ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে ইউএনডিপি-সুইডেন চুক্তি

  • আপডেট সময় : ১২:৩৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু প্রতিবেদন : বাংলাদেশের অতি-দরিদ্র গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সঙ্গে ‘স্ট্রেনদেনিং উইমেনস এবিলিটি ফর প্রডাক্টিভ নিউ অপরচুনিটিস (স্বপ্ন-২)’ প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে সুইডেন। এ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
গত সোমবার (৪ জুলাই) ঢাকাস্থ ইউএনডিপি কার্যালয়ে চুক্তিতে সই করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি ও ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ক্রিস্টিন জোহানসন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসের প্রোগ্রাম অফিসার ইকরামুল এইচ সোহেল, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন, ‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার কাজল চ্যাটার্জি প্রমুখ। এসময় ক্রিস্টিন জোহানসন বলেন, সুইডিশ দূতাবাস বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। ‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পৃক্ততা এবং প্রকল্পের প্রতি নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন আমাদের এই পর্যায়ে এগিয়ে আসার আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে কীভাবে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে তা দেখিয়েছে।
ইউএনডিপি প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, এরই মধ্যে ‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের জীবনমানে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোতে ‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুসারে, স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকা-ে দুস্থ নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সামাজিক সমর্থন ও স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে ‘স্বপ্ন’ নারীদের ক্ষমতায়নে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০টি দারিদ্র্যপ্রবণ এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জেলার হতদরিদ্র ও অধিকারবঞ্চিত ১০ হাজার নারীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে ইউএনডিপি-সুইডেন চুক্তি

আপডেট সময় : ১২:৩৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২

নারী ও শিশু প্রতিবেদন : বাংলাদেশের অতি-দরিদ্র গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সঙ্গে ‘স্ট্রেনদেনিং উইমেনস এবিলিটি ফর প্রডাক্টিভ নিউ অপরচুনিটিস (স্বপ্ন-২)’ প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে সুইডেন। এ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
গত সোমবার (৪ জুলাই) ঢাকাস্থ ইউএনডিপি কার্যালয়ে চুক্তিতে সই করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি ও ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ক্রিস্টিন জোহানসন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসের প্রোগ্রাম অফিসার ইকরামুল এইচ সোহেল, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন, ‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার কাজল চ্যাটার্জি প্রমুখ। এসময় ক্রিস্টিন জোহানসন বলেন, সুইডিশ দূতাবাস বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। ‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পৃক্ততা এবং প্রকল্পের প্রতি নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন আমাদের এই পর্যায়ে এগিয়ে আসার আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে কীভাবে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে তা দেখিয়েছে।
ইউএনডিপি প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, এরই মধ্যে ‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের জীবনমানে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোতে ‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুসারে, স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকা-ে দুস্থ নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সামাজিক সমর্থন ও স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে ‘স্বপ্ন’ নারীদের ক্ষমতায়নে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০টি দারিদ্র্যপ্রবণ এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জেলার হতদরিদ্র ও অধিকারবঞ্চিত ১০ হাজার নারীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা হবে।