নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের চেন্নাইতে যেতে চেয়েছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। যেতে পারেননি। ইমিগ্রেশনে আটকে দেওয়া হয় তাকে। বাধ্য হয়ে ফিরে আসেন তিনি। গতকাল রোববার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জানান, তিনি কিডনি রোগে ভুগছেন। চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইতে যেতে চেয়েছিলেন। সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। বলেন, ‘রীতিমতো আমাকে অফলোড করে দিয়েছে। ইউএস বাংলার ফ্লাইট থামিয়ে রেখে আমার লাগেজ নামিয়ে আমাকে ফেরত দিয়েছে।’
কী কারণে যেতে দেওয়া হয়নি বিদেশে? জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘কোনো কারণই স্পষ্ট করে বলে না। বলে মামলা আছে। মামলা তো অনেকের বিরুদ্ধেই থাকে।’
আলাল বলেন, ‘আমার কাছে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাও ছিল। আমাকে বিনা বাধায় দেশ থেকে যেতে, আসতে দিতে হবে। এর ব্যতয় হলে জবাবদিহি করতে হবে। সেই সার্টিফাইড কপি দিলাম। চেন্নাইয়ের চিকিৎসকের সঙ্গে আমার যে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট সেটি দিলাম। সব কাগজপত্র দেখালাম কিন্তু কোনো কথাই শুনল না।’
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব জানান, গত ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাইতে তার দেহে বড় একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তারই ফলোআপে যাচ্ছিলেন তিনি। সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে তিনি ভারতের চেন্নাইতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। ফিরেছেন গত ডিসেম্বরে। সকাল আটটার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে বিমানবন্দর যান বিএনপি নেতা আলাল। ফ্লাইট ছিল বেলা সোয়া ১১টায়। দীর্ঘক্ষণ তাকে অপেক্ষা করানো হয়। একপর্যায়ে তাকে জানানো হয়, তার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাকে বিদেশ যেতে দেওয়া হবে না।
বিমানবন্দর থেকে ফেরত, কেন ভারতে যেতে চেয়েছিলেন আলাল?
ট্যাগস :
বিমানবন্দর থেকে ফেরত
জনপ্রিয় সংবাদ