ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

অল্প টাকায় গ্রামে ব্যবসা

  • আপডেট সময় : ০২:২১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : আমাদের বর্তমান প্রজন্মের বেকার এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তারা একটু আলসে বা কুড়ে। এসব বেকারেরা চাইলেই কিছু করতে পারেন। কিন্তু তাদের আলসেমি থাকায় নিজে কোন ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করতে চান না। এ ছাড়াও আমাদের গ্রামের বিভিন্ন যুবকদের মনে সবসময় একটা ভয় থাকে যে এত টাকা বিনিয়োগ করে একটা ব্যবসা করব যদি ব্যবসায় লস হয় তাহলে পরিবার মেনে নেবে না সমাজ মেনে নেবে না সমাজ থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবো।
এইসব নানান ধরনের সমস্যার কারণে আমাদের বর্তমান প্রজন্মের বেকারেরা চাইলেও লেখাপড়া শেষ করে কোন ব্যবসা-বাণিজ্য তে ঝুকতে চায়না।
তো এজন্য সবাই একটু কম টাকার ভিতরে কোন একটা ব্যবসা-বাণিজ্য খুঁজে যাতে করে যদি ব্যবসায় কোন লস হয় তাহলে নিজের পরিবারকে মানিয়ে নেওয়া যায় যে অল্প টাকাই তো লস হয়েছে।
আজকে আমরা তাদের জন্যে নিয়ে এসেছি খুব কম টাকায় গ্রামের সবচেয়ে লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে।
যে ব্যবসাটি করে তারা খুব সহজেই স্বাবলম্বী হতে পারবে আর এই ব্যবসাটি করা যাবে কোন রকমের ঝুঁকি ছাড়াই বা কোন ধরনের লস হওয়ার সম্ভাবনা একদমই নেই বললেই চলে।
তো দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক গ্রামের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি।
গ্রামে বসে আপনি যদি কোন ব্যবসা করার কথা ভাবেন তাহলে আপনার জন্য যেই ব্যবসাটি সবচেয়ে সেরা হতে পারে সেটা হল বিভিন্ন কৃষি পণ্যের মজুদ করে বা স্টক (ঝঃড়পশ) পন্যের ব্যবসা। হ্যাঁ বন্ধুরা আপনি ঠিকই শুনেছেন স্টক পণ্যের ব্যবসা গ্রামের সবচেয়ে লাভজনক একটি ব্যবসা।
যেহেতু আপনি গ্রামে বসবাস করেন তাই আপনার কিন্তু কৃষিপণ্য সম্পর্কে ভালো ধারণা রয়েছে আপনি যদি গ্রামে বসে কোন ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আপনি শুরু করে দিতে পারেন যেকোনো কৃষিপণ্যের স্টক ব্যবসাটি।
স্টক পণ্যের ব্যবসা কি? আমাদের জীব নিত্য প্রয়োজনীয় যেসব খাদ্যদ্রব্য রয়েছে তার মধ্যে যেসব সবজি জাতীয় পন্য যেমন; ধান, আলু, পেয়াজ, ডাল, ধনিয়া, রসুন, গম, ভুট্টা, বুট এগুলো হলো কৃষিদ্রব্য।
আর আপনি যখন এই সব কিছু দ্রব্যগুলো সিজনের সময় কম মূল্যে ক্রয় করে সংরক্ষন করে রেখে দিবেন। এই আশায় যে, আপনি পরবর্তীতে সেগুলো আবার বিক্রি করবেন। আপনি যে এই কিছু কৃষি দ্রব্যসমূহ গুলোকে স্টক করে রাখছেন এবং পরবর্তীতে বিক্রয় করার কথা ভাবছেন এটা হল মূলত স্টক পণ্যের ব্যবসা। এখন এসব স্টক পণ্যের ব্যবসা হতে পারে বিভিন্ন পণ্যের উপর, যেহেতু আপনি গ্রামে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন তাই আপনার জন্য কৃষিপণ্য স্টক ব্যবসায়ী সবচেয়ে সেরা হতে পারে।
স্টক পণ্যের ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন? আপনি যদি গ্রামের সব পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনার যা যা প্রয়োজন হবে তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো একটি গুদামঘর। হ্যাঁ গুদামঘর লাগবে এই কারণে যে আপনি যেসব কৃষি দ্রব্যসমূহ সংরক্ষণ করে রাখবেন, সেগুলো কোথায় রাখবেন! আর সেগুলো রাখার জন্য আপনাকে একটি গুদামঘর রাখতে হবে যেখানে আপনি বিভিন্ন কৃষিদ্রব্য সমূহকে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
