ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বাবা দিবস আজ

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিশ^ বাবা দিবস আজ। বাবার প্রতি ভালোবাসা জানাতে সারা বিশ্বেই পালিত হচ্ছে দিনটি। প্রতিটি মানুষের জীবনে তাদের মা-বাবাই সবচেয়ে আপনজন। তাদের ভালোবাসায় বেড়ে ওঠে সন্তানেরা। মায়ের সঙ্গেই সন্তানদের সম্পর্ক গভীর হয়। উপমহাদেশে দেখা যায়, বাবার সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব থাকে সন্তানদের। কিন্তু তাই বলে বাবার ভালোবাসা কম নয়। তিনি তার সারাটি জীবন ব্যয় করেন সন্তানদের পেছনে, পরিবারের পেছনে। সেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই দেশে দেশে পালিত হয় দিনটি। জুন মাসের তৃতীয় রোববার প্রতি বছর বিশ্বের ১১১টি দেশে পালিত হয় বাবা দিবস। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকেই দিবসটি পালন করা শুরু হয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ সেপ্টেম্বরের প্রথম রোববার বাবা দিবস পালন করে থাকে।
এ বছর করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধির কারণে বাবা দিবসে ঘটা করে আয়োজন না থাকলেও প্রতিটি পরিবারই নিজেদের মতো করে পালন করছে দিনটি। সম্মান জানাবে তাদের বাবাকে।
বাবা দিবসের শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় চার্চের মাধ্যমে দিনটির প্রচলন। অন্যরা বলেন, ওয়াশিংটনের ভ্যাংকুবারে প্রথম বাবা দিবস পালন করা হয়। তবে সাধারণ মত, বাবা দিবসের প্রবক্তা সোনার স্মার্ট ডোড। যখন তার বয়স ১৬, তখন তার মা ষষ্ঠ সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। পরিবারে সোনারই ছিলেন একমাত্র কন্যা। পূর্ব ওয়াশিংটনের এক গ্রামের ফার্মে এরপর থেকে ডোডের বাবা নবজাতকসহ পাঁচটি সন্তান মানুষ করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। সোনার বড় হওয়ার পর অনুভব করলেন, ছয়টি সন্তান একা একা মানুষ করতে কী ভীষণ পরিশ্রমই না তার বাবাকে করতে হয়েছে। উইলিয়াম তার মেয়ের চোখে ছিলেন সাহসী, নিঃস্বার্থ একজন ভালো বাবা, যিনি সন্তানদের জন্য নিজের সব সুখ-শখ, আহ্লাদ বিসর্জন দিয়েছিলেন। সোনার স্মার্ট বিয়ে করেন জন ব্রোস ডোডকে। তাদের সন্তান জ্যাক ডোড জন্মের কিছুকাল পরে সোনারের স্বামীও মারা যান। এ অবস্থায় বাবা আর মেয়েতে মিলেই পুরো জীবন পার করে দেন তারা।
বাবার প্রতি সম্মান জানাতে ‘বাবা দিবস’ ঘোষণার বিষয়টি সোনারের চিন্তায় আসে ১৯০৯ সালে। ‘মা দিবস’-এর অনুষ্ঠানে সে বছর চার্চে যান সোনার ডোড। অনুষ্ঠানে এসেই তার মনে হয় মা দিবসের মতো বাবাদের জন্যও একটি দিবস করা প্রয়োজন, যেখানে মায়েদের মতো বাবাদেরও সম্মান জানানো হবে। প্রকাশ করা হবে ভালোবাসা। যুক্তরাষ্ট্রের স্পোকেন মন্ত্রিসভার কাছে তিনি তার পিতার জন্মদিন ৫ জুনকে বিশ্ব বাবা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব পাঠান। তার প্রস্তাবের প্রশংসা করলেও মন্ত্রিসভা ৫ জুনকে বাবা দিবস ঘোষণা করতে রাজি হয়নি। তারা জুন মাসের তৃতীয় রোববার বাবা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। একটি স্থানীয় পত্রিকা সেদিন ছুটি ঘোষণা করে এবং বিভিন্ন দোকানি বাবাদের জন্য নানা রকমের উপহারসামগ্রীর পসরা সাজিয়ে রাখেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাবা দিবস আজ

