ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

একজনের সাফল্য যেন আরেকজন উপভোগ করি : সোহান

  • আপডেট সময় : ১০:২৩:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : মাত্র এক সিরিজের জন্য নেতৃত্ব, তাই খুব বেশি দূরে তাকানোর সুযোগ নেই। তা করছেনও না নুরুল হাসান সোহান। বাংলাদেশের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের চোখ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই। ছোট্ট এই সিরিজেই নিজের ছাপ রাখতে চান সোহান। গড়ে তুলতে চান এমন মানসিকতা যেখানে, দলের একজনের সাফল্য উপভোগ করবেন অন্য সবাই।
আগের চেয়ে গত বছর দুয়েক ধরে দলের সংস্কৃতিতে অনেক পরিবর্তন চোখে পড়েছে সোহানের। ২৮ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটসম্যান, ধরে রাখতে চান উন্নতির ধারা। টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব পাওয়ার পর রোববার প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সোহান। নেতৃত্ব পাওয়ার রোমাঞ্চে ভেসে না গিয়ে তার মনোযোগ দলকে ঐক্যবদ্ধ করার দিকে। “ঘরোয়া ক্রিকেটে যখনই অধিনায়কত্ব করেছি, সব সময় আমার মাথায় একটাই চিন্তা থাকে, সব সময় চাই যেন দল হিসেবে খেলতে পারি। আমি চাই, জিম্বাবুয়েতেও যেন দল হিসেবে খেলতে পারি এবং মূল ব্যাপার হলো, দলের পরিবেশ যেন ভালো থাকে। সবাই তো প্রতিদিন পারফর্ম করবে না, আমরা দলের সদস্য যারা থাকব, একজনের সাফল্েয যেন আরেকজন উপভোগ করি। আমার কাছে মনে হয় এই সংস্কৃতিটা ও দল হিসেবে খেলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।” টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ আটকে আছে ব্যর্থতার বৃত্তে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর তিন সিরিজে আট ম্যাচ খেলে জয় কেবল একটি। এক সিরিজেই তো সব আমূল পাল্টে দেওয়া সম্ভব নয়, সেই চেষ্টাতেও যাচ্ছেন না সোহান। তবে জিম্বাবুয়েতে উন্নতি ছাপ দেখাতে চান তিনি।
“টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে আমরা ওয়ানডের তুলনায় পিছিয়ে আছি। তো আমার কাছে মনে হয়, উন্নতি করাটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেই চেষ্টা করছি। আমার কাছে মনে হয়, আউটকামের চেয়ে প্রসেস খুব গুরুত্বপূর্ণ। তো আমরা সেই চেষ্টাই করব। আমার কাছে এই সিরিজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যেটা মনে হচ্ছে, সেটা হচ্ছে একটা দল হিসেবে খেলা।” টি-টোয়েন্টিতে দলের সঙ্গে মানানসই ব্যাটিং কোনটা সেটা যেন এখনও ঠিক করে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ। সোহান নিজে যে ব্যাটিং করেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজে সেটাই দেখতে চাইলেন সতীর্থদের কাছ থেকে। অধিনায়ক মনে করেন, এতে খুলে যেতে পারে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। “আমার মনে হয়, ভীতিহীন ক্রিকেট খেলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে, সেটা যেন করতে পারি। ফল নিয়ে আগে থেকে চিন্তা করলে অনেক সময় প্রক্রিয়া ঠিক থাকে না। প্রক্রিয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফল নিয়ে খুব বেশি কিছু চিন্তা করছি না। ভীতিহীন ক্রিকেট খেললে ইতিবাচক কিছু হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।” “আপনি যখন ফিয়ারলেস থাকবেন, তখন অনেক অপশন বেরিয়ে আসবে। যখন মনের ভেতর কিছু নিয়ে ভয় কাজ করবে তখন অনেক কিছুই নেগেটিভ দিকে যায়। ভীতিহীন ক্রিকেট খেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে।” মাঠে আগ্রাসী থাকতেই পছন্দ করেন সোহান। তবে সবাই তাকেই অনুসরণ করুক, এটা চান না নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। “সবাই সবার থেকে আলাদা। একজনের সঙ্গে আরেকজনকে মিলানো সহজ নয়। আমি সবার কাছে এইটাই চাইবো, যে যার জায়গা থেকে শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করি। এমন না যে, শতভাগ দিলেই সবাই সফল হবে। যেটা বললাম, প্রক্রিয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবাই যদি মন থেকে শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করি, তাহলে ভালো কিছুই হবে।” আগামী ৩০ জুলাই হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে অধিনায়ক হিসেবে শুরু হবে সোহানের নতুন যাত্রা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