এরপরে চাইলে আপনার যদি কৃষি দ্রব্যসমূহের ব্যবসাটি বেশি বড় হয় তাহলে কয়েকজন লোক রাখতে পারেন। যাদের সাহায্যে আপনি কৃষি পণ্যগুলো বাছাই করবেন এবং তাদেরকে দিয়ে দেখা শোনা করাবেন।
এর পরে যেই জিনিসটি লাগবে সেটা হল যাতায়াত করার জন্য একটা গাড়ির ব্যবস্থা।
হ্যাঁ বন্ধুরা একটা গাড়ির ব্যবস্থা রাখলে সবচেয়ে ভালো হয়। যে গাড়ির মাধ্যমে আপনি কৃষি পন্য সমূহ স্টক করে রাখা গুদামঘর থেকে বিক্রয় করার জন্য বাজারজাত করতে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারেন।
পণ্যের ব্যবসা কিভাবে করবেন? প্রথমে কিছু টাকা দিয়ে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য কিনবেন। পণ্য কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে ঐ সমস্ত পণ্যগুলো কেনার প্রয়োজন যে সব পণ্য গুলো বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায়। আর যার মার্কেট ভ্যালু আজ থেকে তিন মাস পর বেশি হবে।
এরপরে পণ্যগুলো ক্রয় করার পর সেগুলো স্টক বা সংরক্ষণ করবেন। স্টক বা সংরক্ষন করে রেখে দেওয়ার পর মাঝে মাঝে সেগুলোর খেয়াল রাখবেন যে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেল কি না। চাইলে মাঝে মাঝে রোদে শুকাতে দিবেন। কেননা অনেক কৃষিপণ্য রয়েছে যেগুলো মাঝে মাঝে রোদে দিতে হয়।
এভাবে খুব সুন্দর ভাবে স্টক বা সংরক্ষণ করার পর যখন দেখবেন দুই তিন মাস চলে গেছে। তখন মাঝে মাঝে বাজারে যাবেন। বাজারে গিয়ে আপনার পণ্যটির বর্তমান দাম সহ সমস্ত ডিটেইলস সম্পর্কে জানবেন।
আপনি যে পন্যটি স্টক করে রেখেছেন সেটার মার্কেট প্রাইস কেমন এটা জানবেন। যখন আপনি ক্রয় করেছিলেন তখন থেকে যদি আপনি এখন বিক্রয় করেন তাহলে কত টাকা বিক্রয় করতে পারবেন। অথবা কত টাকা আয় বা লাভ হবে এই সব বিষয়গুলো একটু রিসার্চ করে দেখবেন।
তারপর যদি দেখেন আপনার ভালো পরিমাণ লাভ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাহলে তখন আপনি এগুলো বিক্রি করে দিতে পারেন।
এভাবে আপনি গ্রামের সবচেয়ে লাভজনক এমন সুন্দর একটি ব্যবসা করতে পারবেন। আমি মনে করি এই ব্যবসাটিতে কোনো ঝুঁকি নেই। আপনি চাইলে অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
স্টক পণ্যের ব্যবসা করতে কত টাকা আয় হতে পারে? স্টক পন্যের এই ব্যবসাটি করে আপনি কত টাকা আয় করবেন তা পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার পণ্যের উপর, আপনি কত টাকা বিনিয়োগ করবেন এর উপর, আপনি কতটা শ্রম, কতটা মূল্যে বিক্রয় করতে পারবেন ক্রয় করার পর এর উপর নির্ভর করবে।
তারপরও আমরা উদাহরণস্বরূপ একটা পণ্যের আয় নিয়ে আলোচনা করি। যেমন আপনি ৫,০০০/- টাকার পেঁয়াজ কিনে রাখলেন। এরপরে যে পাঁচ হাজার টাকার পেঁয়াজ কিনে রাখলেন যার বর্তমান মূল্য ৫,০০০/- টাকা। এরপর দেখলেন আপনার ছয় মাস পর যাওয়ার পেঁয়াজ বিক্রি করতে যাবেন। তখন দাম বেড়ে হয়ে গেছে ৭,০০০/- টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা এর বেশিও হতে পারে। কেননা আমরা একবার দেখেছি যে মাত্র ২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ গুলো এক সময়ে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। আপনি এই যে ৫,০০০/- টাকা ক্রয় করে স্টক করে রাখলেন। পরবর্তীতে যখন আপনি পেঁয়াজ গুলো বিক্রয় করবেন তখন তো আপনি নিশ্চয়ই মার্কেট ভ্যালু রিসার্চ করে বিক্রি করবেন। তখন আপনি বুঝে যাবে যে আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন। এই ব্যাপারে আপনার কত টাকা লাভ হবে তার একটা হিসাব সহজে বলা যায় যে, আপনার ৩০% থেকে ৫০ শতাংশ লাভ হবে।
