ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

লাইভ করা নয়নের মরদেহ বাড়িতে, শোকের মাতম

  • আপডেট সময় : ১২:০৮:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের সীতাকু-ে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকা-ের ঘটনা প্রথম ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করা তরুণ অলিউর রহমান নয়নের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছায় বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলি নয়নের গ্রামের বাড়িতে এখন শোকাহত মানুষের ঢল। চলছে শোকের মাতম। মাতৃহীন অলিউর রহমান নয়নের আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী এমনকি অনেক সাধারণ মানুষকেও আহাজারি করতে দেখা যাচ্ছে। স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে আসছে। আব্দুল মতিন আরও জানান, বেলা ২টায় ফটিগুলি গ্রামে অলিউর রহমান নয়নের জানাজার নামাজ শেষে স্থানীয় পঞ্চায়েতি কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শনিবার রাতে সীতাকু-ে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর রাত আনুমানিক ১১টায় সর্বপ্রথম অলিউর রহমান নয়ন ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার শুরু করে। কিছুক্ষণ পরে আবার এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটলে সে নিখোঁজ হয়। পরে রাত আনুমানিক ২টায় তার লাশ পায় উদ্ধারকারী দল। এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক রমজান আলী জানান, নয়ন নিখোঁজ হওয়ার পরই আমরা চট্টগ্রামে রওয়ানা দেই। তবে সকালে খবর পাই লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। আমরা সেখানে থেকে লাশ নিয়ে আসি। নয়ন কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলি গ্রামের আশিক আলী ওরফে আসিদ মিয়ার ছেলে। তার মা মারা যাওয়ার পর আসিদ মিয়া আরেক বিয়ে করেন। দুই সংসার মিলে ৪ ভাই ২ বোনের মধ্যে নয়ন সবার বড়। ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন জানান, অলিউর রহমান নয়ন ভাগ্যান্বেষণে ৩/৪ মাস আগে চট্টগ্রামে যান। পরে সীতাকু-ে এই কনটেইনার ডিপোতে কাজ নেন। এতিম ছেলেটি মারা যাওয়ার পর পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শনিবার (৪ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকু-ে বি এম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর আগুনের সূত্রপাত ঘটে। রাত আনুমানিক ১১টা থেকে নয়ন এই ঘটনা ফেসবুকে লাইভ দেখাচ্ছিল। লাইভ চলাকালীন হঠাৎ আবারও ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। প্রায় চার মিনিট ধরে নয়নের ফেসবুক লাইভ অন্ধকার দেখাচ্ছিল। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

লাইভ করা নয়নের মরদেহ বাড়িতে, শোকের মাতম

আপডেট সময় : ১২:০৮:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের সীতাকু-ে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকা-ের ঘটনা প্রথম ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করা তরুণ অলিউর রহমান নয়নের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছায় বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলি নয়নের গ্রামের বাড়িতে এখন শোকাহত মানুষের ঢল। চলছে শোকের মাতম। মাতৃহীন অলিউর রহমান নয়নের আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী এমনকি অনেক সাধারণ মানুষকেও আহাজারি করতে দেখা যাচ্ছে। স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে আসছে। আব্দুল মতিন আরও জানান, বেলা ২টায় ফটিগুলি গ্রামে অলিউর রহমান নয়নের জানাজার নামাজ শেষে স্থানীয় পঞ্চায়েতি কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শনিবার রাতে সীতাকু-ে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর রাত আনুমানিক ১১টায় সর্বপ্রথম অলিউর রহমান নয়ন ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার শুরু করে। কিছুক্ষণ পরে আবার এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটলে সে নিখোঁজ হয়। পরে রাত আনুমানিক ২টায় তার লাশ পায় উদ্ধারকারী দল। এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক রমজান আলী জানান, নয়ন নিখোঁজ হওয়ার পরই আমরা চট্টগ্রামে রওয়ানা দেই। তবে সকালে খবর পাই লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। আমরা সেখানে থেকে লাশ নিয়ে আসি। নয়ন কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলি গ্রামের আশিক আলী ওরফে আসিদ মিয়ার ছেলে। তার মা মারা যাওয়ার পর আসিদ মিয়া আরেক বিয়ে করেন। দুই সংসার মিলে ৪ ভাই ২ বোনের মধ্যে নয়ন সবার বড়। ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন জানান, অলিউর রহমান নয়ন ভাগ্যান্বেষণে ৩/৪ মাস আগে চট্টগ্রামে যান। পরে সীতাকু-ে এই কনটেইনার ডিপোতে কাজ নেন। এতিম ছেলেটি মারা যাওয়ার পর পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শনিবার (৪ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকু-ে বি এম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর আগুনের সূত্রপাত ঘটে। রাত আনুমানিক ১১টা থেকে নয়ন এই ঘটনা ফেসবুকে লাইভ দেখাচ্ছিল। লাইভ চলাকালীন হঠাৎ আবারও ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। প্রায় চার মিনিট ধরে নয়নের ফেসবুক লাইভ অন্ধকার দেখাচ্ছিল। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।