ঢাকা ০১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

পানিতে ডুবে ‘প্রতিটি মৃত্যুই প্রতিরোধযোগ্য’

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

আফ্রিদা জাহিন : বাংলাদেশে বছরে ১৪ হাজারেরও বেশি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ। ‘বিশ্ব পানিতে ডোবা প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষ্যে গত সোমবার এক বিবৃতিতে এটি বলে জাতিসংঘের এই দুই সংস্থা। বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ পানিতে ডুবে যাওয়া। এটি একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে সরকার, উন্নয়ন সহযোগী ও সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থা দুটি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, “বাংলাদেশে প্রতিবছর পানিতে ডুবে এত মানুষ প্রাণ হারায়, এটি হৃদয়বিদারক। আমরা জানি যে এসব মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং প্রতিটি শিশুর ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যক্তি, কমিউনিটি ও সরকারের প্রতি আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর পানিতে ডুবে দুই লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। প্রতি ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টি ঘটে নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে— যেখানে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। বাংলাদেশে যেখানে প্রতিবছর বন্যার কারণে স্থলভূমির বিশাল একটি অংশ তলিয়ে যায়, সেখানে সচেতনতা ও সাঁতারে দক্ষতার অভাব জীবনের জন্য হুমকি হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে। গ্রামীণ এলাকার শিশুরা, যারা জলাশয়ের আশপাশে বেড়ে ওঠে, তারাও প্রতিদিন পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বারদান জং রানা বলেন, “পানিতে ডুবে যাওয়া একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ এবং বিশ্বব্যাপী দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ।”
ইউনিসেফ বলছে, খুব সহজেই পানিতে ডুবে যাওয়া রোধ করা যায়। পরিবার ও কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সাঁতারে দক্ষ করে তোলা, প্রাক-স্কুলের শিশুদের জন্য শিশুযতœ কেন্দ্রের সুবিধা নিশ্চিত করা এবং জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও বিনিয়োগ এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: রংপুর। সৌজন্যে : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক বিভাগ ‘হ্যালো’।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পানিতে ডুবে ‘প্রতিটি মৃত্যুই প্রতিরোধযোগ্য’

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২

আফ্রিদা জাহিন : বাংলাদেশে বছরে ১৪ হাজারেরও বেশি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ। ‘বিশ্ব পানিতে ডোবা প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষ্যে গত সোমবার এক বিবৃতিতে এটি বলে জাতিসংঘের এই দুই সংস্থা। বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ পানিতে ডুবে যাওয়া। এটি একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে সরকার, উন্নয়ন সহযোগী ও সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থা দুটি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, “বাংলাদেশে প্রতিবছর পানিতে ডুবে এত মানুষ প্রাণ হারায়, এটি হৃদয়বিদারক। আমরা জানি যে এসব মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং প্রতিটি শিশুর ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যক্তি, কমিউনিটি ও সরকারের প্রতি আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর পানিতে ডুবে দুই লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। প্রতি ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টি ঘটে নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে— যেখানে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। বাংলাদেশে যেখানে প্রতিবছর বন্যার কারণে স্থলভূমির বিশাল একটি অংশ তলিয়ে যায়, সেখানে সচেতনতা ও সাঁতারে দক্ষতার অভাব জীবনের জন্য হুমকি হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে। গ্রামীণ এলাকার শিশুরা, যারা জলাশয়ের আশপাশে বেড়ে ওঠে, তারাও প্রতিদিন পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বারদান জং রানা বলেন, “পানিতে ডুবে যাওয়া একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ এবং বিশ্বব্যাপী দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ।”
ইউনিসেফ বলছে, খুব সহজেই পানিতে ডুবে যাওয়া রোধ করা যায়। পরিবার ও কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সাঁতারে দক্ষ করে তোলা, প্রাক-স্কুলের শিশুদের জন্য শিশুযতœ কেন্দ্রের সুবিধা নিশ্চিত করা এবং জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও বিনিয়োগ এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: রংপুর। সৌজন্যে : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক বিভাগ ‘হ্যালো’।