তো আপনি স্টক পন্যের ব্যবসা ১০০ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনার ৩০ টাকা অথবা ৫০ টাকা এর মধ্যে লাভ থাকবে।
শেষ কথা : আশা করি বুঝে গেছেন যে কিভাবে গ্রামে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ঠিক করবেন। আপনারা যদি কেউ গ্রামে কোন লাভজনক ব্যবসা করতে চান তাহলে আমার এই পোস্ট অনুযায়ী যদি আপনার ব্যবসা করেন দেখবেন ঠিক হুবহু এভাবে আপনার টাকা লাভ হবে।
এরপরও যদি আপনি একটু সন্দেহ হয়ে থাকেন তাহলে অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আর অল্প কিছু টাকা কিন্তু আমাদের সবার কাছে কমবেশি থাকে। আপনি যদি একমাস নিজের পকেট খরচ বাঁচিয়ে সংরক্ষণ করেন, দেখবেন আপনার ব্যবসা করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ টাকা যোগাড় হয়ে গিয়েছে। তবে মূল বিষয় হলো যে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। আপনার যদি ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকে তাহলে যেভাবেই হোক ব্যবসা করার টাকা যোগাড় হয়ে যাবে। তো বন্ধুরা আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে যদি আপনার কোন বন্ধু বান্ধব ব্যবসা করতে আগ্রহী হয়। সেইসব বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে পারেন। দেখা হবে আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে ততক্ষন পর্যন্ত আশা করি আপনারা সবাই সুস্থ থাকবেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অল্প টাকায় গ্রামে ব্যবসা

আপডেট সময় : ০২:২১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : আমাদের বর্তমান প্রজন্মের বেকার এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তারা একটু আলসে বা কুড়ে। এসব বেকারেরা চাইলেই কিছু করতে পারেন। কিন্তু তাদের আলসেমি থাকায় নিজে কোন ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করতে চান না। এ ছাড়াও আমাদের গ্রামের বিভিন্ন যুবকদের মনে সবসময় একটা ভয় থাকে যে এত টাকা বিনিয়োগ করে একটা ব্যবসা করব যদি ব্যবসায় লস হয় তাহলে পরিবার মেনে নেবে না সমাজ মেনে নেবে না সমাজ থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবো।
এইসব নানান ধরনের সমস্যার কারণে আমাদের বর্তমান প্রজন্মের বেকারেরা চাইলেও লেখাপড়া শেষ করে কোন ব্যবসা-বাণিজ্য তে ঝুকতে চায়না।
তো এজন্য সবাই একটু কম টাকার ভিতরে কোন একটা ব্যবসা-বাণিজ্য খুঁজে যাতে করে যদি ব্যবসায় কোন লস হয় তাহলে নিজের পরিবারকে মানিয়ে নেওয়া যায় যে অল্প টাকাই তো লস হয়েছে।
আজকে আমরা তাদের জন্যে নিয়ে এসেছি খুব কম টাকায় গ্রামের সবচেয়ে লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে।
যে ব্যবসাটি করে তারা খুব সহজেই স্বাবলম্বী হতে পারবে আর এই ব্যবসাটি করা যাবে কোন রকমের ঝুঁকি ছাড়াই বা কোন ধরনের লস হওয়ার সম্ভাবনা একদমই নেই বললেই চলে।
তো দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক গ্রামের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি।
