নিজস্ব প্রতিবেদক : হাট-বাজারের সীমানার বাইরের খাসজমিতে বহুতল মার্কেট নির্মাণ করতে পারবে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো। এজন্য একটি নীতিমালা করছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত নীতিমালা করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, হাট-বাজারের সীমানার বাইরে খাসজমিতে মার্কেট নির্মাণ হলে স্থানীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়বে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং কর্মসংস্থান হবে।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন বিদ্যমান হাট-বাজারের সীমানার মধ্যে খাসজমিতে বহুতল মার্কেট নির্মাণের জন্য আলাদা নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু হাট-বাজারের বাইরের খাসজমিতে মার্কেট নির্মাণে কোনো বিধান নেই।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ- এসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়াতে হাট-বাজারের পেরিফেরির (সীমানা) বাইরে খাসজমিতে বহুতল মার্কেট নির্মাণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে।
এক্ষেত্রে যেসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান অকৃষি খাসজমি নীতিমালার আওতায় বাজারমূল্য দিয়ে খাসজমি বন্দোবস্তে সক্ষম নয়, বা প্রত্যাশিত খাসজমি তাদের অনুকূলে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত দেওয়া সম্ভব নয়, সেসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে খাসজমিতে মার্কেট নির্মাণের সুযোগ দিতে নীতিমালা তৈরি হচ্ছে।
অংশীজনের মতামত ও প্রয়োজনীয় যাচাইয়ের পর এই নির্দেশাবলী বা নীতিমালা অনুমোদিত হয়ে জারি হলে তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া সারাদেশে কার্যকর হবে। তবে তা কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নিজ এলাকায় অবস্থিত সরকারি খাসজমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
এ ক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে সরকারি-বেসরকারি অর্থায়ন বা বৈদেশিক সাহায্যে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান আধুনিক বহুতলবিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ করতে পারবে। তবে মার্কেট নির্মাণের অর্থায়নের উৎসসহ প্রকল্প প্রস্তাব স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত হতে হবে। সেই সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদনের সঙ্গে এর অনুলিপি জমা দিতে হবে।
এ বিষয়ে সভায় ভূমিমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের মার্কেট নির্মাণ হলে তাতে স্থানীয় প্রকৃত ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ নিরাপত্তা।
সভায় ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ অর্থ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।