ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

১১৮ রান করেও জিতল দোলেশ্বর

  • আপডেট সময় : ০১:২৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বলের চেয়েও লক্ষ্য ছিল কম। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সেই রানও তাড়া করতে পারল না লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। বোলারদের নৈপুণ্যে অল্প রানের পুঁজি নিয়েও দারুণ এক জয় পেল প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে সোমবার ১৪ রানে জিতেছে দোলেশ্বর। ১১৮ রানে গুটিয়ে যাওয়া দলটি রূপগঞ্জকে থামিয়ে দিয়েছে ১০৪ রানে। বিকেএসপি চার নম্বর মাঠে দুই দলের বোলাররাই এদিন আলো ছড়ান। রূপগঞ্জের হয়ে মোহাম্মদ শহীদ তিনটি ও নাবিল সামাদ নেন দুটি উইকেট। আর দোলেশ্বরের জয়ের নায়ক কামরুল ইসলাম রাব্বি। ১৫ রান দিয়ে এই পেসারের প্রাপ্তি ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরা তিনিই। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা প্রাইম দোলেশ্বর ৭ রানের মধ্যেই হারায় দুই ওপেনারকে। ইমরান উজ্জামানকে বোল্ড করে দেন নাবিল। সানজামুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হন শরিফউল্লাহ।
ভালো কিছুর আভাস দেওয়া সাইফ হাসান ফেরেন রান আউটে কাটা পড়ে। ২ চার ও এক ছক্কায় ১৬ রান করেন তিনি। ফজলে মাহমুদ ও মার্শাল আইয়ুবের ব্যাটে এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে দোলেশ্বর। এই দুইজনের ৪১ রানের জুটি ভাঙে মার্শালের বিদায়ে। ১৩ রান করতে ১৭ বল খেলা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে কট বিহাইন্ড করেন বাঁহাতি স্পিনার নাবিল। আগের দিন ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলা ফজলে রাব্বি এদিন বেশিক্ষণ টানতে পারেননি দলকে। ৩৮ বলে একটি করে ছক্কা-চারে ২৯ রান করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফেরেন রান আউট হয়ে। শহীদকে ছক্কায় উড়িয়ে শামীম হোসেন কেবলই ডানা মেলার আভাস দিয়েছিলেন। পরের দুই বলে তাকে ও কামরুল ইসলাম রাব্বিকে সাজঘরে ফেরান শহীদ। এরপর আর কেউ দলের রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ১৩ রানের মধ্যে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ১২০ রানের আগে গুটিয়ে যায় দোলেশ্বর।
জবাব দিতে নামা রূপগঞ্জ বিপাকে পড়ে শুরুতেই। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরতি ক্যাচে পিনাক ঘোষকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল্লাহ। পরের ওভারে শফিকুল ইসলামের শিকার সাব্বির রহমান। আল আমিনকে নিয়ে আজমির আহমেদ চেষ্টা চালান প্রতিরোধ গড়ার। দ্রুত রান তুলতে থাকা আজমির ফেরেন ২ ছক্কা ও এক চারে ১৯ বলে ২৩ রান করে। এনামুল হক জুনিয়র তাকে বোল্ড করে দিলে ভাঙে ৩৩ রানের জুটি। পরের ওভারেই ফরহাদ রেজা ফেরান সানজামুল ইসলামকে। জাকের আলি ও আল আমিন খেলতে থাকেন রয়েসয়ে। ১৩ ওভার শেষে রূপগঞ্জের রান ছিল ৪ উইকেটে ৬৫। এরপরই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে দেন কামরুল রাব্বি। ৩৩ বলে ৩০ রান করা আল আমিনকে ফেরানোর পরে আরেক থিতু ব্যাটসম্যান জাকের তার শিকার। শেষ দুই ওভারে জিততে ৩৭ রান প্রয়োজন ছিল রূপগঞ্জের। ১৯তম ওভারে মুক্তার আলিকে ফিরিয়ে কেবল ২ রান দেন কামরুল। ম্যাচের ভাগ্য তাতেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ ৬ বলে ৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে ফরহাদকে তিনটি ছক্কা হাঁকান শহীদ। তাতে লাভ হয়নি, কেবল কমেছে হারের ব্যবধান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