গ্রামে বসে আপনি যদি কোন ব্যবসা করার কথা ভাবেন তাহলে আপনার জন্য যেই ব্যবসাটি সবচেয়ে সেরা হতে পারে সেটা হল বিভিন্ন কৃষি পণ্যের মজুদ করে বা স্টক (ঝঃড়পশ) পন্যের ব্যবসা। হ্যাঁ বন্ধুরা আপনি ঠিকই শুনেছেন স্টক পণ্যের ব্যবসা গ্রামের সবচেয়ে লাভজনক একটি ব্যবসা।
যেহেতু আপনি গ্রামে বসবাস করেন তাই আপনার কিন্তু কৃষিপণ্য সম্পর্কে ভালো ধারণা রয়েছে আপনি যদি গ্রামে বসে কোন ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আপনি শুরু করে দিতে পারেন যেকোনো কৃষিপণ্যের স্টক ব্যবসাটি।
স্টক পণ্যের ব্যবসা কি? আমাদের জীব নিত্য প্রয়োজনীয় যেসব খাদ্যদ্রব্য রয়েছে তার মধ্যে যেসব সবজি জাতীয় পন্য যেমন; ধান, আলু, পেয়াজ, ডাল, ধনিয়া, রসুন, গম, ভুট্টা, বুট এগুলো হলো কৃষিদ্রব্য।
আর আপনি যখন এই সব কিছু দ্রব্যগুলো সিজনের সময় কম মূল্যে ক্রয় করে সংরক্ষন করে রেখে দিবেন। এই আশায় যে, আপনি পরবর্তীতে সেগুলো আবার বিক্রি করবেন। আপনি যে এই কিছু কৃষি দ্রব্যসমূহ গুলোকে স্টক করে রাখছেন এবং পরবর্তীতে বিক্রয় করার কথা ভাবছেন এটা হল মূলত স্টক পণ্যের ব্যবসা। এখন এসব স্টক পণ্যের ব্যবসা হতে পারে বিভিন্ন পণ্যের উপর, যেহেতু আপনি গ্রামে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন তাই আপনার জন্য কৃষিপণ্য স্টক ব্যবসায়ী সবচেয়ে সেরা হতে পারে।
স্টক পণ্যের ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন? আপনি যদি গ্রামের সব পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনার যা যা প্রয়োজন হবে তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো একটি গুদামঘর। হ্যাঁ গুদামঘর লাগবে এই কারণে যে আপনি যেসব কৃষি দ্রব্যসমূহ সংরক্ষণ করে রাখবেন, সেগুলো কোথায় রাখবেন! আর সেগুলো রাখার জন্য আপনাকে একটি গুদামঘর রাখতে হবে যেখানে আপনি বিভিন্ন কৃষিদ্রব্য সমূহকে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
এরপরে চাইলে আপনার যদি কৃষি দ্রব্যসমূহের ব্যবসাটি বেশি বড় হয় তাহলে কয়েকজন লোক রাখতে পারেন। যাদের সাহায্যে আপনি কৃষি পণ্যগুলো বাছাই করবেন এবং তাদেরকে দিয়ে দেখা শোনা করাবেন।
এর পরে যেই জিনিসটি লাগবে সেটা হল যাতায়াত করার জন্য একটা গাড়ির ব্যবস্থা।
হ্যাঁ বন্ধুরা একটা গাড়ির ব্যবস্থা রাখলে সবচেয়ে ভালো হয়। যে গাড়ির মাধ্যমে আপনি কৃষি পন্য সমূহ স্টক করে রাখা গুদামঘর থেকে বিক্রয় করার জন্য বাজারজাত করতে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারেন।
পণ্যের ব্যবসা কিভাবে করবেন? প্রথমে কিছু টাকা দিয়ে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য কিনবেন। পণ্য কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে ঐ সমস্ত পণ্যগুলো কেনার প্রয়োজন যে সব পণ্য গুলো বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায়। আর যার মার্কেট ভ্যালু আজ থেকে তিন মাস পর বেশি হবে।
এরপরে পণ্যগুলো ক্রয় করার পর সেগুলো স্টক বা সংরক্ষণ করবেন। স্টক বা সংরক্ষন করে রেখে দেওয়ার পর মাঝে মাঝে সেগুলোর খেয়াল রাখবেন যে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেল কি না। চাইলে মাঝে মাঝে রোদে শুকাতে দিবেন। কেননা অনেক কৃষিপণ্য রয়েছে যেগুলো মাঝে মাঝে রোদে দিতে হয়।
এভাবে খুব সুন্দর ভাবে স্টক বা সংরক্ষণ করার পর যখন দেখবেন দুই তিন মাস চলে গেছে। তখন মাঝে মাঝে বাজারে যাবেন। বাজারে গিয়ে আপনার পণ্যটির বর্তমান দাম সহ সমস্ত ডিটেইলস সম্পর্কে জানবেন।
