ঢাকা ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

রপ্তানি বাড়াতে ঋণের সুদ কমলো

  • আপডেট সময় : ০২:২৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে আরও গতি বাড়াতে উদ্যোক্তাদের বাড়তি সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাক-জাহাজীকরণ (প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট) পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় দেওয়া ঋণের সুদ হার। অন্যদিকে বাড়ানো হয়েছে তহবিলের মেয়াদ। এর ফলে এখন থেকে আগের চেয়ে দেড় শতাংশ কম সুদে প্রাক-জাহাজীকরণ (প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট) পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণ সুবিধা পাবেন উদ্যোক্তা তথা রপ্তানি পণ্য উৎপাদকরা। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে নির্দেশনাসহ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আলোচিত স্কিমের আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ঋণের সুদের হার হবে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এতদিন এই সুদের হার ছিল ৫ শতাংশ। সুদের হার ১ দশমিক ৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার কমলেও ব্যাংকের কোনো লোকসান হবে না। ব্যাংকের মার্জিন আগের মতোই থাকবে। কারণ ব্যাংক পর্যায়ে সুদের হার ১ দশমিক ৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৩ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে নামানো হয়েছে। একই সঙ্গে আলোচিত তহবিলের মেয়াদ ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করা হয়েছে। এই মেয়াদের মধ্যে তহবিলটি আবর্তনযোগ্য (জবাড়ষারহম)। আর সব তফসিলি ব্যাংক ১৮০ দিন তথা ছয় মাসের জন্য এককালীন পরিশোধ করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট নিয়মে পুনঃঅর্থায়ন বাবদ টাকা সংগ্রহ করতে পারে। এ ঋণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত চার্জ ছাড়া বাড়তি কোনো চার্জ আদায় করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুসারে, স্থানীয় সব রপ্তানিকারক বা রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিলটি উন্মুক্ত থাকবে। প্রচলিত নিয়মে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করা যাবে। ব্যাংকসমূহ রপ্তানি আদেশ কিংবা রপ্তানি ঋণপত্রের তথ্য নিশ্চিত হয়ে প্রকৃত মূল্য থেকে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মূল্যের বিপরীতে নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাহকের অনুকূলে প্রদত্ত জাহাজীকরণ পণ্যের সমপরিমাণ অর্থ ঋণ হিসাবে দিতে পারবে। আর প্যাকেজিং পণ্যের মোট মূল্যের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। একজন গ্রাহককে তহবিলের মেয়াদকাল তথা ৫ বছরে এ পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় একাধিকবার বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ বিতরণ করা যাবে। তবে খেলাপি গ্রাহক বা খেলাপি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া যাবে না। কোনো রপ্তানিকারক পর পর তিনটি রপ্তানিমূল্য (ঊীঢ়ড়ৎঃ ইরষষ) প্রত্যাবাসন না করে থাকলে, অর্থাৎ রপ্তানির অর্থ দেশে না এনে থাকলে আলোচিত তহবিল থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে না। ঝযবষষ কোম্পানি তথা কাগুজে বা সন্দেহজনক কোম্পানির ক্রয় আদেশ বা শেল ব্যাংকের ঋণপত্রের বিপরীতে প্রদত্ত প্রিশিপমেন্ট এর বিপরীতে এ তহবিলের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদান করা যাবে না। উল্লেখ, করোনাভাইরাস অতিমারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত প্রাক-জাহাজীকরণ পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ৫ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করে। রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রেখে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে আলোচিত তহবিল গঠন করা হয়। রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহযোগিতার লক্ষ্যে এবার সুদহার কমানোসহ এই স্কিমটিকে আরও নমনীয় ও সহজ করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রপ্তানি বাড়াতে ঋণের সুদ কমলো

আপডেট সময় : ০২:২৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে আরও গতি বাড়াতে উদ্যোক্তাদের বাড়তি সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাক-জাহাজীকরণ (প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট) পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় দেওয়া ঋণের সুদ হার। অন্যদিকে বাড়ানো হয়েছে তহবিলের মেয়াদ। এর ফলে এখন থেকে আগের চেয়ে দেড় শতাংশ কম সুদে প্রাক-জাহাজীকরণ (প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট) পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণ সুবিধা পাবেন উদ্যোক্তা তথা রপ্তানি পণ্য উৎপাদকরা। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে নির্দেশনাসহ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আলোচিত স্কিমের আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ঋণের সুদের হার হবে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এতদিন এই সুদের হার ছিল ৫ শতাংশ। সুদের হার ১ দশমিক ৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার কমলেও ব্যাংকের কোনো লোকসান হবে না। ব্যাংকের মার্জিন আগের মতোই থাকবে। কারণ ব্যাংক পর্যায়ে সুদের হার ১ দশমিক ৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৩ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে নামানো হয়েছে। একই সঙ্গে আলোচিত তহবিলের মেয়াদ ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করা হয়েছে। এই মেয়াদের মধ্যে তহবিলটি আবর্তনযোগ্য (জবাড়ষারহম)। আর সব তফসিলি ব্যাংক ১৮০ দিন তথা ছয় মাসের জন্য এককালীন পরিশোধ করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট নিয়মে পুনঃঅর্থায়ন বাবদ টাকা সংগ্রহ করতে পারে। এ ঋণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত চার্জ ছাড়া বাড়তি কোনো চার্জ আদায় করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুসারে, স্থানীয় সব রপ্তানিকারক বা রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিলটি উন্মুক্ত থাকবে। প্রচলিত নিয়মে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করা যাবে। ব্যাংকসমূহ রপ্তানি আদেশ কিংবা রপ্তানি ঋণপত্রের তথ্য নিশ্চিত হয়ে প্রকৃত মূল্য থেকে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মূল্যের বিপরীতে নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাহকের অনুকূলে প্রদত্ত জাহাজীকরণ পণ্যের সমপরিমাণ অর্থ ঋণ হিসাবে দিতে পারবে। আর প্যাকেজিং পণ্যের মোট মূল্যের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। একজন গ্রাহককে তহবিলের মেয়াদকাল তথা ৫ বছরে এ পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় একাধিকবার বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ বিতরণ করা যাবে। তবে খেলাপি গ্রাহক বা খেলাপি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া যাবে না। কোনো রপ্তানিকারক পর পর তিনটি রপ্তানিমূল্য (ঊীঢ়ড়ৎঃ ইরষষ) প্রত্যাবাসন না করে থাকলে, অর্থাৎ রপ্তানির অর্থ দেশে না এনে থাকলে আলোচিত তহবিল থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে না। ঝযবষষ কোম্পানি তথা কাগুজে বা সন্দেহজনক কোম্পানির ক্রয় আদেশ বা শেল ব্যাংকের ঋণপত্রের বিপরীতে প্রদত্ত প্রিশিপমেন্ট এর বিপরীতে এ তহবিলের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদান করা যাবে না। উল্লেখ, করোনাভাইরাস অতিমারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত প্রাক-জাহাজীকরণ পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ৫ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করে। রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রেখে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে আলোচিত তহবিল গঠন করা হয়। রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহযোগিতার লক্ষ্যে এবার সুদহার কমানোসহ এই স্কিমটিকে আরও নমনীয় ও সহজ করা হয়েছে।