ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

এবার ‘ডেল্টা প্লাস’ আতঙ্ক

  • আপডেট সময় : ০২:০৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত মে মাসেই ভারতে করোনার নতুন রুপ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এটির নাম দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়ায় অনেকে এটিকে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টও বলে থাকে। দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে দায়ী ছিল এই ভ্যারিয়েন্ট। কিন্তু এখন এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টেরও রুপ বদলেছে। বিজ্ঞানীরা এর নতুন নামকরণ করেছেন ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট।
ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল ট্রিটমেন্টের বিরুদ্ধেও টিকে থাকতে সক্ষম। এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্প্রতি শনাক্ত করেছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্র্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।
করোনার নতুন শনাক্ত ভ্যারিয়েন্টটি সম্পর্কে এক জিনোম সিকোয়েন্সিং বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ডেল্টার এই সিকোয়েন্সের স্পাইক মিউটেশন পাওয়া যেতে পারে এর মধ্যে। এখনও পর্যন্ত ১০টি দেশে এই জিনোম খুঁজে পাওয়া গেছে। এই সিকোয়েন্স সম্প্রতি নতুন বংশবিস্তার করেছে যাকে বলা হচ্ছে ডেল্টা প্লাস। এটি ডেল্টারই অনুরুপ ভাইরাস। ডেল্টা প্লাস এমন একটি মিউটেশন যা বিটা ভ্যারিয়েন্টের মধ্যেও পাওয়া যায়। পাব্লিক হেল্থ ইংল্যান্ড সম্প্রতি এক তথ্যে জানিয়েছে, ৭ জুন পর্যন্ত ভারতে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট ৬টি জিনোমের মধ্যে পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ৬৩টি জিনোম রয়েছে যার মধ্যে নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মিউটেশন উপস্থিত। দিল্লির ইনস্টিটিউট অব জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজির এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, দ্রত সংক্রমিত হয় ভ্যারিয়েন্ট প্লাস। এর জন্য ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনই দায়ী। এটি হল এমন এক ধরনের ভ্যারিয়েন্ট যা মানুষের কোষে প্রবেশ করে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটায়। যদিও বর্তমানে ভারতে এই ভাইরাসটি খুব বেশি ছড়ায়নি। তবে ইউরোপ, এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে এর সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, জাপান, পর্তুগাল, পোল্যান্ড, তুরস্ক, নেপাল এবং সুইজারল্যান্ডের মতো ভারত ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এটি শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে।
দেশে ছয় সপ্তাহ পর দিনে ৬০ মৃত্যু, শনাক্ত প্রায় চার হাজার : এদিকে গত কয়েকদিন ধরে দেশে করোনাভাইরাসে দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত বাড়ছেই। এ ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৬০ জন, যা ছয় সপ্তাহ পর সবচেয়ে বেশি। এর আগে সবশেষ গত ৪ মে একদিনে সর্বোচ্চ ৬১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। এরপর মৃত্যুর সংখ্যা এতো বাড়েনি।
এদিকে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি দেশে বেড়েছে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৫৬ জন, যা ৫৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছিল গত ২২ এপ্রিল। সেদিন ৪ হাজার ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
গতকাল বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৮০৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৯৫৬ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬.৬২। গতকাল ছিল ১৪.২৭ শতাংশ। সোমবার ছিল ১৪.৮০ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩.৪১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৬ জন ও নারী ২৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন ও ষাটোর্ধ্ব ২৩ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৩ হাজার ২৮২ জন। গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৭৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ জন। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদ- অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়। এরমধ্যে গত ১৬ এপ্রিল দেশে দৈনিক মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এবার ‘ডেল্টা প্লাস’ আতঙ্ক

আপডেট সময় : ০২:০৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত মে মাসেই ভারতে করোনার নতুন রুপ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এটির নাম দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়ায় অনেকে এটিকে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টও বলে থাকে। দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে দায়ী ছিল এই ভ্যারিয়েন্ট। কিন্তু এখন এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টেরও রুপ বদলেছে। বিজ্ঞানীরা এর নতুন নামকরণ করেছেন ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট।
ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল ট্রিটমেন্টের বিরুদ্ধেও টিকে থাকতে সক্ষম। এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্প্রতি শনাক্ত করেছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্র্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।
করোনার নতুন শনাক্ত ভ্যারিয়েন্টটি সম্পর্কে এক জিনোম সিকোয়েন্সিং বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ডেল্টার এই সিকোয়েন্সের স্পাইক মিউটেশন পাওয়া যেতে পারে এর মধ্যে। এখনও পর্যন্ত ১০টি দেশে এই জিনোম খুঁজে পাওয়া গেছে। এই সিকোয়েন্স সম্প্রতি নতুন বংশবিস্তার করেছে যাকে বলা হচ্ছে ডেল্টা প্লাস। এটি ডেল্টারই অনুরুপ ভাইরাস। ডেল্টা প্লাস এমন একটি মিউটেশন যা বিটা ভ্যারিয়েন্টের মধ্যেও পাওয়া যায়। পাব্লিক হেল্থ ইংল্যান্ড সম্প্রতি এক তথ্যে জানিয়েছে, ৭ জুন পর্যন্ত ভারতে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট ৬টি জিনোমের মধ্যে পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ৬৩টি জিনোম রয়েছে যার মধ্যে নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মিউটেশন উপস্থিত। দিল্লির ইনস্টিটিউট অব জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজির এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, দ্রত সংক্রমিত হয় ভ্যারিয়েন্ট প্লাস। এর জন্য ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনই দায়ী। এটি হল এমন এক ধরনের ভ্যারিয়েন্ট যা মানুষের কোষে প্রবেশ করে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটায়। যদিও বর্তমানে ভারতে এই ভাইরাসটি খুব বেশি ছড়ায়নি। তবে ইউরোপ, এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে এর সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, জাপান, পর্তুগাল, পোল্যান্ড, তুরস্ক, নেপাল এবং সুইজারল্যান্ডের মতো ভারত ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এটি শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে।
দেশে ছয় সপ্তাহ পর দিনে ৬০ মৃত্যু, শনাক্ত প্রায় চার হাজার : এদিকে গত কয়েকদিন ধরে দেশে করোনাভাইরাসে দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত বাড়ছেই। এ ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৬০ জন, যা ছয় সপ্তাহ পর সবচেয়ে বেশি। এর আগে সবশেষ গত ৪ মে একদিনে সর্বোচ্চ ৬১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। এরপর মৃত্যুর সংখ্যা এতো বাড়েনি।
এদিকে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি দেশে বেড়েছে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৫৬ জন, যা ৫৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছিল গত ২২ এপ্রিল। সেদিন ৪ হাজার ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
গতকাল বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৮০৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৯৫৬ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬.৬২। গতকাল ছিল ১৪.২৭ শতাংশ। সোমবার ছিল ১৪.৮০ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩.৪১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৬ জন ও নারী ২৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন ও ষাটোর্ধ্ব ২৩ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৩ হাজার ২৮২ জন। গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৭৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ জন। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদ- অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়। এরমধ্যে গত ১৬ এপ্রিল দেশে দৈনিক মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।