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিশ^ বাবা দিবস আজ। বাবার প্রতি ভালোবাসা জানাতে সারা বিশ্বেই পালিত হচ্ছে দিনটি। প্রতিটি মানুষের জীবনে তাদের মা-বাবাই সবচেয়ে আপনজন। তাদের ভালোবাসায় বেড়ে ওঠে সন্তানেরা। মায়ের সঙ্গেই সন্তানদের সম্পর্ক গভীর হয়। উপমহাদেশে দেখা যায়, বাবার সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব থাকে সন্তানদের। কিন্তু তাই বলে বাবার ভালোবাসা কম নয়। তিনি তার সারাটি জীবন ব্যয় করেন সন্তানদের পেছনে, পরিবারের পেছনে। সেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই দেশে দেশে পালিত হয় দিনটি। জুন মাসের তৃতীয় রোববার প্রতি বছর বিশ্বের ১১১টি দেশে পালিত হয় বাবা দিবস। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকেই দিবসটি পালন করা শুরু হয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ সেপ্টেম্বরের প্রথম রোববার বাবা দিবস পালন করে থাকে।
এ বছর করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধির কারণে বাবা দিবসে ঘটা করে আয়োজন না থাকলেও প্রতিটি পরিবারই নিজেদের মতো করে পালন করছে দিনটি। সম্মান জানাবে তাদের বাবাকে।
বাবা দিবসের শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় চার্চের মাধ্যমে দিনটির প্রচলন। অন্যরা বলেন, ওয়াশিংটনের ভ্যাংকুবারে প্রথম বাবা দিবস পালন করা হয়। তবে সাধারণ মত, বাবা দিবসের প্রবক্তা সোনার স্মার্ট ডোড। যখন তার বয়স ১৬, তখন তার মা ষষ্ঠ সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। পরিবারে সোনারই ছিলেন একমাত্র কন্যা। পূর্ব ওয়াশিংটনের এক গ্রামের ফার্মে এরপর থেকে ডোডের বাবা নবজাতকসহ পাঁচটি সন্তান মানুষ করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। সোনার বড় হওয়ার পর অনুভব করলেন, ছয়টি সন্তান একা একা মানুষ করতে কী ভীষণ পরিশ্রমই না তার বাবাকে করতে হয়েছে। উইলিয়াম তার মেয়ের চোখে ছিলেন সাহসী, নিঃস্বার্থ একজন ভালো বাবা, যিনি সন্তানদের জন্য নিজের সব সুখ-শখ, আহ্লাদ বিসর্জন দিয়েছিলেন। সোনার স্মার্ট বিয়ে করেন জন ব্রোস ডোডকে। তাদের সন্তান জ্যাক ডোড জন্মের কিছুকাল পরে সোনারের স্বামীও মারা যান। এ অবস্থায় বাবা আর মেয়েতে মিলেই পুরো জীবন পার করে দেন তারা।
বাবার প্রতি সম্মান জানাতে ‘বাবা দিবস’ ঘোষণার বিষয়টি সোনারের চিন্তায় আসে ১৯০৯ সালে। ‘মা দিবস’-এর অনুষ্ঠানে সে বছর চার্চে যান সোনার ডোড। অনুষ্ঠানে এসেই তার মনে হয় মা দিবসের মতো বাবাদের জন্যও একটি দিবস করা প্রয়োজন, যেখানে মায়েদের মতো বাবাদেরও সম্মান জানানো হবে। প্রকাশ করা হবে ভালোবাসা। যুক্তরাষ্ট্রের স্পোকেন মন্ত্রিসভার কাছে তিনি তার পিতার জন্মদিন ৫ জুনকে বিশ্ব বাবা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব পাঠান। তার প্রস্তাবের প্রশংসা করলেও মন্ত্রিসভা ৫ জুনকে বাবা দিবস ঘোষণা করতে রাজি হয়নি। তারা জুন মাসের তৃতীয় রোববার বাবা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। একটি স্থানীয় পত্রিকা সেদিন ছুটি ঘোষণা করে এবং বিভিন্ন দোকানি বাবাদের জন্য নানা রকমের উপহারসামগ্রীর পসরা সাজিয়ে রাখেন।