সিলেট সংবাদদাতা : কয়েকদিন ধরেই বেড়ে চলেছিল সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সব জায়গাই ছিল পানি। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সিলেটের প্রায় ২০ লাখ মানুষের। পানি কমতে শুরু করলেও সুরমা, কুশিয়ারায় এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে পানির স্রোত। তবে কমার ধারা অব্যাহত থাকলে আজ-কালের মধ্যে বিপৎসীমার নিচে নেমে যাবে। পাউবো জানায়, সিলেটের সুরমা আর কুশিয়ারা নদীসহ বিভিন্ন নদের পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে দীর্ঘ ১০ দিন পর কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছেন সিলেটের মানুষজন। পাউবো আরও জানায়, সুরমা নদীর পানি আগের চেয়ে দুটি পয়েন্টেই কমেছে। কুশিয়ারার পানি দুটি পয়েন্টে বাড়লেও কমেছে দুটি পয়েন্টে। লোভা, সারি ও ধলাই নদীর পানি আগের চেয়ে কমেছে। কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ১৩.৬৭ মিটার। আজ সকাল ৯টায় এ পানিসীমা হয় ১৩.৬০ মিটার। এ নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে ছিল ১১.০৯ মিটার; গতকাল সকালে হয়েছে ১১.০৫ মিটার। কুশিয়ারা নদীর আমলশিদ পয়েন্টে সন্ধ্যায় ছিল ১৭.০৫ মিটার। গতকাল সকালে পানিসীমা দাঁড়ায় ১৬.৯৬ মিটার। পানি কমেছে শেওলা পয়েন্টেও। এখানে ছিল ১৩.৬৩ মিটার; গতকাল সকালে হয় ১৩.৬০ মিটার। তবে কুশিয়ারার পানি বেড়েছে শেরপুর ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে। শেরপুরে পানিসীমা ছিল ৭.৮১ মিটার; গতকাল সকালে হয় ৭.৯২ মিটার। ফেঞ্চুগঞ্জে ছিল ৯.৭৩ মিটার; হয়েছে ৯.৮১ মিটার। লোভা নদীর পানি আগেরদিন সন্ধ্যায় ছিল ১৪.০০ মিটার। গতকাল সকালে কমে হয়েছে ১৩.৮৮ মিটার। সারি নদীর পানি ১১.৪৪ মিটার থাকলেও গতকাল সকালে হয়েছে ১০.৯৮ মিটার। এ ছাড়া ধলাই নদীর পানিও কমেছে। এ নদীর পানিসীমা ছিল ১০.৮৮ মিটার; কমে হয়েছে ১০.৮৬ মিটার।