ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বন্যায় ঝুঁকিতে বাংলাদেশের ১৫ লাখের বেশি শিশু

  • আপডেট সময় : ০১:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পাঁচটি জেলায় ভয়াবহ বন্যার প্রভাবে ১৫ লাখের বেশি শিশুর নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং শিক্ষা ঝুঁকিতে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি জানায়, যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে শিশুরা সবচেয়ে অসহায়। ক্ষতিগ্রস্ত শিশু ও পরিবারগুলোর জরুরি নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং নিরাপদ পানির প্রয়োজনে সাড়া দিতে ইউনিসেফ সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
গতকাল সোমবার জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল-ইউনিসেফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের পাঁচ জেলা- সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও মৌলভীবাজারের ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সিলেট ও সুনামগঞ্জ এলাকার মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে, কারণ সেখানে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং কৃষিজমি, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বন্যায় তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে এরই মধ্যে ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ও চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্তত তিনজন শিশু বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে। জেলাগুলোতে বন্যার প্রভাবে শতাধিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে শিশুদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত দুই বছরে ১৮ মাস মহামারিতে স্কুল বন্ধ থাকার পর আবারও এ ধরনের পরিস্থিতি শিশুদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করছে। বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য আমরা সমবেদনা প্রকাশ করছি। অন্য যেকোনো জরুরি পরিস্থিতির মতই এক্ষেত্রেও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এ শিশুদের সুরক্ষা ও তাদের তাৎক্ষণিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত করতে ইউনিসেফ সরকার এবং অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইউনিসেফ বিশুদ্ধ পানি, হাইজিন উপকরণ, থেরাপিউটিক দুধ ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কমিউনিটিগুলোর মাঝে পানিতে ডুবে যাওয়া ও জরুরি প্রস্তুতির বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে। শিশুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমাজকর্মীরা যাতে প্রস্তুত থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিসেফ সমাজসেবা অধিদপ্তরের (ডিএসএস) সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বন্যায় ঝুঁকিতে বাংলাদেশের ১৫ লাখের বেশি শিশু

আপডেট সময় : ০১:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পাঁচটি জেলায় ভয়াবহ বন্যার প্রভাবে ১৫ লাখের বেশি শিশুর নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং শিক্ষা ঝুঁকিতে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি জানায়, যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে শিশুরা সবচেয়ে অসহায়। ক্ষতিগ্রস্ত শিশু ও পরিবারগুলোর জরুরি নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং নিরাপদ পানির প্রয়োজনে সাড়া দিতে ইউনিসেফ সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
গতকাল সোমবার জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল-ইউনিসেফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের পাঁচ জেলা- সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও মৌলভীবাজারের ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সিলেট ও সুনামগঞ্জ এলাকার মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে, কারণ সেখানে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং কৃষিজমি, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বন্যায় তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে এরই মধ্যে ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ও চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্তত তিনজন শিশু বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে। জেলাগুলোতে বন্যার প্রভাবে শতাধিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে শিশুদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত দুই বছরে ১৮ মাস মহামারিতে স্কুল বন্ধ থাকার পর আবারও এ ধরনের পরিস্থিতি শিশুদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করছে। বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য আমরা সমবেদনা প্রকাশ করছি। অন্য যেকোনো জরুরি পরিস্থিতির মতই এক্ষেত্রেও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এ শিশুদের সুরক্ষা ও তাদের তাৎক্ষণিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত করতে ইউনিসেফ সরকার এবং অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইউনিসেফ বিশুদ্ধ পানি, হাইজিন উপকরণ, থেরাপিউটিক দুধ ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কমিউনিটিগুলোর মাঝে পানিতে ডুবে যাওয়া ও জরুরি প্রস্তুতির বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে। শিশুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমাজকর্মীরা যাতে প্রস্তুত থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিসেফ সমাজসেবা অধিদপ্তরের (ডিএসএস) সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।