১১৮ রান করেও জিতল দোলেশ্বর

আপডেট সময় : ০১:২৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বলের চেয়েও লক্ষ্য ছিল কম। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সেই রানও তাড়া করতে পারল না লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। বোলারদের নৈপুণ্যে অল্প রানের পুঁজি নিয়েও দারুণ এক জয় পেল প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে সোমবার ১৪ রানে জিতেছে দোলেশ্বর। ১১৮ রানে গুটিয়ে যাওয়া দলটি রূপগঞ্জকে থামিয়ে দিয়েছে ১০৪ রানে। বিকেএসপি চার নম্বর মাঠে দুই দলের বোলাররাই এদিন আলো ছড়ান। রূপগঞ্জের হয়ে মোহাম্মদ শহীদ তিনটি ও নাবিল সামাদ নেন দুটি উইকেট। আর দোলেশ্বরের জয়ের নায়ক কামরুল ইসলাম রাব্বি। ১৫ রান দিয়ে এই পেসারের প্রাপ্তি ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরা তিনিই। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা প্রাইম দোলেশ্বর ৭ রানের মধ্যেই হারায় দুই ওপেনারকে। ইমরান উজ্জামানকে বোল্ড করে দেন নাবিল। সানজামুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হন শরিফউল্লাহ।
ভালো কিছুর আভাস দেওয়া সাইফ হাসান ফেরেন রান আউটে কাটা পড়ে। ২ চার ও এক ছক্কায় ১৬ রান করেন তিনি। ফজলে মাহমুদ ও মার্শাল আইয়ুবের ব্যাটে এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে দোলেশ্বর। এই দুইজনের ৪১ রানের জুটি ভাঙে মার্শালের বিদায়ে। ১৩ রান করতে ১৭ বল খেলা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে কট বিহাইন্ড করেন বাঁহাতি স্পিনার নাবিল। আগের দিন ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলা ফজলে রাব্বি এদিন বেশিক্ষণ টানতে পারেননি দলকে। ৩৮ বলে একটি করে ছক্কা-চারে ২৯ রান করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফেরেন রান আউট হয়ে। শহীদকে ছক্কায় উড়িয়ে শামীম হোসেন কেবলই ডানা মেলার আভাস দিয়েছিলেন। পরের দুই বলে তাকে ও কামরুল ইসলাম রাব্বিকে সাজঘরে ফেরান শহীদ। এরপর আর কেউ দলের রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ১৩ রানের মধ্যে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ১২০ রানের আগে গুটিয়ে যায় দোলেশ্বর।
জবাব দিতে নামা রূপগঞ্জ বিপাকে পড়ে শুরুতেই। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরতি ক্যাচে পিনাক ঘোষকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল্লাহ। পরের ওভারে শফিকুল ইসলামের শিকার সাব্বির রহমান। আল আমিনকে নিয়ে আজমির আহমেদ চেষ্টা চালান প্রতিরোধ গড়ার। দ্রুত রান তুলতে থাকা আজমির ফেরেন ২ ছক্কা ও এক চারে ১৯ বলে ২৩ রান করে। এনামুল হক জুনিয়র তাকে বোল্ড করে দিলে ভাঙে ৩৩ রানের জুটি। পরের ওভারেই ফরহাদ রেজা ফেরান সানজামুল ইসলামকে। জাকের আলি ও আল আমিন খেলতে থাকেন রয়েসয়ে। ১৩ ওভার শেষে রূপগঞ্জের রান ছিল ৪ উইকেটে ৬৫। এরপরই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে দেন কামরুল রাব্বি। ৩৩ বলে ৩০ রান করা আল আমিনকে ফেরানোর পরে আরেক থিতু ব্যাটসম্যান জাকের তার শিকার। শেষ দুই ওভারে জিততে ৩৭ রান প্রয়োজন ছিল রূপগঞ্জের। ১৯তম ওভারে মুক্তার আলিকে ফিরিয়ে কেবল ২ রান দেন কামরুল। ম্যাচের ভাগ্য তাতেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ ৬ বলে ৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে ফরহাদকে তিনটি ছক্কা হাঁকান শহীদ। তাতে লাভ হয়নি, কেবল কমেছে হারের ব্যবধান।