ঢাকা ১২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫

এমপি বাহারকে এবার কুমিল্লা ছাড়তে বলল ইসি

  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথমে সতর্ক করে দিয়েছিল, তাতেও কাজ না হওয়ায় এবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এলাকা ছাড়তে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্যকে এখনই এলাকা ছাড়তে বলে গতকাল বুধবার চিঠি পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন ইসির যুগ্মসচিব জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান। ইসির সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের এই নেতা বাহারের কোনো প্রতিক্রিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারেনি।
বাহারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ইসিতে করেছিলেন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। বিদায়ী এই মেয়র বিএনপি ছেড়ে এবার ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো সংসদ সদস্য স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রচারে অংশ নিতে পারেন না। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে শুধু ভোট দিতেই নির্ধারিত কেন্দ্রে যেতে পারেন। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার শুরুতেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে সভায় অংশ নিলে তাকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছিল ইসি।
এরপর মঙ্গলবার সাক্কু অভিযোগ করেন, বাহার নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে মহানগর দলীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় মহানগর ও আদর্শ সদর উপজেলার নেতাকর্মীদের একত্রিত করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ ছাড়া পাশের সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে, দিচ্ছেন নানা নির্দেশনা।

তার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটের ছয় দিন আগে বাহারকে এলাকা ছাড়তে বলে চিঠি পাঠাল ইসি। তাতে বলা হয়েছে, “কুমিল্লা-৬ নির্বাচনী এলাকা ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান কযেছেন। এমতাবস্থায়, অনতিবিলম্বে আপনাকে উল্লিখিত নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করে আচরণ বিধি প্রতিপালন বিষয়ে কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।”
সাক্কু অভিযোগ করার পর বাহার মঙ্গলবার বলেছিলেন, তিনি আচরণবিধি ভঙ্গ করেননি, কোনো নির্বাচনী প্রচারেও যাননি। কারও কাছে ভোটও চাননি। তবে একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “আমি তো এলাকার জনপ্রতিনিধি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের প্রতি আমার অনেক দায়িত্ব থাকে, কাজ থাকে। মানুষ আমার কাছে আসে। সেই দায়িত্ব পালনের নিষেধের কথা তো কোথাও বলা নেই।” আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। এতে বিদায়ী মেয়র সাক্কু লড়ছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন রিফাত।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এমপি বাহারকে এবার কুমিল্লা ছাড়তে বলল ইসি

আপডেট সময় : ০২:৩৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথমে সতর্ক করে দিয়েছিল, তাতেও কাজ না হওয়ায় এবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এলাকা ছাড়তে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্যকে এখনই এলাকা ছাড়তে বলে গতকাল বুধবার চিঠি পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন ইসির যুগ্মসচিব জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান। ইসির সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের এই নেতা বাহারের কোনো প্রতিক্রিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারেনি।
বাহারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ইসিতে করেছিলেন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। বিদায়ী এই মেয়র বিএনপি ছেড়ে এবার ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো সংসদ সদস্য স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রচারে অংশ নিতে পারেন না। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে শুধু ভোট দিতেই নির্ধারিত কেন্দ্রে যেতে পারেন। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার শুরুতেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে সভায় অংশ নিলে তাকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছিল ইসি।
এরপর মঙ্গলবার সাক্কু অভিযোগ করেন, বাহার নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে মহানগর দলীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় মহানগর ও আদর্শ সদর উপজেলার নেতাকর্মীদের একত্রিত করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ ছাড়া পাশের সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে, দিচ্ছেন নানা নির্দেশনা।

তার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটের ছয় দিন আগে বাহারকে এলাকা ছাড়তে বলে চিঠি পাঠাল ইসি। তাতে বলা হয়েছে, “কুমিল্লা-৬ নির্বাচনী এলাকা ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান কযেছেন। এমতাবস্থায়, অনতিবিলম্বে আপনাকে উল্লিখিত নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করে আচরণ বিধি প্রতিপালন বিষয়ে কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।”
সাক্কু অভিযোগ করার পর বাহার মঙ্গলবার বলেছিলেন, তিনি আচরণবিধি ভঙ্গ করেননি, কোনো নির্বাচনী প্রচারেও যাননি। কারও কাছে ভোটও চাননি। তবে একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “আমি তো এলাকার জনপ্রতিনিধি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের প্রতি আমার অনেক দায়িত্ব থাকে, কাজ থাকে। মানুষ আমার কাছে আসে। সেই দায়িত্ব পালনের নিষেধের কথা তো কোথাও বলা নেই।” আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। এতে বিদায়ী মেয়র সাক্কু লড়ছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন রিফাত।