ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

মশলার বাজারে কোরবানির উত্তাপ

  • আপডেট সময় : ০২:৩২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বেড়েছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে শুকনা মরিচ, জিরা, দারুচিনি, ধনিয়া, হলুদ, বাদাম ও লবঙ্গ। বেড়েছে মসুরের ডালের দামও। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া, আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার মূল্যবৃদ্ধি, কনটেইনার ভাড়া বৃদ্ধিকে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ডলার স্থিতিশীল না হলে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দাম আরেক দফা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে জিরার দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ধনিয়া প্রতিকেজি বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। হলুদের কেজিতে বেড়েছে ৭ থেকে ১০ টাকা। দেশি রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শুকনা মরিচের দাম, কেজিপ্রতি ৫০ টাকারও বেশি বেড়েছে মসলা জাতীয় এ পণ্যের দাম। খাতুনগঞ্জের আড়তদার এবং ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আল মদিনা ট্রেডার্সের মালিক আহসান উল্লাহ জায়েদী বলেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানি নির্ভর মসলাগুলোর দাম বেড়েছে। রমজানের ঈদের পর থেকে মসলা জাতীয় পণ্যে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৫০ টাকারও বেশি বেড়েছে। তিনি বলেন, ঈদের আগে জিরা কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকা। এখন তা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৯৫ থেকে ৪০৫ টাকা। ইরান থেকে আসা জিরার দাম বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। আগে তা বিক্রি হতো ৩৮০ টাকায়। ভারতীয় জিরা খাতুনগঞ্জে বেশি বিক্রি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এখন এই জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। ঈদের আগে তা বিক্রি হয়েছে ৩৭৫ থেকে ৩৮০ টাকায়। শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকারও বেশি। ধনিয়া প্রতিকেজি ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা কেজিতে। এছাড়া মসুর ডাল ও মটর ডাল কেজিপ্রতি বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। ঈদের আগে ভারতীয় হলুদ বিক্রি হতো ১১২ টাকায়। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। দেশি হলুদ বিক্রি হয়েছিল ৯২-৯৩ টাকায়। এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০২ টাকায়। ঈদের আগে দেশি শুকনা মরিচ বিক্রি হতো কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা করে। মেসার্স হাজী মোহাম্মদ ইসহাক সওদাগর দোকানের মালিক মো. সেকান্দর বলেন, খাতুনগঞ্জে মসলার দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। দারুচিনি কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। চীনা দারুচিনি ৩৬০ টাকা, ভিয়েতনামের দারুচিনি ৩৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে এলাচ বিক্রি হতো ১৩৫০ টাকা। ডলারের দাম বাড়ার পরে বিক্রি হয়েছিল ১৪৬০ টাকায়। এখন তা কিছুটা কমলেও আগের দামের চেয়ে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে। আল্লাহর দান স্টোরের মালিক মো. জুয়েল রানা বলেন, আগে মসলা আমদানির জন্য ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মার্জিনে এলসি খোলা গেলেও এখন ৫০ শতাংশ মার্জিনের নিচে খোলা যাচ্ছে না। অনেকেই ৫০ শতাংশ মার্জিনে এলসি খুলতে পারছেন না। আল্লাহর দান স্টোরের টানানো মূল্য তালিকা অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২৪ মে) জিরা বিক্রি হচ্ছিল কেজি প্রতি ৪১৫ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৭০ টাকা, দারুচিনি ৩৯২ টাকা, জয়ত্রী ২৩০০ টাকা, জয়ফল ৬২০ টাকা, গোলমরিচ ৫৭০ টাকা করে। মেসার্স আমেনা ট্রেডার্সের মালিক মো. মুন্না বলেন, ভারতীয় জিরা কেজিপ্রতি ৩৮৫ টাকা, ইরানি জিরা ৪১৫ টাকা, ভারতীয় এলাচ (ভালোমানের) বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা। জয়ত্রী প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০০ টাকায়। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০ টাকা করে। তিনি বলেন, আগে ভারতীয় কাঁচা বাদাম বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা করে কেজি। এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি। আর দেশি বাদাম কেজি প্রতি ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা করে। মেসার্স শাহাদাত অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, চীনা রসুনের চাহিদা বেশি। কিন্তু আমদানি বাড়েনি। দেশটির রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। ঈদের আগে এ রসুন বিক্রি হয়েছিল ৯০ থেকে ৯২ টাকায়। তবে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। আদা আগে ৮০ টাকা বিক্রি হলেও এখন কিছুটা কম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মশলার বাজারে কোরবানির উত্তাপ

