ঢাকা ০৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

ঘাতকের হাতে শেষ হয়ে গেলো পরিবারটি!

  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ মেয়েটির স্বামী মারা যাওয়ার পর বলেছিলাম বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ছেলের দিকে তাকিয়ে কোথাও যায়নি মেয়েটি। অবশেষে মা-ছেলে একসঙ্গে চলে গেছে। দুজনকেই ঘাতকরা কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। মেয়েটির সংসারে কেউ রইলো না। আহাজারি করছিলেন আর কথাগুলো বলছিলেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত রাজিয়া সুলতানা কাকলীর (৪২) মা খন্দকার তাসলিমা।
গতকাল রোববার সকালে আড়াইহাজারের উজান গোবিন্দপুর এলাকার নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার ছেলে তালহাকেও (৮) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
খন্দকার তাসলিমা বলেন, ‘আমার নাতি (তালহা) সারাক্ষণ আমাকে নানু নানু বলে ডাকতো। এখন আর কেউ ডাকবে না। নাতি ও আমার মেয়েকে বাঁচতে দিলো না। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমার মেয়েটি নীরব হয়ে যায়। তাকে সান্ত¡না দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। স্বামীর ভিটা আঁকড়ে ধরে ছেলেকে নিয়েই তার স্বপ্ন ছিল। এখন আর কেউ রইলো না।’
নিহত রাজিয়ার বড় বোন শাহিনা সুলতানা বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর বোনটিকে কতবার বলেছি চলে আসার জন্য। কিন্তু সে তার স্বামীর ভিটা ছেড়ে যাবে না। তাই তার ছেলে তালহাকে নিয়ে এখানেই বসবাস করতো। দুজনকেই মেরে ফেলেছে। কাউকেই বাঁচতে দিলো না ঘাতকরা।’
ছোট বোন ফারহানা সুলতানা বলেন, ‘আমার বোন কেমন ছিল এলাকাবাসী সবাই জানে। কারও সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল না। কারও সঙ্গে কখনো কথা বলতো না। সবসময় পর্দা করে চলতো। আমার ভগ্নিপতি মারা যাওয়ার পর আমিই সবসময় তাদের বাড়ি আসা-যাওয়া করতাম। আজ থেকে আর আসতে হবে না আমাকে।’
এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ হত্যাকা-ের পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলো সবগুলো বিষয় নিয়ে তাদের কাজ চলমান রেখেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মিটফোর্ড হাসপাতাল ‘শাটডাউন’ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

ঘাতকের হাতে শেষ হয়ে গেলো পরিবারটি!

আপডেট সময় : ০১:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ মেয়েটির স্বামী মারা যাওয়ার পর বলেছিলাম বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ছেলের দিকে তাকিয়ে কোথাও যায়নি মেয়েটি। অবশেষে মা-ছেলে একসঙ্গে চলে গেছে। দুজনকেই ঘাতকরা কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। মেয়েটির সংসারে কেউ রইলো না। আহাজারি করছিলেন আর কথাগুলো বলছিলেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত রাজিয়া সুলতানা কাকলীর (৪২) মা খন্দকার তাসলিমা।
গতকাল রোববার সকালে আড়াইহাজারের উজান গোবিন্দপুর এলাকার নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার ছেলে তালহাকেও (৮) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
খন্দকার তাসলিমা বলেন, ‘আমার নাতি (তালহা) সারাক্ষণ আমাকে নানু নানু বলে ডাকতো। এখন আর কেউ ডাকবে না। নাতি ও আমার মেয়েকে বাঁচতে দিলো না। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমার মেয়েটি নীরব হয়ে যায়। তাকে সান্ত¡না দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। স্বামীর ভিটা আঁকড়ে ধরে ছেলেকে নিয়েই তার স্বপ্ন ছিল। এখন আর কেউ রইলো না।’
নিহত রাজিয়ার বড় বোন শাহিনা সুলতানা বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর বোনটিকে কতবার বলেছি চলে আসার জন্য। কিন্তু সে তার স্বামীর ভিটা ছেড়ে যাবে না। তাই তার ছেলে তালহাকে নিয়ে এখানেই বসবাস করতো। দুজনকেই মেরে ফেলেছে। কাউকেই বাঁচতে দিলো না ঘাতকরা।’
ছোট বোন ফারহানা সুলতানা বলেন, ‘আমার বোন কেমন ছিল এলাকাবাসী সবাই জানে। কারও সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল না। কারও সঙ্গে কখনো কথা বলতো না। সবসময় পর্দা করে চলতো। আমার ভগ্নিপতি মারা যাওয়ার পর আমিই সবসময় তাদের বাড়ি আসা-যাওয়া করতাম। আজ থেকে আর আসতে হবে না আমাকে।’
এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ হত্যাকা-ের পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলো সবগুলো বিষয় নিয়ে তাদের কাজ চলমান রেখেছে।