ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

সিৎসিপাসের স্বপ্ন ভেঙে জোকোভিচের ১৯

  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠেই অধরাকে ছোঁয়ার জোরালো সম্ভাবনা জাগালেন স্তেফানোস সিৎসিপাস। তবে হাল ছাড়ার পাত্র তো নন নোভাক জোকোভিচ। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর নজির গড়লেন আরেকবার। পাঁচ সেটের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতে ফরাসি ওপেনের মুকুট পরলেন সার্বিয়ান তারকা। রোলাঁ গারোয় রোববার পুরুষ এককের ফাইনালে শুরুটা অসাধারণ করেন সিৎসিপাস। জিতে নেন প্রথম দুই সেট। এরপরই তার পথ হারানো আর জোকোভিচের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। প্রায় সোয়া চার ঘণ্টার লড়াইয়ে ৬-৭(৬-৮), ২-৬, ৬-৩, ৬-২, ৬-৪ গেমে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিযোগিতাটির শিরোপা জেতেন র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর তারকা। প্যারিসের এই কোর্টে প্রথম শিরোপাটি জোকোভিচ জিতেছেন ২০১৬ সালে। ক্যারিয়ারে এটি তার ১৯তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়। সর্বোচ্চ মেজর জয়ের তালিকায় তার ওপরে কেবল রাফায়েল নাদাল ও রজার ফেদেরার, দুজনেই জিতেছেন ২০টি করে। এবারের আসরে বারবার পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন জোকোভিচ। চতুর্থ রাউন্ডেও যেমন টিনএজার লরেন্সো মুসেত্তির বিপক্ষে হেরেছিলেন প্রথম দুই সেট। সেমি-ফাইনালে সবচেয়ে বাধা পার করেন তিনি; এখানকার রাজা ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন নাদালের বিপক্ষে প্রথম সেট হারের পর জেতেন পরের তিন সেট। এক দিনের ব্যবধানে এত দীর্ঘ দুটি ক্ল্যাসিক ম্যাচে জয় জোকোভিচের শিরোপা আনন্দকে বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুণে। ম্যাচ শেষে বললেন সে কথাই।
‘চমৎকার আবহ। আমি আমার কোচ ও ফিজিও এবং এই যাত্রায় সঙ্গে থাকা সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ ‘গত ৪৮ ঘণ্টার প্রায় ৯ ঘণ্টা খেলেছি আমি, দুই গ্রেট চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে। শারীরিকভাবে গত তিনটা দিন খুব কঠিন কেটেছে। কিন্তু আমার নিজের সামর্থ্যে বিশ্বাস ছিল, জানতাম আমি পারব।’ ২০১৯ সালের এটিপি ট্যুর ফাইনালসের চ্যাম্পিয়ন সিৎসিপাসকে তৃতীয় সেটের পর কিছুটা ভুগতে দেখা যায়। ট্রেনারকে ডেকে পিঠের নিচের অংশে মাসাজ করান তিনি। তবে ওই বিরতি জোকোভিচের ফিরে পাওয়া ছন্দে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। রানার্সআপের পুরস্কার হাতে অনুভূতি জানাতে গিয়ে কণ্ঠ ধরে আসে পঞ্চম বাছাইয়ের। নিজেকে সামলে নিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রতিপক্ষকে। ‘নোভাককে দেখে আমি অনুপ্রেরণা পাই। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। টুর্নামেন্টটা দারুণ কাটল এবং নিজের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।’ ‘গত কয়েক বছরে নোভাক যা দেখিয়েছে, কী দুর্দান্ত এক চ্যাম্পিয়ন। তার অর্জন দেখে আমি অনুপ্রেরণা পাই এবং আশা করি, কোনো এক দিন তার অর্ধেকটা আমি হয়তো করতে পারব।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সিৎসিপাসের স্বপ্ন ভেঙে জোকোভিচের ১৯

আপডেট সময় : ০১:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠেই অধরাকে ছোঁয়ার জোরালো সম্ভাবনা জাগালেন স্তেফানোস সিৎসিপাস। তবে হাল ছাড়ার পাত্র তো নন নোভাক জোকোভিচ। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর নজির গড়লেন আরেকবার। পাঁচ সেটের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতে ফরাসি ওপেনের মুকুট পরলেন সার্বিয়ান তারকা। রোলাঁ গারোয় রোববার পুরুষ এককের ফাইনালে শুরুটা অসাধারণ করেন সিৎসিপাস। জিতে নেন প্রথম দুই সেট। এরপরই তার পথ হারানো আর জোকোভিচের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। প্রায় সোয়া চার ঘণ্টার লড়াইয়ে ৬-৭(৬-৮), ২-৬, ৬-৩, ৬-২, ৬-৪ গেমে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিযোগিতাটির শিরোপা জেতেন র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর তারকা। প্যারিসের এই কোর্টে প্রথম শিরোপাটি জোকোভিচ জিতেছেন ২০১৬ সালে। ক্যারিয়ারে এটি তার ১৯তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়। সর্বোচ্চ মেজর জয়ের তালিকায় তার ওপরে কেবল রাফায়েল নাদাল ও রজার ফেদেরার, দুজনেই জিতেছেন ২০টি করে। এবারের আসরে বারবার পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন জোকোভিচ। চতুর্থ রাউন্ডেও যেমন টিনএজার লরেন্সো মুসেত্তির বিপক্ষে হেরেছিলেন প্রথম দুই সেট। সেমি-ফাইনালে সবচেয়ে বাধা পার করেন তিনি; এখানকার রাজা ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন নাদালের বিপক্ষে প্রথম সেট হারের পর জেতেন পরের তিন সেট। এক দিনের ব্যবধানে এত দীর্ঘ দুটি ক্ল্যাসিক ম্যাচে জয় জোকোভিচের শিরোপা আনন্দকে বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুণে। ম্যাচ শেষে বললেন সে কথাই।
‘চমৎকার আবহ। আমি আমার কোচ ও ফিজিও এবং এই যাত্রায় সঙ্গে থাকা সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ ‘গত ৪৮ ঘণ্টার প্রায় ৯ ঘণ্টা খেলেছি আমি, দুই গ্রেট চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে। শারীরিকভাবে গত তিনটা দিন খুব কঠিন কেটেছে। কিন্তু আমার নিজের সামর্থ্যে বিশ্বাস ছিল, জানতাম আমি পারব।’ ২০১৯ সালের এটিপি ট্যুর ফাইনালসের চ্যাম্পিয়ন সিৎসিপাসকে তৃতীয় সেটের পর কিছুটা ভুগতে দেখা যায়। ট্রেনারকে ডেকে পিঠের নিচের অংশে মাসাজ করান তিনি। তবে ওই বিরতি জোকোভিচের ফিরে পাওয়া ছন্দে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। রানার্সআপের পুরস্কার হাতে অনুভূতি জানাতে গিয়ে কণ্ঠ ধরে আসে পঞ্চম বাছাইয়ের। নিজেকে সামলে নিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রতিপক্ষকে। ‘নোভাককে দেখে আমি অনুপ্রেরণা পাই। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। টুর্নামেন্টটা দারুণ কাটল এবং নিজের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।’ ‘গত কয়েক বছরে নোভাক যা দেখিয়েছে, কী দুর্দান্ত এক চ্যাম্পিয়ন। তার অর্জন দেখে আমি অনুপ্রেরণা পাই এবং আশা করি, কোনো এক দিন তার অর্ধেকটা আমি হয়তো করতে পারব।’