ঢাকা ০৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

নারীর গৃহস্থালি কাজের আর্থিক মূল্য নিরূপণ করার দাবি

  • আপডেট সময় : ০২:৫৩:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারীর মজুরিবিহীন গৃহস্থালি কাজের আর্থিকমূল্য নিরূপণ এবং কাজের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব দাবি করা হয়।
ফোরামের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- স্বামী পরিত্যাক্তা, বয়স্ক ও দুঃস্থ নারীদের পুনর্বাসন করতে হবে এবং একে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করতে হবে; সরকারিভাবে গ্রাম-শহরে এলাকাভিত্তিক মানসম্পন্ন ডে-কেয়ার সেন্টার নির্মাণ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মজীবী নারীদের জন্য হোস্টেল নির্মাণে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে; নারীর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ নারীদের পুনর্বাসন করাসহ নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। নারী-পুরুষের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠায় সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ারও দাবি জানায় সংগঠনটি।
মতবিনিময় সভায় আলোচকরা নারীর গৃহস্থালি কাজের গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘গৃহস্থালি কাজ ছাড়া কোনও পরিবার ও সমাজ কল্পনা করা যায় না। আর গৃহস্থালি কাজের সিংহভাগই করে থাকেন পরিবারের নারী সদস্যরা। গৃহস্থালি কাজ ছাড়া মানুষের শারীরিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক জীবন বিকশিত হওয়া তো দূরের কথা টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু এ কাজে কোন স্বীকৃতি নেই, মর্যাদা নেই। এমনকি এ কাজকে তাচ্ছিল্য করা হয় সবসময়।’
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন গবেষণাপত্র উল্লেখ করে ফোরাম থেকে বলা হয়, ‘গবেষণা সংস্থা সানেমে তথ্য অনুযায়ী যদি গৃহস্থালি কাজের আর্থিক মূল্য হিসাব করা যায় তাহলে তা দাঁড়াবে নারীর ক্ষেত্রে জিডিপির ৩৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ। সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে যে, নারীর কাজের ৭৮-৮৭ শতাংশই অর্থনৈতিক হিসাবে আসে না।’
মতবিনিময় সভায় আলোচকরা দাবি করেন, ‘অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ, নৈতিক অবস্থান, নারীর অধিকার ও সামাজিক মর্যাদার প্রশ্নে তো বটেই সামাজিক ন্যায্যতার কারণেও নারীর কাজের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দরকার।’ সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি শম্পা বসুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক আনু মোহম্মদ, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মনীষা চক্রবর্তী, অধ্যাপক শারমিন নীলিমা, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দিলরুবা নুরী প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নারীর গৃহস্থালি কাজের আর্থিক মূল্য নিরূপণ করার দাবি

আপডেট সময় : ০২:৫৩:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারীর মজুরিবিহীন গৃহস্থালি কাজের আর্থিকমূল্য নিরূপণ এবং কাজের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব দাবি করা হয়।
ফোরামের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- স্বামী পরিত্যাক্তা, বয়স্ক ও দুঃস্থ নারীদের পুনর্বাসন করতে হবে এবং একে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করতে হবে; সরকারিভাবে গ্রাম-শহরে এলাকাভিত্তিক মানসম্পন্ন ডে-কেয়ার সেন্টার নির্মাণ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মজীবী নারীদের জন্য হোস্টেল নির্মাণে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে; নারীর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ নারীদের পুনর্বাসন করাসহ নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। নারী-পুরুষের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠায় সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ারও দাবি জানায় সংগঠনটি।
মতবিনিময় সভায় আলোচকরা নারীর গৃহস্থালি কাজের গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘গৃহস্থালি কাজ ছাড়া কোনও পরিবার ও সমাজ কল্পনা করা যায় না। আর গৃহস্থালি কাজের সিংহভাগই করে থাকেন পরিবারের নারী সদস্যরা। গৃহস্থালি কাজ ছাড়া মানুষের শারীরিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক জীবন বিকশিত হওয়া তো দূরের কথা টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু এ কাজে কোন স্বীকৃতি নেই, মর্যাদা নেই। এমনকি এ কাজকে তাচ্ছিল্য করা হয় সবসময়।’
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন গবেষণাপত্র উল্লেখ করে ফোরাম থেকে বলা হয়, ‘গবেষণা সংস্থা সানেমে তথ্য অনুযায়ী যদি গৃহস্থালি কাজের আর্থিক মূল্য হিসাব করা যায় তাহলে তা দাঁড়াবে নারীর ক্ষেত্রে জিডিপির ৩৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ। সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে যে, নারীর কাজের ৭৮-৮৭ শতাংশই অর্থনৈতিক হিসাবে আসে না।’
মতবিনিময় সভায় আলোচকরা দাবি করেন, ‘অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ, নৈতিক অবস্থান, নারীর অধিকার ও সামাজিক মর্যাদার প্রশ্নে তো বটেই সামাজিক ন্যায্যতার কারণেও নারীর কাজের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দরকার।’ সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি শম্পা বসুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক আনু মোহম্মদ, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মনীষা চক্রবর্তী, অধ্যাপক শারমিন নীলিমা, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দিলরুবা নুরী প্রমুখ।