একজনের সাফল্য যেন আরেকজন উপভোগ করি : সোহান

আপডেট সময় : ১০:২৩:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : মাত্র এক সিরিজের জন্য নেতৃত্ব, তাই খুব বেশি দূরে তাকানোর সুযোগ নেই। তা করছেনও না নুরুল হাসান সোহান। বাংলাদেশের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের চোখ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই। ছোট্ট এই সিরিজেই নিজের ছাপ রাখতে চান সোহান। গড়ে তুলতে চান এমন মানসিকতা যেখানে, দলের একজনের সাফল্য উপভোগ করবেন অন্য সবাই।
আগের চেয়ে গত বছর দুয়েক ধরে দলের সংস্কৃতিতে অনেক পরিবর্তন চোখে পড়েছে সোহানের। ২৮ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটসম্যান, ধরে রাখতে চান উন্নতির ধারা। টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব পাওয়ার পর রোববার প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সোহান। নেতৃত্ব পাওয়ার রোমাঞ্চে ভেসে না গিয়ে তার মনোযোগ দলকে ঐক্যবদ্ধ করার দিকে। “ঘরোয়া ক্রিকেটে যখনই অধিনায়কত্ব করেছি, সব সময় আমার মাথায় একটাই চিন্তা থাকে, সব সময় চাই যেন দল হিসেবে খেলতে পারি। আমি চাই, জিম্বাবুয়েতেও যেন দল হিসেবে খেলতে পারি এবং মূল ব্যাপার হলো, দলের পরিবেশ যেন ভালো থাকে। সবাই তো প্রতিদিন পারফর্ম করবে না, আমরা দলের সদস্য যারা থাকব, একজনের সাফল্েয যেন আরেকজন উপভোগ করি। আমার কাছে মনে হয় এই সংস্কৃতিটা ও দল হিসেবে খেলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।” টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ আটকে আছে ব্যর্থতার বৃত্তে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর তিন সিরিজে আট ম্যাচ খেলে জয় কেবল একটি। এক সিরিজেই তো সব আমূল পাল্টে দেওয়া সম্ভব নয়, সেই চেষ্টাতেও যাচ্ছেন না সোহান। তবে জিম্বাবুয়েতে উন্নতি ছাপ দেখাতে চান তিনি।
“টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে আমরা ওয়ানডের তুলনায় পিছিয়ে আছি। তো আমার কাছে মনে হয়, উন্নতি করাটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেই চেষ্টা করছি। আমার কাছে মনে হয়, আউটকামের চেয়ে প্রসেস খুব গুরুত্বপূর্ণ। তো আমরা সেই চেষ্টাই করব। আমার কাছে এই সিরিজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যেটা মনে হচ্ছে, সেটা হচ্ছে একটা দল হিসেবে খেলা।” টি-টোয়েন্টিতে দলের সঙ্গে মানানসই ব্যাটিং কোনটা সেটা যেন এখনও ঠিক করে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ। সোহান নিজে যে ব্যাটিং করেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজে সেটাই দেখতে চাইলেন সতীর্থদের কাছ থেকে। অধিনায়ক মনে করেন, এতে খুলে যেতে পারে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। “আমার মনে হয়, ভীতিহীন ক্রিকেট খেলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে, সেটা যেন করতে পারি। ফল নিয়ে আগে থেকে চিন্তা করলে অনেক সময় প্রক্রিয়া ঠিক থাকে না। প্রক্রিয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফল নিয়ে খুব বেশি কিছু চিন্তা করছি না। ভীতিহীন ক্রিকেট খেললে ইতিবাচক কিছু হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।” “আপনি যখন ফিয়ারলেস থাকবেন, তখন অনেক অপশন বেরিয়ে আসবে। যখন মনের ভেতর কিছু নিয়ে ভয় কাজ করবে তখন অনেক কিছুই নেগেটিভ দিকে যায়। ভীতিহীন ক্রিকেট খেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে।” মাঠে আগ্রাসী থাকতেই পছন্দ করেন সোহান। তবে সবাই তাকেই অনুসরণ করুক, এটা চান না নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। “সবাই সবার থেকে আলাদা। একজনের সঙ্গে আরেকজনকে মিলানো সহজ নয়। আমি সবার কাছে এইটাই চাইবো, যে যার জায়গা থেকে শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করি। এমন না যে, শতভাগ দিলেই সবাই সফল হবে। যেটা বললাম, প্রক্রিয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবাই যদি মন থেকে শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করি, তাহলে ভালো কিছুই হবে।” আগামী ৩০ জুলাই হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে অধিনায়ক হিসেবে শুরু হবে সোহানের নতুন যাত্রা।