ঢাকা ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

কিশোর হত্যার বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে মানববন্ধন

  • আপডেট সময় : ০২:০০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীতে এক কিশোরের লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় তাঁরা ওই কিশোর হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানান। গতকাল সোমবার বেলা ৩টার থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা নগরের শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় চত্বরের চারদিকের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
নিহত কিশোরের নাম মো. সনি (১৭)। এর আগে গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে সনিকে একদল যুবক তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। সে রাজশাহী পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ওরফে পাখির ছোট ছেলে। সনি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তার বাড়ি নগরের বোয়ালিয়া থানার দড়িখরবোনা এলাকায়। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই নিহত কিশোরের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে মামলার আসামিদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
পুলিশ ও নিহত কিশোরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে সনি তার এক বন্ধুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যায়। এ সময় কয়েকজন যুবক হাসপাতাল থেকে তাকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাঁরা সনিকে হেতেম খাঁ সবজিপাড়া এলাকায় নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে রাস্তার পাশে ড্রেনে ফেলে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন সনিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় চিকিৎসকেরা সনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোমবার বিকেলে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তাঁরা এই হত্যাকা-ের দ্রুত বিচার চান। পুলিশকে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এ সময় বিচারের দাবিতে তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। একপর্যায়ে রাস্তার চারদিকে যানজট সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে আসেন সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মমিন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আবদুস সোবহান এবং রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও ২৩ নম্বর কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরী। তাঁরা উপস্থিত জনতাকে আশ্বাস দিয়ে জানান, পুলিশ দ্রুত জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করবে। এরপর তাঁরা সড়ক ছেড়ে চলে যান।
নিহত সনির বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত রোববার তাঁর ছোট ছেলে সনির ১৭তম জন্মদিন ছিল। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় ৩৫০ টাকা দিয়ে জন্মদিনের কেক কিনে দিয়েছিলেন। পরে বন্ধুদের নিয়ে সনি জন্মদিন উদ্যাপন করল। খেলতে গিয়ে সনির এক বন্ধু আহত হয়েছিল। জন্মদিন উদ্যাপন শেষে রাতে সনি তার বন্ধুকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিল। এরপর তাঁর ছেলে আর ফিরে এল না। তিনি সনির হত্যার বিচার চান। নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোর হত্যার বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০২:০০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীতে এক কিশোরের লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় তাঁরা ওই কিশোর হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানান। গতকাল সোমবার বেলা ৩টার থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা নগরের শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় চত্বরের চারদিকের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
নিহত কিশোরের নাম মো. সনি (১৭)। এর আগে গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে সনিকে একদল যুবক তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। সে রাজশাহী পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ওরফে পাখির ছোট ছেলে। সনি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তার বাড়ি নগরের বোয়ালিয়া থানার দড়িখরবোনা এলাকায়। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই নিহত কিশোরের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে মামলার আসামিদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
পুলিশ ও নিহত কিশোরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে সনি তার এক বন্ধুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যায়। এ সময় কয়েকজন যুবক হাসপাতাল থেকে তাকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাঁরা সনিকে হেতেম খাঁ সবজিপাড়া এলাকায় নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে রাস্তার পাশে ড্রেনে ফেলে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন সনিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় চিকিৎসকেরা সনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোমবার বিকেলে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তাঁরা এই হত্যাকা-ের দ্রুত বিচার চান। পুলিশকে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এ সময় বিচারের দাবিতে তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। একপর্যায়ে রাস্তার চারদিকে যানজট সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে আসেন সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মমিন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আবদুস সোবহান এবং রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও ২৩ নম্বর কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরী। তাঁরা উপস্থিত জনতাকে আশ্বাস দিয়ে জানান, পুলিশ দ্রুত জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করবে। এরপর তাঁরা সড়ক ছেড়ে চলে যান।
নিহত সনির বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত রোববার তাঁর ছোট ছেলে সনির ১৭তম জন্মদিন ছিল। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় ৩৫০ টাকা দিয়ে জন্মদিনের কেক কিনে দিয়েছিলেন। পরে বন্ধুদের নিয়ে সনি জন্মদিন উদ্যাপন করল। খেলতে গিয়ে সনির এক বন্ধু আহত হয়েছিল। জন্মদিন উদ্যাপন শেষে রাতে সনি তার বন্ধুকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিল। এরপর তাঁর ছেলে আর ফিরে এল না। তিনি সনির হত্যার বিচার চান। নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।