ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

বাড়ছে করোনা, সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : আবারও বাড়তে শুরু করেছে মহামারি করোনা সংক্রমণ। একশো দিনেরও বেশি সময় পর সোমবার (২০ জুন) শনাক্ত ছাড়িয়েছে পাঁচশো, হয়েছে ৮৭৩। সংক্রমণের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারাকে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ শুরু বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
হঠাৎ করে গত সপ্তাহ খানেক ধরে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ার কারণ হিসেবে নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই করোনা সংক্রমণ রোধে সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং করোনার টিকা নেওয়ার ওপর অধিক জোর দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ওমিক্রনের প্রভাবে দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে মোটামুটি লম্বা সময়ই কেটেছে বেশ স্বস্তির সাথে। করোনায় সংক্রমণের হার কোনও কোনও দিন শূন্যের ঘরে ছিল। এর মধ্যে মাঝে টানা এক মাসের বেশি সময় করোনায় মৃত্যুহীন দিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ।
বেশ খোলামেলাভাবে, মাস্ক ছাড়াই আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চলছি। কিন্তু গত কিছুদিন থেকে কাটতে শুরু করেছে স্বস্তিদায়ক সে পরিস্থিতি। সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা। এর মধ্যেই নতুন উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে কোভিডের ঊর্ধ্বগতি।
তিন মাসেরও বেশি সময় পর আজ দেশে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত ৮০০ ছাড়িয়েছে। শনাক্তের হারও দাঁড়িয়েছে ১০.৮৭ শতাংশ। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিকে স্প্যানিশ ফ্লুর সঙ্গে তুলনা করছেন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। আবার বর্তমান করোনা ঢেউয়ের পেছনে নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, স্প্যানিশ ফ্লুর কথা যদি ভাবা হয়, তাহলে ওই সময়েও চারটি তরঙ্গ ছিল। বর্তমানে নতুন করে সব দেশেই কিন্তু করোনা রোগী বাড়ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশে সেরকম একটি সময় চলছে। সবাইকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। মানতে হবে সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি।
আরেক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফরহাদ মনজুর সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন, করোনার বর্তমান এ ঊর্ধ্বগতিতে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে উদাসীন হলে চলবে না। টিকা নিলেও এব্যাপারে উদাসীন হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সংক্রমণ বর্তমান হারে বাড়তে থাকলে সেটি সার্বিকভাবেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে জনস্বাস্থ্যে। ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে, ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।
এ বিশেষজ্ঞ বলেন, আক্রান্তের হার ও লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে- করোনার নতুন ধরন আসছে। সবাইকে আরও বেশি সতর্ক হয়ে চলাফেরা করতে হবে। নতুন যে ধরনটি আসার সম্ভাবনা রয়েছে, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন হবে- সেটি এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। যারা বাদ পড়েছেন, তাদের সবাইকে দ্রুত করোনার প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নিতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

বাড়ছে করোনা, সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

আপডেট সময় : ০৯:০৪:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : আবারও বাড়তে শুরু করেছে মহামারি করোনা সংক্রমণ। একশো দিনেরও বেশি সময় পর সোমবার (২০ জুন) শনাক্ত ছাড়িয়েছে পাঁচশো, হয়েছে ৮৭৩। সংক্রমণের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারাকে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ শুরু বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
হঠাৎ করে গত সপ্তাহ খানেক ধরে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ার কারণ হিসেবে নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই করোনা সংক্রমণ রোধে সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং করোনার টিকা নেওয়ার ওপর অধিক জোর দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ওমিক্রনের প্রভাবে দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে মোটামুটি লম্বা সময়ই কেটেছে বেশ স্বস্তির সাথে। করোনায় সংক্রমণের হার কোনও কোনও দিন শূন্যের ঘরে ছিল। এর মধ্যে মাঝে টানা এক মাসের বেশি সময় করোনায় মৃত্যুহীন দিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ।
বেশ খোলামেলাভাবে, মাস্ক ছাড়াই আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চলছি। কিন্তু গত কিছুদিন থেকে কাটতে শুরু করেছে স্বস্তিদায়ক সে পরিস্থিতি। সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা। এর মধ্যেই নতুন উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে কোভিডের ঊর্ধ্বগতি।
তিন মাসেরও বেশি সময় পর আজ দেশে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত ৮০০ ছাড়িয়েছে। শনাক্তের হারও দাঁড়িয়েছে ১০.৮৭ শতাংশ। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিকে স্প্যানিশ ফ্লুর সঙ্গে তুলনা করছেন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। আবার বর্তমান করোনা ঢেউয়ের পেছনে নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, স্প্যানিশ ফ্লুর কথা যদি ভাবা হয়, তাহলে ওই সময়েও চারটি তরঙ্গ ছিল। বর্তমানে নতুন করে সব দেশেই কিন্তু করোনা রোগী বাড়ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশে সেরকম একটি সময় চলছে। সবাইকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। মানতে হবে সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি।
আরেক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফরহাদ মনজুর সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন, করোনার বর্তমান এ ঊর্ধ্বগতিতে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে উদাসীন হলে চলবে না। টিকা নিলেও এব্যাপারে উদাসীন হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সংক্রমণ বর্তমান হারে বাড়তে থাকলে সেটি সার্বিকভাবেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে জনস্বাস্থ্যে। ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে, ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।
এ বিশেষজ্ঞ বলেন, আক্রান্তের হার ও লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে- করোনার নতুন ধরন আসছে। সবাইকে আরও বেশি সতর্ক হয়ে চলাফেরা করতে হবে। নতুন যে ধরনটি আসার সম্ভাবনা রয়েছে, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন হবে- সেটি এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। যারা বাদ পড়েছেন, তাদের সবাইকে দ্রুত করোনার প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নিতে হবে।