ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

যেসব কারণে বাড়তে পারে মাইগ্রেনের সমস্যা

  • আপডেট সময় : ১১:১৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : প্রচ- মাথা যন্ত্রণা সঙ্গে গা গোলানো কিংবা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়া অসম্ভব ব্যথা, সঙ্গে হালকা জ্বর। এই উপসর্গগুলো মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে নতুন নয়। একটানা বেশ কয়েকদিন থাকলে এই ব্যথা শরীর কাবু করে দেয়। গরমের দিনে সূর্যের প্রখর তাপে এমনিতেই মাথা যন্ত্রণার সম্ভাবনা বাড়ে। তার উপর যদি যোগ হয় মাইগ্রেনের কষ্ট, তাহলে তা এক প্রকার অসহনীয় হয়ে ওঠে। কিন্তু এই ব্যথার উৎস কী? মাইগ্রেন জিনঘটিত রোগ। পরিবারের কারও থাকলে, আপনারও হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু উত্তেজিত হলে এই ব্যথা হয়। সেরেটোনিন নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য বিঘিœত হলেও এই ব্যথা হয় বলে মত চিকিৎসকদের। চিকিৎসকদের মতে, কেবল ওষুধ বা প্রয়োজনীয় সাবধানতা না নিলেই যে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে, এমনটা নয়। বরং আমাদের দৈনিক অনেক অভ্যাসের উপরেও নির্ভর করে এ ব্যথার প্রকোপ বাড়বে কি না। প্রতিদিনের বেশ কিছু অভ্যাস ত্যাগ করলে এই যন্ত্রণাদায়ক অসুখ থেকে স্বস্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন তবে জেনে নিই সেগুলো সম্পর্কে।
মানসিক চাপ : সারাক্ষণ অফিসের চাপ, পারিবারিক সমস্যা- এই ঘটনাগুলো এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী। এর ফলে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। চিন্তা, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ।
ঘুমের অনিয়ম : প্রতিদিন চেষ্টা করুন ঘুমের জন্য অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতে। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। এক দিন কম ঘুমালেন, কোনো এক দিন বেশি ঘুমালেন এমন না করে ঘুমের মাত্রা সমান রাখার চেষ্টা করুন।
চিনি : অতিরিক্ত চিনি দেওয়া আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। খাদ্য তালিকায় যত কম চিনিজাতীয় খাবার রাখবেন ততই ভালো। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
আবহাওয়া : চড়া রোদ বা কনকনে ঠান্ডা- দুটোই মাইগ্রেনের জন্য খারাপ। তাই এমন হাওয়ায় একটু সাবধানে থাকতে হবে। এই সময় ব্যায়ামের শরণ নিন, যার প্রভাবে মাইগ্রেন দূরে থাকতে পারে।
খালি পেটে থাকা : দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হয়। মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে গ্যাসের জুড়ি নেই। তাই কাজের মাঝেও সময় মতো খেতে হবে।
কফির অভ্যাস : কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা হঠাৎ করে বন্ধ করবেন না। হু-এর গবেষণায় দেখা গেছে, মাইগ্রেনের রোগীদের ক্যাফিনের উপস্থিতি হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলে সমস্যা বাড়ে। আবার মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফিনও কিন্তু মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য ভালো নয়। তাই কফি খান পরিমিত মাত্রায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যেসব কারণে বাড়তে পারে মাইগ্রেনের সমস্যা

আপডেট সময় : ১১:১৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : প্রচ- মাথা যন্ত্রণা সঙ্গে গা গোলানো কিংবা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়া অসম্ভব ব্যথা, সঙ্গে হালকা জ্বর। এই উপসর্গগুলো মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে নতুন নয়। একটানা বেশ কয়েকদিন থাকলে এই ব্যথা শরীর কাবু করে দেয়। গরমের দিনে সূর্যের প্রখর তাপে এমনিতেই মাথা যন্ত্রণার সম্ভাবনা বাড়ে। তার উপর যদি যোগ হয় মাইগ্রেনের কষ্ট, তাহলে তা এক প্রকার অসহনীয় হয়ে ওঠে। কিন্তু এই ব্যথার উৎস কী? মাইগ্রেন জিনঘটিত রোগ। পরিবারের কারও থাকলে, আপনারও হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু উত্তেজিত হলে এই ব্যথা হয়। সেরেটোনিন নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য বিঘিœত হলেও এই ব্যথা হয় বলে মত চিকিৎসকদের। চিকিৎসকদের মতে, কেবল ওষুধ বা প্রয়োজনীয় সাবধানতা না নিলেই যে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে, এমনটা নয়। বরং আমাদের দৈনিক অনেক অভ্যাসের উপরেও নির্ভর করে এ ব্যথার প্রকোপ বাড়বে কি না। প্রতিদিনের বেশ কিছু অভ্যাস ত্যাগ করলে এই যন্ত্রণাদায়ক অসুখ থেকে স্বস্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন তবে জেনে নিই সেগুলো সম্পর্কে।
মানসিক চাপ : সারাক্ষণ অফিসের চাপ, পারিবারিক সমস্যা- এই ঘটনাগুলো এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী। এর ফলে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। চিন্তা, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ।
ঘুমের অনিয়ম : প্রতিদিন চেষ্টা করুন ঘুমের জন্য অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতে। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। এক দিন কম ঘুমালেন, কোনো এক দিন বেশি ঘুমালেন এমন না করে ঘুমের মাত্রা সমান রাখার চেষ্টা করুন।
চিনি : অতিরিক্ত চিনি দেওয়া আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। খাদ্য তালিকায় যত কম চিনিজাতীয় খাবার রাখবেন ততই ভালো। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
আবহাওয়া : চড়া রোদ বা কনকনে ঠান্ডা- দুটোই মাইগ্রেনের জন্য খারাপ। তাই এমন হাওয়ায় একটু সাবধানে থাকতে হবে। এই সময় ব্যায়ামের শরণ নিন, যার প্রভাবে মাইগ্রেন দূরে থাকতে পারে।
খালি পেটে থাকা : দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হয়। মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে গ্যাসের জুড়ি নেই। তাই কাজের মাঝেও সময় মতো খেতে হবে।
কফির অভ্যাস : কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা হঠাৎ করে বন্ধ করবেন না। হু-এর গবেষণায় দেখা গেছে, মাইগ্রেনের রোগীদের ক্যাফিনের উপস্থিতি হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলে সমস্যা বাড়ে। আবার মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফিনও কিন্তু মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য ভালো নয়। তাই কফি খান পরিমিত মাত্রায়।