসে আছেন পদবঞ্চিত কর্মীরা। ফটকে ঝুলছে তালা। পাশেই পুলিশবক্সে অলস সময় কাটাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা কয়েক দফা ঘুরে গেলেও কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, আন্দোলনের কারণে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, স্পোর্টস সায়েন্স, মেরিন সায়েন্স ও ফাইন্যান্স বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের বাইরে হওয়ায় একমাত্র চারুকলা ইনস্টিটিউট পরীক্ষা নিতে পেরেছে। ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমীর মুহাম্মদ মুছা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রোববার মধ্যরাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করা হয়। ফলে ভোর থেকেই শিক্ষক বহনকারী কোনও বাস শহরের উদ্দেশ্যে যেতে পারেনি। সকালে ঝাউতলা স্টেশন থেকে শাটল ট্রেনের দুই লোকো মাস্টার ও একজন গার্ডকে অপহরণ করা হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও শাটল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের একাংশের ক্ষোভের মুখে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা। চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ পড়ে আছে। কোনও পদক্ষেপও নিচ্ছে না প্রশাসন। সামনে আমাদের পরীক্ষা শুরু হবে। এভাবে সময় নষ্ট করতে তো আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসিনি।’
রাসেল মোহাম্মদ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ছোট ছোট ঘটনাতেও বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধ করা হয়। এতে আমাদের দোষ কী? পরীক্ষা দিতে এসে এখন ফিরে যেতে হচ্ছে আমাদের।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলছি।’ এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের ৩৭৬ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপরই বিক্ষোভ শুরু করেন পদবঞ্চিতরা।