ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

নবপ্রাণে উজ্জীবিত হচ্ছে তেঁতুলতলা মাঠ

  • আপডেট সময় : ১১:১৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন : চেনা রূপে ফিরেছে আলোচিত তেঁতুলতলা মাঠ। শিশুদের খেলাধুলায় কেউ আর বাধা দিচ্ছে না। ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠান করতে পারছেন স্থানীয়রা। স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে মাঠ। গত এপ্রিল মাসে রাজধানীর কলাবাগানে অবস্থিত মাঠটি পুলিশ অধিগ্রহন করে থানা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। পরে মাঠটি রক্ষার জন্য এলাকাবাসী ও নাগরিক সমাজের আন্দোলন শুরু হয়। একপর্যায়ে মাঠ রক্ষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমাজকর্মী সৈয়দা রতœা ও তার ছেলে মোহাম্মদ ঈসা আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে কলাবাগান থানা পুলিশ। এরপর আন্দোলন বেগবান হলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করা হয়। ফলে রক্ষা পায় তেঁতুলতলা মাঠ।
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, তেঁতুলতলা মাঠ ফিরে গেছে স্বাভাবিক রূপে। স্থানীয় বাসিন্দারা হাঁটাচলা, গাল-গল্প করছেন। শিশুরা মনের আনন্দে খেলাধুলা করছে। স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুবুল হক বলেন, মাঠ নিয়ে জটিলতা নিরসনের পর আর কেনো সমস্যা হয়নি। আমরা আগের মতোই মাঠ ব্যবহার করতে পারছি। শিশুরা খেলাধুলা করছে। তেঁতুলতলা মাঠের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত ভাই ভাই স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী জিহাদ হোসেন বলেন, পুলিশের ঝামেলার পর আর কোনো সমস্যা হয়নি। ঈদুল ফিতরে আমরা সবাই মিলে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। মাঠটি আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। মাঠে খেলারত শিশু আরিফ বলে, আমরা এখন আগের মতো খেলাধুলা করতে পারছি। কোনো সমস্যা হয় না। মাঠের পরিস্থিতি ঠিক হওয়ায় আমরা সবাই খুশি। মাঠরক্ষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া সৈয়দা রতœা বলেন, তেঁতুলতলা মাঠ এখন স্বাভাবিক রূপে ফিরে গেছে। মাঝখানে একবার পুলিশ এসেছিল। এরপর আর আসেনি। মাঠটি রক্ষা পাওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। আর কোনো পুলিশি হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নে সৈয়দা রতœা বলেন, গ্রেপ্তার থেকে মুক্তির পর আর কোনো পুলিশি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
গত ২৪ এপ্রিল পুলিশ তেঁতুলতলা মাঠে প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করলে সৈয়দা রতœা সেখানে গিয়ে ফেসবুক লাইভ শুরু করেন। পরে রাষ্ট্রীয় কাজে বাধার অভিযোগ তুলে সৈয়দা রতœা ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এলাকাবাসী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে রবিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কলাবাগান থানা থেকে দুজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তেঁতুলতলা মাঠ নিয়ে আন্দোলন আর নানামুখী আলোচনার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই মাঠ খেলার জন্য থাকবে বলে নির্দেশনা দেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট রুখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

নবপ্রাণে উজ্জীবিত হচ্ছে তেঁতুলতলা মাঠ

আপডেট সময় : ১১:১৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২

মহানগর প্রতিবেদন : চেনা রূপে ফিরেছে আলোচিত তেঁতুলতলা মাঠ। শিশুদের খেলাধুলায় কেউ আর বাধা দিচ্ছে না। ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠান করতে পারছেন স্থানীয়রা। স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে মাঠ। গত এপ্রিল মাসে রাজধানীর কলাবাগানে অবস্থিত মাঠটি পুলিশ অধিগ্রহন করে থানা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। পরে মাঠটি রক্ষার জন্য এলাকাবাসী ও নাগরিক সমাজের আন্দোলন শুরু হয়। একপর্যায়ে মাঠ রক্ষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমাজকর্মী সৈয়দা রতœা ও তার ছেলে মোহাম্মদ ঈসা আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে কলাবাগান থানা পুলিশ। এরপর আন্দোলন বেগবান হলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করা হয়। ফলে রক্ষা পায় তেঁতুলতলা মাঠ।
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, তেঁতুলতলা মাঠ ফিরে গেছে স্বাভাবিক রূপে। স্থানীয় বাসিন্দারা হাঁটাচলা, গাল-গল্প করছেন। শিশুরা মনের আনন্দে খেলাধুলা করছে। স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুবুল হক বলেন, মাঠ নিয়ে জটিলতা নিরসনের পর আর কেনো সমস্যা হয়নি। আমরা আগের মতোই মাঠ ব্যবহার করতে পারছি। শিশুরা খেলাধুলা করছে। তেঁতুলতলা মাঠের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত ভাই ভাই স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী জিহাদ হোসেন বলেন, পুলিশের ঝামেলার পর আর কোনো সমস্যা হয়নি। ঈদুল ফিতরে আমরা সবাই মিলে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। মাঠটি আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। মাঠে খেলারত শিশু আরিফ বলে, আমরা এখন আগের মতো খেলাধুলা করতে পারছি। কোনো সমস্যা হয় না। মাঠের পরিস্থিতি ঠিক হওয়ায় আমরা সবাই খুশি। মাঠরক্ষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া সৈয়দা রতœা বলেন, তেঁতুলতলা মাঠ এখন স্বাভাবিক রূপে ফিরে গেছে। মাঝখানে একবার পুলিশ এসেছিল। এরপর আর আসেনি। মাঠটি রক্ষা পাওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। আর কোনো পুলিশি হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নে সৈয়দা রতœা বলেন, গ্রেপ্তার থেকে মুক্তির পর আর কোনো পুলিশি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
গত ২৪ এপ্রিল পুলিশ তেঁতুলতলা মাঠে প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করলে সৈয়দা রতœা সেখানে গিয়ে ফেসবুক লাইভ শুরু করেন। পরে রাষ্ট্রীয় কাজে বাধার অভিযোগ তুলে সৈয়দা রতœা ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এলাকাবাসী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে রবিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কলাবাগান থানা থেকে দুজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তেঁতুলতলা মাঠ নিয়ে আন্দোলন আর নানামুখী আলোচনার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই মাঠ খেলার জন্য থাকবে বলে নির্দেশনা দেন।