ঢাকা ১১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ঢাবির ছাত্রী হলে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের জন্যও প্রার্থনা কক্ষ

  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : মুসলমানদের নামাজ ঘরের পাশাপাশি তিন ধর্মের ছাত্রীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে খোলা হয়েছে আলাদা প্রার্থনা কক্ষ। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল বাছির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এতদিন ছাত্রীদের হলে শুধু মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজ ঘর ছিল। “শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে এখন ছাত্রীদের সব হলেই হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রার্থনা কক্ষ খোলা হয়েছে।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য ১৪টি এবং ছাত্রীদের জন্য ৫টি আবাসিক হল রয়েছে। অমুসলিম ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে থাকেন। তবে ছাত্রীদের হলগুলোতে সব ধর্মের ছাত্রীরাই থাকেন। চলতি বছরের শুরুতে ছাত্রীদের হলগুলোতে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সব ধর্মের প্রার্থনার জন্য আলাদা একটি কক্ষের দাবি তোলেন একদল শিক্ষার্থী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোকেয়া হল এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, সুফিয়া কামাল হল, কুয়েত মৈত্রী হল এবং সর্বশেষ গত জুন মাসে শামসুন নাহার হলে তিন ধর্মের জন্য আলাদা প্রার্থনা কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়। দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন ডাকসুর সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদার।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়ে তিলোত্তমা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাত্রদের জন্য আলাদা হল এবং উপাসনালয় রয়েছে। তবে ছাত্রীদের হলে প্রার্থনার জন্য কোনো উপাসনালয় ছিল না। ছাত্রীরা চাইলেও সবসময় ঢাকেশ্বরী, জগন্নাথ হল বা অন্য কোথাও গিয়ে প্রার্থনা করতে পারে না। “অসাম্প্রদায়িক এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধর্মের জন্য প্রার্থনা কক্ষ (আলাদা) বরাদ্দের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম। পর্যায়ক্রমে সবগুলো হলেই এখন প্রার্থনা কক্ষ খোলা হয়েছে।” শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক লাফিফা জামাল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় একটা অসাম্প্রদায়িক জায়গা, এখানে সব ধর্মের শিক্ষার্থীদের সমান অধিকার আছে। “কাজেই এটা খুবই ভাল একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করে সামনে এগিয়ে আসবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাবির ছাত্রী হলে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের জন্যও প্রার্থনা কক্ষ

আপডেট সময় : ১০:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : মুসলমানদের নামাজ ঘরের পাশাপাশি তিন ধর্মের ছাত্রীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে খোলা হয়েছে আলাদা প্রার্থনা কক্ষ। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল বাছির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এতদিন ছাত্রীদের হলে শুধু মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজ ঘর ছিল। “শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে এখন ছাত্রীদের সব হলেই হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রার্থনা কক্ষ খোলা হয়েছে।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য ১৪টি এবং ছাত্রীদের জন্য ৫টি আবাসিক হল রয়েছে। অমুসলিম ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে থাকেন। তবে ছাত্রীদের হলগুলোতে সব ধর্মের ছাত্রীরাই থাকেন। চলতি বছরের শুরুতে ছাত্রীদের হলগুলোতে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সব ধর্মের প্রার্থনার জন্য আলাদা একটি কক্ষের দাবি তোলেন একদল শিক্ষার্থী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোকেয়া হল এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, সুফিয়া কামাল হল, কুয়েত মৈত্রী হল এবং সর্বশেষ গত জুন মাসে শামসুন নাহার হলে তিন ধর্মের জন্য আলাদা প্রার্থনা কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়। দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন ডাকসুর সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদার।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়ে তিলোত্তমা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাত্রদের জন্য আলাদা হল এবং উপাসনালয় রয়েছে। তবে ছাত্রীদের হলে প্রার্থনার জন্য কোনো উপাসনালয় ছিল না। ছাত্রীরা চাইলেও সবসময় ঢাকেশ্বরী, জগন্নাথ হল বা অন্য কোথাও গিয়ে প্রার্থনা করতে পারে না। “অসাম্প্রদায়িক এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধর্মের জন্য প্রার্থনা কক্ষ (আলাদা) বরাদ্দের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম। পর্যায়ক্রমে সবগুলো হলেই এখন প্রার্থনা কক্ষ খোলা হয়েছে।” শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক লাফিফা জামাল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় একটা অসাম্প্রদায়িক জায়গা, এখানে সব ধর্মের শিক্ষার্থীদের সমান অধিকার আছে। “কাজেই এটা খুবই ভাল একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করে সামনে এগিয়ে আসবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।”