ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

ব্যাংকের ১৯ লাখ টাকা ছিনতাই: টাকাসহ ৪ আসামি গ্রেফতার

  • আপডেট সময় : ০২:০৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের ১৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার ২৫ দিন পর চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের চার লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা ও তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- বেগমগঞ্জের পৌরসভার করিমপুরের আবুল কাশেমের ছেলে যুবায়ের হোসেন বিপ্লব (২৮), হাজিপুরের বেলাল হোসেনের ছেলে পারভেজ (৩০), দুর্গাপুরের মৃত অজি উল্যাহর ছেলে আমিরুল ইসলাম সুজন (২৮) ও তাদের সহযোগী গনিপুরের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. সাহাবুদ্দিন (৩৭)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২০ জুন দুপুরে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আড়িয়া বাড়ির পোল সংলগ্ন এলাকায় বিকাশ এজেন্টের ১৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে বিভিন্ন স্থানের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বেগমগঞ্জের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে টাকাসহ চার আসামিকে গ্রেফতার হয়। পুলিশ সুপার আরও বলেন, সেদিন মোটরসাইকেল চালায় সুজন। মাঝখানে পারভেজ ও পিছনে বিপ্লব বসা ছিলেন। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী দুই ভাই ইয়াছিন আরাফাত রহিম ও মহিন উদ্দিন সোহাগ। তারা গনিপুরের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। অভিযানের টের পেয়ে রহিম ও সোহাগ পালিয়ে গেলেও তাদের বাড়ি থেকে ছিনতাইয়ের চার লাখ ১৯ হাজার টাকা এবং অপর আসামিদের থেকে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ছিনতাইয়ের ১৯ লাখ টাকা থেকে সুজন দুই লাখ টাকা, বিপ্লব এক লাখ টাকা ও পারভেজ দুই লাখ টাকার ভাগ পান। বাকি টাকা সোহাগ নিজের কাছে রেখে দেন। ঘটনার দিন ঘটনাস্থলের আশপাশে থেকে সোহাগ টাকা বহনকারীর গতিবিধি সুজনকে জানায় এবং রহিম রাস্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পলায়নে সহায়তা করে। ঘটনার কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি রহিমের তা সুজনের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ২১ জুন বেগমগঞ্জ থানার মামলা করেন ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাস্টার এজেন্ট এসবি টেলিকমের মালিক মো. সাইফুল বাশার। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গ্রেফতার সুজন নিজেকে দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে পরিচয় প্রদান করে ও রহিম পৌর ছাত্রলীগের কথিত নেতা হিসাবে সর্বত্র নিজেকে পরিচয় দেয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ব্যাংকের ১৯ লাখ টাকা ছিনতাই: টাকাসহ ৪ আসামি গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০২:০৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের ১৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার ২৫ দিন পর চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের চার লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা ও তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- বেগমগঞ্জের পৌরসভার করিমপুরের আবুল কাশেমের ছেলে যুবায়ের হোসেন বিপ্লব (২৮), হাজিপুরের বেলাল হোসেনের ছেলে পারভেজ (৩০), দুর্গাপুরের মৃত অজি উল্যাহর ছেলে আমিরুল ইসলাম সুজন (২৮) ও তাদের সহযোগী গনিপুরের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. সাহাবুদ্দিন (৩৭)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২০ জুন দুপুরে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আড়িয়া বাড়ির পোল সংলগ্ন এলাকায় বিকাশ এজেন্টের ১৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে বিভিন্ন স্থানের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বেগমগঞ্জের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে টাকাসহ চার আসামিকে গ্রেফতার হয়। পুলিশ সুপার আরও বলেন, সেদিন মোটরসাইকেল চালায় সুজন। মাঝখানে পারভেজ ও পিছনে বিপ্লব বসা ছিলেন। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী দুই ভাই ইয়াছিন আরাফাত রহিম ও মহিন উদ্দিন সোহাগ। তারা গনিপুরের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। অভিযানের টের পেয়ে রহিম ও সোহাগ পালিয়ে গেলেও তাদের বাড়ি থেকে ছিনতাইয়ের চার লাখ ১৯ হাজার টাকা এবং অপর আসামিদের থেকে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ছিনতাইয়ের ১৯ লাখ টাকা থেকে সুজন দুই লাখ টাকা, বিপ্লব এক লাখ টাকা ও পারভেজ দুই লাখ টাকার ভাগ পান। বাকি টাকা সোহাগ নিজের কাছে রেখে দেন। ঘটনার দিন ঘটনাস্থলের আশপাশে থেকে সোহাগ টাকা বহনকারীর গতিবিধি সুজনকে জানায় এবং রহিম রাস্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পলায়নে সহায়তা করে। ঘটনার কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি রহিমের তা সুজনের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ২১ জুন বেগমগঞ্জ থানার মামলা করেন ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাস্টার এজেন্ট এসবি টেলিকমের মালিক মো. সাইফুল বাশার। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গ্রেফতার সুজন নিজেকে দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে পরিচয় প্রদান করে ও রহিম পৌর ছাত্রলীগের কথিত নেতা হিসাবে সর্বত্র নিজেকে পরিচয় দেয়।