ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

ডলারের বিপরীতে আরও কমল টাকার মান

  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মে মাসে তৃতীয়বারের মত ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল সোমবার আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের বিনিময় হার আরও ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন। রোববার পর্যন্ত প্রতি ডলার বিনিময় হয়েছিল ৮৭ টাকা ৫০ পয়সায়। এই হার নির্ধারিত হয়েছিল গত ১৬ মে। তার আগের সপ্তাহে ৯ মে ডলারের বিনিময় মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। তার আগে এই বিনিময় হার ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে বিশ্বজুড়ে চাহিদা বাড়ায় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। এর মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে বৈশ্বিক পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় খরচ বেড়ে যায়। তাতে ডলারের চাহিদাও বাড়তে থাকে। ফলে বিশ্বের অনেক দেশের মত বাংলাদেশের মুদ্রা টাকাও ডলারের বিপরীতে দর হারাতে থাকে। শুধু আন্তঃব্যাংক লেনদেনেই ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হয়েছে ৩ শতাংশের বেশি। গত বছরের এপ্রিলে ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। জুনে তা এক পয়সা বাড়লেও আগস্ট থেকে টাকার মান দ্রুত কমতে থাকে। চাহিদা বাড়ায় কাগুজে ডলারের দরও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। মানি এক্সচেঞ্জ থেকে কাগুজে ডলার কিনতে সোমবার ৯৮ দশমিক ২০ টাকা গুনতে হয়েছে ক্রেতাদের। এর আগে গত ১৭ মে খোলা বাড়ারে ডলারের দাম ১০২ টাকায় উঠেছিল। খোলাবাজারে (কার্ব মার্কেট) ডলার আসে মূলত বিদেশফেরত প্রবাসী কর্মী ও পর্যটকদের কাছ থেকে। সঙ্গে করে নিয়ে আসা ডলার অনেকে বিক্রি করে দেন মানি চেঞ্জারগুলোর কাছে। আবার বিদেশগামীরা প্রয়োজনে ডলার কিনে নেন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে। রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম গত সপ্তাহে বলেছিলেন, “আগের চেয়ে আমদানি ব্যয় তিনগুণ বেড়েছে, বিশেষ করে বিভিন্ন প্রকার তেল আমদানিতে। কিন্তু রপ্তানি ও রেমিটেন্স সেভাবে বাড়েনি। সরকারের চাহিদা পূরণে অনেক সময়েই বাড়তি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে। এতে আমাদের লোকসানও গুনতে হচ্ছে।” ব্যয় সঙ্কোচন এবং ডলারের ওপর চাপ কমাতে অতি জরুরি প্রকল্প ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে অর্থায়নে সতর্কতা অবলম্বন করছে সরকার। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণও সীমিত করা হয়েছে। বিলাসপণ্যের পেছনে খরচ কমিয়ে আনতে আমদানিতে এলসি মার্জিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার নাম বদলে হলো ঢাকা বাণিজ্যমেলা

ডলারের বিপরীতে আরও কমল টাকার মান

আপডেট সময় : ০২:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মে মাসে তৃতীয়বারের মত ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল সোমবার আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের বিনিময় হার আরও ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন। রোববার পর্যন্ত প্রতি ডলার বিনিময় হয়েছিল ৮৭ টাকা ৫০ পয়সায়। এই হার নির্ধারিত হয়েছিল গত ১৬ মে। তার আগের সপ্তাহে ৯ মে ডলারের বিনিময় মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। তার আগে এই বিনিময় হার ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে বিশ্বজুড়ে চাহিদা বাড়ায় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। এর মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে বৈশ্বিক পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় খরচ বেড়ে যায়। তাতে ডলারের চাহিদাও বাড়তে থাকে। ফলে বিশ্বের অনেক দেশের মত বাংলাদেশের মুদ্রা টাকাও ডলারের বিপরীতে দর হারাতে থাকে। শুধু আন্তঃব্যাংক লেনদেনেই ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হয়েছে ৩ শতাংশের বেশি। গত বছরের এপ্রিলে ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। জুনে তা এক পয়সা বাড়লেও আগস্ট থেকে টাকার মান দ্রুত কমতে থাকে। চাহিদা বাড়ায় কাগুজে ডলারের দরও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। মানি এক্সচেঞ্জ থেকে কাগুজে ডলার কিনতে সোমবার ৯৮ দশমিক ২০ টাকা গুনতে হয়েছে ক্রেতাদের। এর আগে গত ১৭ মে খোলা বাড়ারে ডলারের দাম ১০২ টাকায় উঠেছিল। খোলাবাজারে (কার্ব মার্কেট) ডলার আসে মূলত বিদেশফেরত প্রবাসী কর্মী ও পর্যটকদের কাছ থেকে। সঙ্গে করে নিয়ে আসা ডলার অনেকে বিক্রি করে দেন মানি চেঞ্জারগুলোর কাছে। আবার বিদেশগামীরা প্রয়োজনে ডলার কিনে নেন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে। রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম গত সপ্তাহে বলেছিলেন, “আগের চেয়ে আমদানি ব্যয় তিনগুণ বেড়েছে, বিশেষ করে বিভিন্ন প্রকার তেল আমদানিতে। কিন্তু রপ্তানি ও রেমিটেন্স সেভাবে বাড়েনি। সরকারের চাহিদা পূরণে অনেক সময়েই বাড়তি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে। এতে আমাদের লোকসানও গুনতে হচ্ছে।” ব্যয় সঙ্কোচন এবং ডলারের ওপর চাপ কমাতে অতি জরুরি প্রকল্প ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে অর্থায়নে সতর্কতা অবলম্বন করছে সরকার। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণও সীমিত করা হয়েছে। বিলাসপণ্যের পেছনে খরচ কমিয়ে আনতে আমদানিতে এলসি মার্জিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।