বর্ষায় চারপাশের জলাবদ্ধ পানিতে এই মশা বংশবিস্তার করে। এডিস ইজিপ্ট মশা ডেঙ্গু বিস্তারে ৯০-৯৫ শতাংশ ভূমিকা রাখে। এ মশার একটি কামড়ই ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য যথেষ্ট। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মারাত্মক আকার ধারণ করে। ডেঙ্গুর উপসর্গ হলো- জ্বর, পেশি ব্যথা, শরীর ব্যথা, দুর্বলতা ইত্যাদি। সব মিলিয়ে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়। তাই এ সময় ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সচেতন থাকা জরুরি। যা যা করণীয় জেনে নিন-
মশা সাধারণত মানুষের হাত-পায়ে বেশি কামড়ায়। এর কারণ হলো হাত-পা খোলা থাকে সবারই। তই বর্ষার মৌসুমে হাতাওয়ালা পোশাক পরুন। ফুল প্যান্ট, ফুলহাতা শার্ট, জুতা ইত্যাদি দিয়ে শরীর ঢেকে রাখতে হবে।
ঘরের ভেতরে বা চাপাশে যেন পানি জমে না থাকে তা নিশ্চিত করুন। মশার বংশবিস্তারের আদর্শ স্থান হলো জমে থাকা পানি। ফুলের টব থেকে শুরু করে ড্রেন ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
মশা তাড়ানোর একটি কার্যকর এবং স্বাস্থ্যকর উপায় হলো মশা দূরে রাখে এমন গাছ ঘরে রাখা। তুলসি, সিট্রোনেলা, লেমনগ্রাস ইত্যাদি ঘরে মশা আসতে দেয় না।
ময়লা রাখার পাত্র পরিষ্কার করুন প্রতিদিন। ব্যবহারের সময় ময়লার পাত্রের মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
মশা তাড়ানোর স্প্রে, মলম ইত্যাদি ব্যবহারে জোর দিতে হবে। ঘরে কিংবা বাইরে সবখানেই এগুলো ব্যবহার করা উচিত।
বর্ষার মৌসুমে দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হবে। আর জানালা খোলা রাখলেও নেট দিয়ে রাখতে ভুলবেন না।
এ সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার বিকল্প নেই। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হলে, সব ধরনের রোগ থেকে নিস্তার পাবেন। সূত্র: মেক টাইমড