ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

কেরোসিন ঢেলে গৃহবধূর গায়ে আগুন, স্বামী আটক

  • আপডেট সময় : ০১:৫০:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মালিবাগের গুলবাগে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন দিয়েছেন এক অন্তঃসত্ত্বা নারী। পাপিয়া সারোয়ার ওরফে মিম (১৮) নামের এই গৃহবধূর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে গুলবাগের ঝিলপাড় এলাকার বাসায় তিনি গায়ে আগুন দেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী মো. রামিমকে আটক করেছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, পাপিয়া সারোয়ার নগরের শান্তিবাগের বেসরকারি সিটি ইন্টারন্যাশনাল কলেজের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি গুলবাগের ঝিলপাড়ে তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। স্বামী রামিমের খিলগাঁওয়ে মোবাইল রিচার্জের দোকান রয়েছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে ওই বাসায় পাপিয়া গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে পাপিয়ার শরীরে আগুন জ্বলতে দেখেন। পাপিয়ার মা–বাবার বাসা তাঁর বাসার কাছেই। পাপিয়াদের বাড়ির মালিকের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাঁরা এসে পাপিয়ার শরীরের আগুন নিভিয়ে ফেলেন। প্রথমে তাঁকে খিলগাঁওয়ের বেসরকারি খিদমাহ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আসার পর ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা পাপিয়ার স্বামী রামিমকে আটক করেন। এ ঘটনার জন্য রামিমকে দায়ী করেছেন পাপিয়ার মা পারভীন আক্তার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পাপিয়াকে বিয়ে করার পর থেকেই রামিমের অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক হয়। এ নিয়ে ঝগড়ার জেরেই পাপিয়া নিজের শরীরে আগুন দিয়েছেন। একই কারণে এক বছর আগেও পাপিয়া হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। আটক হওয়ার আগে রামিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কী কারণে, কেন গায়ে আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ওই সময় আমি বাসার বাইরে ছিলাম।’
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন বলেন, পাপিয়ার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, রামিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি খিলগাঁও থানাকে জানানো হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কেরোসিন ঢেলে গৃহবধূর গায়ে আগুন, স্বামী আটক

আপডেট সময় : ০১:৫০:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মালিবাগের গুলবাগে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন দিয়েছেন এক অন্তঃসত্ত্বা নারী। পাপিয়া সারোয়ার ওরফে মিম (১৮) নামের এই গৃহবধূর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে গুলবাগের ঝিলপাড় এলাকার বাসায় তিনি গায়ে আগুন দেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী মো. রামিমকে আটক করেছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, পাপিয়া সারোয়ার নগরের শান্তিবাগের বেসরকারি সিটি ইন্টারন্যাশনাল কলেজের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি গুলবাগের ঝিলপাড়ে তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। স্বামী রামিমের খিলগাঁওয়ে মোবাইল রিচার্জের দোকান রয়েছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে ওই বাসায় পাপিয়া গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে পাপিয়ার শরীরে আগুন জ্বলতে দেখেন। পাপিয়ার মা–বাবার বাসা তাঁর বাসার কাছেই। পাপিয়াদের বাড়ির মালিকের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাঁরা এসে পাপিয়ার শরীরের আগুন নিভিয়ে ফেলেন। প্রথমে তাঁকে খিলগাঁওয়ের বেসরকারি খিদমাহ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আসার পর ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা পাপিয়ার স্বামী রামিমকে আটক করেন। এ ঘটনার জন্য রামিমকে দায়ী করেছেন পাপিয়ার মা পারভীন আক্তার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পাপিয়াকে বিয়ে করার পর থেকেই রামিমের অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক হয়। এ নিয়ে ঝগড়ার জেরেই পাপিয়া নিজের শরীরে আগুন দিয়েছেন। একই কারণে এক বছর আগেও পাপিয়া হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। আটক হওয়ার আগে রামিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কী কারণে, কেন গায়ে আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ওই সময় আমি বাসার বাইরে ছিলাম।’
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন বলেন, পাপিয়ার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, রামিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি খিলগাঁও থানাকে জানানো হয়েছে।