ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

  • আপডেট সময় : ০১:১৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

আল জাজিরা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওই শহরের গভর্নর ওলেকসি কুলেবা জানিয়েছেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র সেখানকার বহু অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে। খবর আল জাজিরার। টেলিগ্রামের এক পোস্টে ওলেকসি কুলেবা লিখেছেন, আজ সকালে (বৃহস্পতিবার) ভিশগরোদ জেলায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে শত্রুরা (রুশ বাহিনী)। তবে এসব হামলায় হতাহতের বিষয়টি এখনও পরিস্কার নয়। ঘটনাস্থলে সব ধরনের জরুরি সেবা কর্মীরা কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। যুদ্ধ-সংঘাতে প্রায় ৪০ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত দুপক্ষেরই বহু সেনা হতাহত হয়েছে। এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, এই সংখ্যা (রুশ সেনা নিহত) এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার। সংঘাত শুরুর পর থেকে রুশ সেনারা বহু বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ আহত ও পঙ্গু হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫৮ শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ৬৮৪ জনের বেশি শিশ
এদিকে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাওয়ার প্ল্যান্ট রুশ সেনারা দখল করেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্টোভিচ। বুধবার (২৭ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানান। এর আগে রুশ বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের কয়লাচালিত ভুলেহিরস্ক প্লান্ট দখল করে।
ওলেক্সি আরেস্টোভিচ জানান, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় তিন অঞ্চলে ব্যাপক সেনা বাড়িয়েছে রাশিয়া। আর এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে তারা কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা বলেন, ভুলেহিরস্ক শহরটির পাওয়ার প্ল্যান্ট দখলে নিয়ে তারা একটি ছোট কৌশলগত সুবিধা অর্জন করেছে। আরেস্টোভিচের মতে, রাশিয়া কৌশলগত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় চলে যাচ্ছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব দোনেৎস্ক শিল্প অঞ্চলে ইউক্রেনের শক্তি দুর্বল করার জন্য কৌশলগত আক্রমণ ব্যবহার করছে। এদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহর দখলের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। এই শহরটি যুদ্ধ শুরুর দিকে দখল করে রাশিয়া। ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সচিব অলেক্সি ড্যানিলভ একটি টুইট বার্তায় বলেন, রাশিয়া খেরসনের দিকে সর্বোচ্চ সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করেছে। পাশাপাশি মেলিতোপল এবং জাপোরিঝিয়াতেও সেনা বাড়াচ্ছে তারা। খেরসনের ডিনিপ্রো নদীর ওপরে একটি ব্রিজ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের সেনারা। রাশিয়ান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা পন্টুন ব্রিজ এবং ফেরি দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক নারীকে দুই ভাই বিয়ে করে বললেন- আমরা গর্বিত

কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

আপডেট সময় : ০১:১৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

আল জাজিরা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওই শহরের গভর্নর ওলেকসি কুলেবা জানিয়েছেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র সেখানকার বহু অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে। খবর আল জাজিরার। টেলিগ্রামের এক পোস্টে ওলেকসি কুলেবা লিখেছেন, আজ সকালে (বৃহস্পতিবার) ভিশগরোদ জেলায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে শত্রুরা (রুশ বাহিনী)। তবে এসব হামলায় হতাহতের বিষয়টি এখনও পরিস্কার নয়। ঘটনাস্থলে সব ধরনের জরুরি সেবা কর্মীরা কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। যুদ্ধ-সংঘাতে প্রায় ৪০ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত দুপক্ষেরই বহু সেনা হতাহত হয়েছে। এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, এই সংখ্যা (রুশ সেনা নিহত) এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার। সংঘাত শুরুর পর থেকে রুশ সেনারা বহু বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ আহত ও পঙ্গু হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫৮ শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ৬৮৪ জনের বেশি শিশ
এদিকে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাওয়ার প্ল্যান্ট রুশ সেনারা দখল করেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্টোভিচ। বুধবার (২৭ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানান। এর আগে রুশ বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের কয়লাচালিত ভুলেহিরস্ক প্লান্ট দখল করে।
ওলেক্সি আরেস্টোভিচ জানান, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় তিন অঞ্চলে ব্যাপক সেনা বাড়িয়েছে রাশিয়া। আর এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে তারা কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা বলেন, ভুলেহিরস্ক শহরটির পাওয়ার প্ল্যান্ট দখলে নিয়ে তারা একটি ছোট কৌশলগত সুবিধা অর্জন করেছে। আরেস্টোভিচের মতে, রাশিয়া কৌশলগত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় চলে যাচ্ছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব দোনেৎস্ক শিল্প অঞ্চলে ইউক্রেনের শক্তি দুর্বল করার জন্য কৌশলগত আক্রমণ ব্যবহার করছে। এদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহর দখলের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। এই শহরটি যুদ্ধ শুরুর দিকে দখল করে রাশিয়া। ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সচিব অলেক্সি ড্যানিলভ একটি টুইট বার্তায় বলেন, রাশিয়া খেরসনের দিকে সর্বোচ্চ সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করেছে। পাশাপাশি মেলিতোপল এবং জাপোরিঝিয়াতেও সেনা বাড়াচ্ছে তারা। খেরসনের ডিনিপ্রো নদীর ওপরে একটি ব্রিজ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের সেনারা। রাশিয়ান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা পন্টুন ব্রিজ এবং ফেরি দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করবে।