ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ১৪ আরোহীর মৃতদেহ উদ্ধার

  • আপডেট সময় : ০১:০৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ১৪ আরোহীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। বাকিরাও মারা গেছেন বলে আশঙ্কা তাদের। বেসরকারি এয়ার লাইন ‘তারা এয়ার’র ওই উড়োজাহাজে ২২ জন আরোহী ছিল। নেপালের পর্যটন নগরী পোখারা থেকে গতকাল রোববার সকালে সেটি জমসম বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মাথায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর প্রথমে পাইলটের মোবাইলের ‘জিপিএস লোকেশন ট্রেকিং করে’ উড়োজাহাজের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে রাতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত ছিল। সোমবার ভোরে নেপালের সেনাবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থল শনাক্ত করেন এবং সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। নেপাল-চীন সীমান্তে মাউন্ট ধুলাগিরি অঞ্চলের মুস্তাং জেলায় উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায় বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মাউন্ট ধুলাগিরি বিশ্বের সপ্তম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ (৮,১৬৭ মিটার)। নেপালের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘‘সেখানে কাউকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।” দুর্ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান নেপালের রাজধানী কাঠমা-ুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” মুস্তাং জেলার শীর্ষ আমলা নেত্রা প্রসাদ শর্মা বলেন, আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে।
‘‘সেখানে ঘন মেঘের রাশি জমাট বেঁধে আছে। মৃতদেহের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।” ফ্লাইট-ট্রেকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটডেটা২৪ জানায়, ৯এন-এইটি নিবন্ধন নম্বরের ওই উড়োজাহাজ ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে প্রথম আকাশে উড়েছিল। এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকা থেকে কাঠমা-ুগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ ত্রিভুবন বিমানবন্দরের রানওয়েতে আছড়ে পড়ে আগুন ধরে গেলে ৫১ আরোহী নিহত হন। সেটিতে মোট ৭১ জন আরোহী ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ১৪ আরোহীর মৃতদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০১:০৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ১৪ আরোহীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। বাকিরাও মারা গেছেন বলে আশঙ্কা তাদের। বেসরকারি এয়ার লাইন ‘তারা এয়ার’র ওই উড়োজাহাজে ২২ জন আরোহী ছিল। নেপালের পর্যটন নগরী পোখারা থেকে গতকাল রোববার সকালে সেটি জমসম বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মাথায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর প্রথমে পাইলটের মোবাইলের ‘জিপিএস লোকেশন ট্রেকিং করে’ উড়োজাহাজের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে রাতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত ছিল। সোমবার ভোরে নেপালের সেনাবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থল শনাক্ত করেন এবং সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। নেপাল-চীন সীমান্তে মাউন্ট ধুলাগিরি অঞ্চলের মুস্তাং জেলায় উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায় বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মাউন্ট ধুলাগিরি বিশ্বের সপ্তম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ (৮,১৬৭ মিটার)। নেপালের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘‘সেখানে কাউকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।” দুর্ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান নেপালের রাজধানী কাঠমা-ুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” মুস্তাং জেলার শীর্ষ আমলা নেত্রা প্রসাদ শর্মা বলেন, আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে।
‘‘সেখানে ঘন মেঘের রাশি জমাট বেঁধে আছে। মৃতদেহের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।” ফ্লাইট-ট্রেকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটডেটা২৪ জানায়, ৯এন-এইটি নিবন্ধন নম্বরের ওই উড়োজাহাজ ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে প্রথম আকাশে উড়েছিল। এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকা থেকে কাঠমা-ুগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ ত্রিভুবন বিমানবন্দরের রানওয়েতে আছড়ে পড়ে আগুন ধরে গেলে ৫১ আরোহী নিহত হন। সেটিতে মোট ৭১ জন আরোহী ছিলেন।