আপনি যে পন্যটি স্টক করে রেখেছেন সেটার মার্কেট প্রাইস কেমন এটা জানবেন। যখন আপনি ক্রয় করেছিলেন তখন থেকে যদি আপনি এখন বিক্রয় করেন তাহলে কত টাকা বিক্রয় করতে পারবেন। অথবা কত টাকা আয় বা লাভ হবে এই সব বিষয়গুলো একটু রিসার্চ করে দেখবেন।
তারপর যদি দেখেন আপনার ভালো পরিমাণ লাভ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাহলে তখন আপনি এগুলো বিক্রি করে দিতে পারেন।
এভাবে আপনি গ্রামের সবচেয়ে লাভজনক এমন সুন্দর একটি ব্যবসা করতে পারবেন। আমি মনে করি এই ব্যবসাটিতে কোনো ঝুঁকি নেই। আপনি চাইলে অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
স্টক পণ্যের ব্যবসা করতে কত টাকা আয় হতে পারে? স্টক পন্যের এই ব্যবসাটি করে আপনি কত টাকা আয় করবেন তা পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার পণ্যের উপর, আপনি কত টাকা বিনিয়োগ করবেন এর উপর, আপনি কতটা শ্রম, কতটা মূল্যে বিক্রয় করতে পারবেন ক্রয় করার পর এর উপর নির্ভর করবে।
তারপরও আমরা উদাহরণস্বরূপ একটা পণ্যের আয় নিয়ে আলোচনা করি। যেমন আপনি ৫,০০০/- টাকার পেঁয়াজ কিনে রাখলেন। এরপরে যে পাঁচ হাজার টাকার পেঁয়াজ কিনে রাখলেন যার বর্তমান মূল্য ৫,০০০/- টাকা। এরপর দেখলেন আপনার ছয় মাস পর যাওয়ার পেঁয়াজ বিক্রি করতে যাবেন। তখন দাম বেড়ে হয়ে গেছে ৭,০০০/- টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা এর বেশিও হতে পারে। কেননা আমরা একবার দেখেছি যে মাত্র ২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ গুলো এক সময়ে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। আপনি এই যে ৫,০০০/- টাকা ক্রয় করে স্টক করে রাখলেন। পরবর্তীতে যখন আপনি পেঁয়াজ গুলো বিক্রয় করবেন তখন তো আপনি নিশ্চয়ই মার্কেট ভ্যালু রিসার্চ করে বিক্রি করবেন। তখন আপনি বুঝে যাবে যে আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন। এই ব্যাপারে আপনার কত টাকা লাভ হবে তার একটা হিসাব সহজে বলা যায় যে, আপনার ৩০% থেকে ৫০ শতাংশ লাভ হবে।
তো আপনি স্টক পন্যের ব্যবসা ১০০ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনার ৩০ টাকা অথবা ৫০ টাকা এর মধ্যে লাভ থাকবে।
শেষ কথা : আশা করি বুঝে গেছেন যে কিভাবে গ্রামে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ঠিক করবেন। আপনারা যদি কেউ গ্রামে কোন লাভজনক ব্যবসা করতে চান তাহলে আমার এই পোস্ট অনুযায়ী যদি আপনার ব্যবসা করেন দেখবেন ঠিক হুবহু এভাবে আপনার টাকা লাভ হবে।
এরপরও যদি আপনি একটু সন্দেহ হয়ে থাকেন তাহলে অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আর অল্প কিছু টাকা কিন্তু আমাদের সবার কাছে কমবেশি থাকে। আপনি যদি একমাস নিজের পকেট খরচ বাঁচিয়ে সংরক্ষণ করেন, দেখবেন আপনার ব্যবসা করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ টাকা যোগাড় হয়ে গিয়েছে। তবে মূল বিষয় হলো যে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। আপনার যদি ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকে তাহলে যেভাবেই হোক ব্যবসা করার টাকা যোগাড় হয়ে যাবে। তো বন্ধুরা আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে যদি আপনার কোন বন্ধু বান্ধব ব্যবসা করতে আগ্রহী হয়। সেইসব বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে পারেন। দেখা হবে আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে ততক্ষন পর্যন্ত আশা করি আপনারা সবাই সুস্থ থাকবেন।