ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

অবশেষে কারামুক্ত হলেন সেই মিনু

  • আপডেট সময় : ০১:৩১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্যের হয়ে প্রায় তিন বছর কারাভোগের পর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মিনু। গতকাল বুধবার বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন মিনু। এর আগে গত ৭ মে মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সে আদেশের কপি চট্টগ্রামের আদালত হয়ে কারাগারে পৌঁছানোর পর তাকে মুক্তি দেয়া হলো। গত ২২ মার্চ একটি গণমাধ্যমে ‘এক নারীর সাজা খাটছেন অন্য নারী!’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে। জানা যায়, ২০০৬ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার রহমতগঞ্জের একটি বাসায় মোবাইলে কথা বলা নিয়ে গার্মেন্টসকর্মী কহিনুর আক্তারকে গলাটিপে হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপর মরদেহটি একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কিন্তু কহিনুর আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন অপরাধী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে কহিনুরকে হত্যা করা হয় বলে প্রতিবেদন দেন। এতে আসামি করা হয় কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে আদালত কহিনুর আক্তারকে হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদ-সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদ-ের আদেশ দেন। তবে সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমী বদলি মিনু ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান। তিন বছর পর বিনা অপরাধে সাজা ভোগ করার পর তিনি মুক্তি পেলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অবশেষে কারামুক্ত হলেন সেই মিনু

আপডেট সময় : ০১:৩১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্যের হয়ে প্রায় তিন বছর কারাভোগের পর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মিনু। গতকাল বুধবার বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন মিনু। এর আগে গত ৭ মে মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সে আদেশের কপি চট্টগ্রামের আদালত হয়ে কারাগারে পৌঁছানোর পর তাকে মুক্তি দেয়া হলো। গত ২২ মার্চ একটি গণমাধ্যমে ‘এক নারীর সাজা খাটছেন অন্য নারী!’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে। জানা যায়, ২০০৬ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার রহমতগঞ্জের একটি বাসায় মোবাইলে কথা বলা নিয়ে গার্মেন্টসকর্মী কহিনুর আক্তারকে গলাটিপে হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপর মরদেহটি একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কিন্তু কহিনুর আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন অপরাধী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে কহিনুরকে হত্যা করা হয় বলে প্রতিবেদন দেন। এতে আসামি করা হয় কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে আদালত কহিনুর আক্তারকে হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদ-সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদ-ের আদেশ দেন। তবে সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমী বদলি মিনু ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান। তিন বছর পর বিনা অপরাধে সাজা ভোগ করার পর তিনি মুক্তি পেলেন।