নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে জনগণের বারোটা বাজিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও খালেদা জিয়াকে ‘হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবক দল।
সরকারের উদ্দেশে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি জানান গয়েশ্বর। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ল, বিদ্যুতের দাম বাড়ল, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়ল। জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে সরকার জনগণের বারোটা বাজিয়েছে। আর বর্তমান সরকারের বারোটা অনেক আগেই বেজে গেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে অতীতে তারা নির্বাচিত হতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।
গয়েশ্বর বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সম্প্রতি এক সভায় বলেন, ৭ নভেম্বরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। সেটাকে সরকারের লোকেরা বলতে চায়, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। জাতীয়তাবাদী দল কোনো খুনির দল না, তারা খুনখারাবিতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি বিশ্বাস করে সরকারের পদত্যাগে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আপনারা বলছেন, আপনাদের নেত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা হত্যার হুমকি দেব কেন? এ অভ্যাস আমাদের নেই, আপনাদের আছে। আমরা গণতন্ত্রের কথা বলছি। আমরা গণতন্ত্র চাই।’
সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করছে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামে জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এভাবে দমনপীড়ন করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আমান উল্লাহ বলেন, ‘আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন। এই সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন হবে। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন হবে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, গ্যাস-চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বেড়েছে। অথচ এই সরকার বলেছিল, তারা মানুষকে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবে। ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। কিন্তু কোথায় সেই ১০ টাকা কেজি চাল! জনগণের প্রতি এ সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলেই দাম বাড়ছে। সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান। বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।