ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

সুন্দরবন সম্প্রসারিত হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:৫০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন ‘সম্প্রসারিত হচ্ছে’ এবং বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সুন্দরবনের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবন সম্প্রসারিত হচ্ছে।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালে করা বাঘ শুমারিতে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা পাওয়া গিয়েছিল ১০৬টি। ২০১৮ সালের শুমারিতে তা বেড়ে ১১৪টি হয়েছে।
সংসদ নেতা বলেন, “দেশের উন্নয়নে যে পদক্ষেপেই নেওয়া হোক না কেন সুন্দরবন এবং এর জীব বৈচিত্র্য যেন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সুন্দরবনের আয়তন বাড়ানোর জন্য সরকার কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে। সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চলে এর বিস্তৃতি ঘটানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।”
সুন্দরবনের গাছ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় এবং বন অপরাধ দমনের জন্য ‘স্মার্ট পেট্রোলিংসহ’ নানা ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তিনি বলেন। প্রায় দশ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার অংশ বাংলাদেশের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় পড়েছে; বাকিটা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায়।
প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, জীব বৈচিত্র্যের আধার সুন্দরবনে এখন ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড এবং ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী পাওয়া যায়।
বন্যপ্রাণীর মধ্যে ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর, ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ২১০ প্রজাতির মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া আছে।
সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য বনকর্মীদের যুগোপযোগী করে তুলে এদের সংখ্যা বৃদ্ধির পদক্ষেপের কথাও জানান সরকারপ্রধান। ২০১৭ সালে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এলাকা সম্প্রসারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বর্তমানে সুন্দরবনের প্রায় ৫৩ শতাংশ এলাকা অভয়ারণ্যের অন্তর্ভুক্ত।”
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ আনোয়ার হোসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যে সকল স্থানে অবস্থান করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বিভিন্ন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সে সকল স্থান বিশেষভাবে সংরক্ষণের জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।”
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের স্মরণে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে ১৫০ ফুট উঁচু গ্লাস টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। যশোরের রাজগঞ্জ বাজারে ও ফরিদপুরের অম্বিকা ময়দানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে।
ঢাকার মিন্টো রোড ও আব্দুল গণি রোডের যে ভবনগুলোতে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ছিল, সেগুলো সংরক্ষণের আইনানুগ কার্যক্রম চলছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের যে সকল স্থান বঙ্গবন্ধুর বিশেষ স্মৃতি বিজড়িত, ওই সকল স্থানে ঘটনার তাৎপর্য, ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় স্মৃতি সংরক্ষণ করা হলে তরুণ ও ভবিষ্যত প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে অবহিত হতে পারবে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সুন্দরবন সম্প্রসারিত হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৫০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন ‘সম্প্রসারিত হচ্ছে’ এবং বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সুন্দরবনের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবন সম্প্রসারিত হচ্ছে।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালে করা বাঘ শুমারিতে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা পাওয়া গিয়েছিল ১০৬টি। ২০১৮ সালের শুমারিতে তা বেড়ে ১১৪টি হয়েছে।
সংসদ নেতা বলেন, “দেশের উন্নয়নে যে পদক্ষেপেই নেওয়া হোক না কেন সুন্দরবন এবং এর জীব বৈচিত্র্য যেন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সুন্দরবনের আয়তন বাড়ানোর জন্য সরকার কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে। সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চলে এর বিস্তৃতি ঘটানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।”
সুন্দরবনের গাছ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় এবং বন অপরাধ দমনের জন্য ‘স্মার্ট পেট্রোলিংসহ’ নানা ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তিনি বলেন। প্রায় দশ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার অংশ বাংলাদেশের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় পড়েছে; বাকিটা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায়।
প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, জীব বৈচিত্র্যের আধার সুন্দরবনে এখন ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড এবং ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী পাওয়া যায়।
বন্যপ্রাণীর মধ্যে ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর, ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ২১০ প্রজাতির মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া আছে।
সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য বনকর্মীদের যুগোপযোগী করে তুলে এদের সংখ্যা বৃদ্ধির পদক্ষেপের কথাও জানান সরকারপ্রধান। ২০১৭ সালে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এলাকা সম্প্রসারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বর্তমানে সুন্দরবনের প্রায় ৫৩ শতাংশ এলাকা অভয়ারণ্যের অন্তর্ভুক্ত।”
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ আনোয়ার হোসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যে সকল স্থানে অবস্থান করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বিভিন্ন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সে সকল স্থান বিশেষভাবে সংরক্ষণের জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।”
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের স্মরণে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে ১৫০ ফুট উঁচু গ্লাস টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। যশোরের রাজগঞ্জ বাজারে ও ফরিদপুরের অম্বিকা ময়দানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে।
ঢাকার মিন্টো রোড ও আব্দুল গণি রোডের যে ভবনগুলোতে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ছিল, সেগুলো সংরক্ষণের আইনানুগ কার্যক্রম চলছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের যে সকল স্থান বঙ্গবন্ধুর বিশেষ স্মৃতি বিজড়িত, ওই সকল স্থানে ঘটনার তাৎপর্য, ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় স্মৃতি সংরক্ষণ করা হলে তরুণ ও ভবিষ্যত প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে অবহিত হতে পারবে।”