ঢাকা ০৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভেঙ্গে গেল জনি আইভ-অ্যাপল জুটি

  • আপডেট সময় : ১০:২২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : অবশেষে ভেঙ্গে গেল জনি আইভ-অ্যাপল জুটি। ২০১৯ সালে অ্যাপল ছাড়লেও এতোদিন প্রযুক্তি জায়ান্টের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন এই ডিজাইন গুরু।
১৯৯৭ সালে প্রায় দেউলিয়া অবস্থা থেকে অ্যাপলকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে স্টিভ জবসের সবচেয়ে কাছের মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হতো অ্যাপলের নকশা বিভাগের এই সাবেক প্রধানকে। দুই দশকেরও বেশি সময় অ্যাপলের নকশা বিভাগে নেতৃত্ব দেওয়ার পর ২০১৯ সালের নভেম্বরে অ্যাপল ছাড়েন আইভ।
নকশা বিভাগের প্রধানের পদ ছাড়লেও এতোদিন চুক্তিভিত্তিক পরামর্শক হিসেবে অ্যাপলের সঙ্গেই ছিলেন আইভ। তবে, ১২ জুলাই নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভেঙ্গে গেছে সেই সম্পর্ক। চুক্তির সময় শেষে সেটি নতুন করে ‘নবায়ন না করতে সম্মত’ হয়েছেন উভয় পক্ষ। এ প্রসঙ্গে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয়নি অ্যাপল।
২০১৯ সালে অ্যাপল ছাড়ার আগের দুই দশকে কোম্পানিটি যতো আইকনিক পণ্য বাজারে এনেছে তার প্রত্যেকটির প্রধান নকশাবিদ ছিলেন জনি আইভ। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৪ সালের আইপড মিনি, ২০০৭ সালে আইফোন, ২০০৮ সালে ম্যাকবুক এয়ার, ২০১০ সালে আইপ্যাড, ২০১৫ সালে অ্যাপল ওয়াচ এবং ২০১৬ সালের এয়াপডস। স্টিভ জবসের সঙ্গে জনি আইভের সর্বশেষ প্রকল্প ছিল অ্যাপল পার্ক নামে প্রতিষ্ঠানটির নতুন প্রধান কার্যালয়ের ডিজাইন।
নকশাবিদ হিসেবে বিভিন্ন শীর্ষ পুরস্কার জয়ী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০১২ সালেই রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে নাইটহুড পেয়েছেন। অ্যাপলের শীর্ষ পদ ছাড়ার সময়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি পেটেন্টের মালিক ছিলেন স্যার জনাথন। অ্যাপল পরবর্তী পেশাজীবনে ‘লাভফ্রম’ নামের কোম্পানি প্রতিষ্ঠা কেরছিলেন আইভ। সৃজনশীল নকশা নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কাজ করে লাভফ্রম; এর মধ্যে আছে স্পোর্টসকার নির্মাতা ফেরারির মূল প্রতিষ্ঠান এক্সোর। কোম্পানিটির সঙ্গে ‘বিলাসবহুল ব্যবসা খাতের বিভিন্ন সৃজনশীল প্রকল্প নিয়ে টানা কয়েক বছরের সমঝোতা আছে’ নিয়ে লাভফ্রমের।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভেঙ্গে গেল জনি আইভ-অ্যাপল জুটি

আপডেট সময় : ১০:২২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : অবশেষে ভেঙ্গে গেল জনি আইভ-অ্যাপল জুটি। ২০১৯ সালে অ্যাপল ছাড়লেও এতোদিন প্রযুক্তি জায়ান্টের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন এই ডিজাইন গুরু।
১৯৯৭ সালে প্রায় দেউলিয়া অবস্থা থেকে অ্যাপলকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে স্টিভ জবসের সবচেয়ে কাছের মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হতো অ্যাপলের নকশা বিভাগের এই সাবেক প্রধানকে। দুই দশকেরও বেশি সময় অ্যাপলের নকশা বিভাগে নেতৃত্ব দেওয়ার পর ২০১৯ সালের নভেম্বরে অ্যাপল ছাড়েন আইভ।
নকশা বিভাগের প্রধানের পদ ছাড়লেও এতোদিন চুক্তিভিত্তিক পরামর্শক হিসেবে অ্যাপলের সঙ্গেই ছিলেন আইভ। তবে, ১২ জুলাই নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভেঙ্গে গেছে সেই সম্পর্ক। চুক্তির সময় শেষে সেটি নতুন করে ‘নবায়ন না করতে সম্মত’ হয়েছেন উভয় পক্ষ। এ প্রসঙ্গে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয়নি অ্যাপল।
২০১৯ সালে অ্যাপল ছাড়ার আগের দুই দশকে কোম্পানিটি যতো আইকনিক পণ্য বাজারে এনেছে তার প্রত্যেকটির প্রধান নকশাবিদ ছিলেন জনি আইভ। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৪ সালের আইপড মিনি, ২০০৭ সালে আইফোন, ২০০৮ সালে ম্যাকবুক এয়ার, ২০১০ সালে আইপ্যাড, ২০১৫ সালে অ্যাপল ওয়াচ এবং ২০১৬ সালের এয়াপডস। স্টিভ জবসের সঙ্গে জনি আইভের সর্বশেষ প্রকল্প ছিল অ্যাপল পার্ক নামে প্রতিষ্ঠানটির নতুন প্রধান কার্যালয়ের ডিজাইন।
নকশাবিদ হিসেবে বিভিন্ন শীর্ষ পুরস্কার জয়ী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০১২ সালেই রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে নাইটহুড পেয়েছেন। অ্যাপলের শীর্ষ পদ ছাড়ার সময়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি পেটেন্টের মালিক ছিলেন স্যার জনাথন। অ্যাপল পরবর্তী পেশাজীবনে ‘লাভফ্রম’ নামের কোম্পানি প্রতিষ্ঠা কেরছিলেন আইভ। সৃজনশীল নকশা নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কাজ করে লাভফ্রম; এর মধ্যে আছে স্পোর্টসকার নির্মাতা ফেরারির মূল প্রতিষ্ঠান এক্সোর। কোম্পানিটির সঙ্গে ‘বিলাসবহুল ব্যবসা খাতের বিভিন্ন সৃজনশীল প্রকল্প নিয়ে টানা কয়েক বছরের সমঝোতা আছে’ নিয়ে লাভফ্রমের।