আপডেট সময় : ০২:৩২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বেড়েছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে শুকনা মরিচ, জিরা, দারুচিনি, ধনিয়া, হলুদ, বাদাম ও লবঙ্গ। বেড়েছে মসুরের ডালের দামও। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া, আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার মূল্যবৃদ্ধি, কনটেইনার ভাড়া বৃদ্ধিকে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ডলার স্থিতিশীল না হলে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দাম আরেক দফা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে জিরার দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ধনিয়া প্রতিকেজি বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। হলুদের কেজিতে বেড়েছে ৭ থেকে ১০ টাকা। দেশি রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শুকনা মরিচের দাম, কেজিপ্রতি ৫০ টাকারও বেশি বেড়েছে মসলা জাতীয় এ পণ্যের দাম। খাতুনগঞ্জের আড়তদার এবং ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আল মদিনা ট্রেডার্সের মালিক আহসান উল্লাহ জায়েদী বলেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানি নির্ভর মসলাগুলোর দাম বেড়েছে। রমজানের ঈদের পর থেকে মসলা জাতীয় পণ্যে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৫০ টাকারও বেশি বেড়েছে। তিনি বলেন, ঈদের আগে জিরা কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকা। এখন তা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৯৫ থেকে ৪০৫ টাকা। ইরান থেকে আসা জিরার দাম বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। আগে তা বিক্রি হতো ৩৮০ টাকায়। ভারতীয় জিরা খাতুনগঞ্জে বেশি বিক্রি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এখন এই জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। ঈদের আগে তা বিক্রি হয়েছে ৩৭৫ থেকে ৩৮০ টাকায়। শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকারও বেশি। ধনিয়া প্রতিকেজি ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা কেজিতে। এছাড়া মসুর ডাল ও মটর ডাল কেজিপ্রতি বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। ঈদের আগে ভারতীয় হলুদ বিক্রি হতো ১১২ টাকায়। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। দেশি হলুদ বিক্রি হয়েছিল ৯২-৯৩ টাকায়। এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০২ টাকায়। ঈদের আগে দেশি শুকনা মরিচ বিক্রি হতো কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা করে। মেসার্স হাজী মোহাম্মদ ইসহাক সওদাগর দোকানের মালিক মো. সেকান্দর বলেন, খাতুনগঞ্জে মসলার দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। দারুচিনি কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। চীনা দারুচিনি ৩৬০ টাকা, ভিয়েতনামের দারুচিনি ৩৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে এলাচ বিক্রি হতো ১৩৫০ টাকা। ডলারের দাম বাড়ার পরে বিক্রি হয়েছিল ১৪৬০ টাকায়। এখন তা কিছুটা কমলেও আগের দামের চেয়ে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে। আল্লাহর দান স্টোরের মালিক মো. জুয়েল রানা বলেন, আগে মসলা আমদানির জন্য ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মার্জিনে এলসি খোলা গেলেও এখন ৫০ শতাংশ মার্জিনের নিচে খোলা যাচ্ছে না। অনেকেই ৫০ শতাংশ মার্জিনে এলসি খুলতে পারছেন না। আল্লাহর দান স্টোরের টানানো মূল্য তালিকা অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২৪ মে) জিরা বিক্রি হচ্ছিল কেজি প্রতি ৪১৫ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৭০ টাকা, দারুচিনি ৩৯২ টাকা, জয়ত্রী ২৩০০ টাকা, জয়ফল ৬২০ টাকা, গোলমরিচ ৫৭০ টাকা করে। মেসার্স আমেনা ট্রেডার্সের মালিক মো. মুন্না বলেন, ভারতীয় জিরা কেজিপ্রতি ৩৮৫ টাকা, ইরানি জিরা ৪১৫ টাকা, ভারতীয় এলাচ (ভালোমানের) বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা। জয়ত্রী প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০০ টাকায়। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০ টাকা করে। তিনি বলেন, আগে ভারতীয় কাঁচা বাদাম বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা করে কেজি। এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি। আর দেশি বাদাম কেজি প্রতি ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা করে। মেসার্স শাহাদাত অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, চীনা রসুনের চাহিদা বেশি। কিন্তু আমদানি বাড়েনি। দেশটির রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। ঈদের আগে এ রসুন বিক্রি হয়েছিল ৯০ থেকে ৯২ টাকায়। তবে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। আদা আগে ৮০ টাকা বিক্রি হলেও এখন কিছুটা কম।