ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হাঁটলে কমবে কোলেস্টেরল

  • আপডেট সময় : ১১:১৭:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১
  • ১৯২ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : দিনে ১৫ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করলে কোলেস্টেরলে মাত্রা কমানো যায়। দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি কি-না তা জানার একমাত্র উপায় রক্ত পরীক্ষা। আর প্রতিষ্ঠিত বিষয় হল ‘হার্ট অ্যাটাক’, স্ট্রোক কিংবা হৃদযন্ত্রের নানান সমস্যার জন্য দায়ী কোলেস্টেরল। তবে এখানে ভালো ও খারাপ কোলেস্টেরলের বিষয়ও আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘মায়ো ক্লিনিক’য়ের তথ্যানুসারে রক্তে এক ধরনের মোমের মতো পিচ্ছিল পদার্থই হল কোলেস্টেরল যা সুস্থ কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থেকে রক্তে চর্বির মাত্রা বাড়ে। ওষুধ ছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে ‘লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন্স (এলডিএল)’ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো যায়। যাকে সাধারণভাবে বলা হয় ‘খারাপ কোলেস্টেরল’। আর এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাধারণ উপায়গুলো হল- হাঁটা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো কিংবা ‘জগিং’।
যদি ব্যায়ামাগারে যাওয়ার অভ্যাস থাকে কিংবা ঘরে ব্যায়ামের উপকরণ থাকে তবে ১৫ মিনিটের ধীর গতির শরীরচর্চায় কোলেস্টেরল কমানো সম্ভব। কোলেস্টেরলে থাকা ট্রাইগ্লিসারাইড দেহে শক্তি হিসেবে খরচ হয়। ব্যায়াম করলে ট্রাগ্লিসারাইড খরচ হয় ফলে এর মাত্রা কমে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্যানুসারে, প্রতিদিন ‘কার্ডিওভাস্কুলার’ ব্যায়াম করলে গড়ে ২৪ শতাংশ ট্রাইগ্লিসারাইড হ্রাস পায়। ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ‘হাই-ডেনসিটি লিপোপ্রোটেন্স (এইচডিএল)’য়ের মাত্রাও বাড়ায়। যা ‘ভালো’ কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত।
ভালো কোলেস্টেরল বাড়ানোর পন্থা : যুক্তরাষ্ট্রের ‘জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি’র ডা. রজার ব্লুমেন্থাল বলেন, “ব্যায়াম করার অভ্যাস যদি না থাকে তবে এখন থেকেই ধীরে শরীরচর্চা শুরু করলে উপকার পাওয়া যাবে।” ইট দিস, নট দ্যাট ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “আমরা এমনও দেখেছি যাদের খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয় অথচ ব্যায়াম করেন তারা এলডিএল’য়ের মাত্রা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমাতে পেরেছেন। আর তাদের এইচডিএল’য়ের মাত্রা বেড়েছে ২০ শতাংশ। তিনি পরামর্শ দেন, “ব্যায়াম করায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া পর দিনে অন্তত ১৫ মিনিট শরীরচর্চা করুন। যদি হাঁটা শুরু করেন তবে একটু জোরে হাঁটুন। এভাবে গতি ও সময় বাড়ালে ভালো ফলাফল মিলবে।” পাশাপাশি এই পন্থা আরও কার্যকর হবে যখন স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও গড়ে তোলা হবে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শও মেনে চলতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাঁটলে কমবে কোলেস্টেরল

আপডেট সময় : ১১:১৭:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক : দিনে ১৫ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করলে কোলেস্টেরলে মাত্রা কমানো যায়। দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি কি-না তা জানার একমাত্র উপায় রক্ত পরীক্ষা। আর প্রতিষ্ঠিত বিষয় হল ‘হার্ট অ্যাটাক’, স্ট্রোক কিংবা হৃদযন্ত্রের নানান সমস্যার জন্য দায়ী কোলেস্টেরল। তবে এখানে ভালো ও খারাপ কোলেস্টেরলের বিষয়ও আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘মায়ো ক্লিনিক’য়ের তথ্যানুসারে রক্তে এক ধরনের মোমের মতো পিচ্ছিল পদার্থই হল কোলেস্টেরল যা সুস্থ কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থেকে রক্তে চর্বির মাত্রা বাড়ে। ওষুধ ছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে ‘লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন্স (এলডিএল)’ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো যায়। যাকে সাধারণভাবে বলা হয় ‘খারাপ কোলেস্টেরল’। আর এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাধারণ উপায়গুলো হল- হাঁটা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো কিংবা ‘জগিং’।
যদি ব্যায়ামাগারে যাওয়ার অভ্যাস থাকে কিংবা ঘরে ব্যায়ামের উপকরণ থাকে তবে ১৫ মিনিটের ধীর গতির শরীরচর্চায় কোলেস্টেরল কমানো সম্ভব। কোলেস্টেরলে থাকা ট্রাইগ্লিসারাইড দেহে শক্তি হিসেবে খরচ হয়। ব্যায়াম করলে ট্রাগ্লিসারাইড খরচ হয় ফলে এর মাত্রা কমে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্যানুসারে, প্রতিদিন ‘কার্ডিওভাস্কুলার’ ব্যায়াম করলে গড়ে ২৪ শতাংশ ট্রাইগ্লিসারাইড হ্রাস পায়। ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ‘হাই-ডেনসিটি লিপোপ্রোটেন্স (এইচডিএল)’য়ের মাত্রাও বাড়ায়। যা ‘ভালো’ কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত।
ভালো কোলেস্টেরল বাড়ানোর পন্থা : যুক্তরাষ্ট্রের ‘জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি’র ডা. রজার ব্লুমেন্থাল বলেন, “ব্যায়াম করার অভ্যাস যদি না থাকে তবে এখন থেকেই ধীরে শরীরচর্চা শুরু করলে উপকার পাওয়া যাবে।” ইট দিস, নট দ্যাট ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “আমরা এমনও দেখেছি যাদের খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয় অথচ ব্যায়াম করেন তারা এলডিএল’য়ের মাত্রা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমাতে পেরেছেন। আর তাদের এইচডিএল’য়ের মাত্রা বেড়েছে ২০ শতাংশ। তিনি পরামর্শ দেন, “ব্যায়াম করায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া পর দিনে অন্তত ১৫ মিনিট শরীরচর্চা করুন। যদি হাঁটা শুরু করেন তবে একটু জোরে হাঁটুন। এভাবে গতি ও সময় বাড়ালে ভালো ফলাফল মিলবে।” পাশাপাশি এই পন্থা আরও কার্যকর হবে যখন স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও গড়ে তোলা হবে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শও মেনে চলতে হবে।