ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

চতুর্থ ঢেউ ঠেকাতে মাস্ক পরার বিকল্প নেই: ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ

  • আপডেট সময় : ০১:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলা করতে মাস্ক পরার কোনও বিকল্প নেই বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। ভাইরাসটির নতুন ধরন দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে ছড়ায় উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক করেছেন তিনি।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
সেমিনারে অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সবাইকে হাত ধোয়ার অভ্যাস চর্চা ও সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখাসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’ করোনাভাইরাসের নতুন ধরন যথাযথভাবে মোকাবিলা করার জন্য দ্রুত কোভিডের টিকা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে ছড়ায় এবং আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় ১০ জনকে সংক্রমিত করতে পারে বলে জানান এই ইমেরিটাস অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় ১০ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। তবে সংক্রমণের হারে বৃদ্ধি পেলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
তবে করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলায় লকডাউনের মতো পদক্ষেপের প্রয়োজন পড়বে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তবে বেপরোয়াভাবে চলাচল বা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা যাবে না।’
টিকার প্রসঙ্গে এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে নাকে নেওয়ার ওষুধের ট্রায়াল শিগগিরই দেশে শুরু হতে পারে। বাংলাদেশ ও সুইডেনের যৌথ উদ্যোগে এই ওষুধ বাংলাদেশে তৈরি হবে। এই টিকা করোনাভাইরাসের সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই প্রায় শতভাগ কার্যকর হবে এবং এটি মানুষকে অনেক বেশি সুরক্ষা দেবে। এবিএম আব্দুল্লাহ জানান, ‘শিগগির ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টিও সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অভিমত অনুযায়ী ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।’
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ইউজিসি’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এপির’র ফোকাল পয়েন্ট মো. গোলাম দস্তগীরের সঞ্চালনায় সেমিনারে ইউজিসি’র উপপরিচালক, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও সমপর্যায়ের ৪০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চতুর্থ ঢেউ ঠেকাতে মাস্ক পরার বিকল্প নেই: ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ

আপডেট সময় : ০১:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলা করতে মাস্ক পরার কোনও বিকল্প নেই বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। ভাইরাসটির নতুন ধরন দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে ছড়ায় উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক করেছেন তিনি।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
সেমিনারে অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সবাইকে হাত ধোয়ার অভ্যাস চর্চা ও সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখাসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’ করোনাভাইরাসের নতুন ধরন যথাযথভাবে মোকাবিলা করার জন্য দ্রুত কোভিডের টিকা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে ছড়ায় এবং আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় ১০ জনকে সংক্রমিত করতে পারে বলে জানান এই ইমেরিটাস অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় ১০ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। তবে সংক্রমণের হারে বৃদ্ধি পেলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
তবে করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলায় লকডাউনের মতো পদক্ষেপের প্রয়োজন পড়বে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তবে বেপরোয়াভাবে চলাচল বা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা যাবে না।’
টিকার প্রসঙ্গে এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে নাকে নেওয়ার ওষুধের ট্রায়াল শিগগিরই দেশে শুরু হতে পারে। বাংলাদেশ ও সুইডেনের যৌথ উদ্যোগে এই ওষুধ বাংলাদেশে তৈরি হবে। এই টিকা করোনাভাইরাসের সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই প্রায় শতভাগ কার্যকর হবে এবং এটি মানুষকে অনেক বেশি সুরক্ষা দেবে। এবিএম আব্দুল্লাহ জানান, ‘শিগগির ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টিও সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অভিমত অনুযায়ী ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।’
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ইউজিসি’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এপির’র ফোকাল পয়েন্ট মো. গোলাম দস্তগীরের সঞ্চালনায় সেমিনারে ইউজিসি’র উপপরিচালক, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও সমপর্যায়ের ৪০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন করেন।