ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

এক ঘণ্টা ধরে বাঁচার আকুতি, রক্ষা পেলেন না

  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

নাটোর সংবাদদাতা : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বালুভর্তি ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল বুধবার ভোররাতের দিকে নাটোর-পাবনা মহাসড়কে উপজেলার নগর কয়েনবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বনপাড়া হাইওয়ে থানার এসআই ফিরোজ হোসেন জানান। নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা পশুরহাট এলাকার আছির উদ্দিনের ছেলে মাইক্রোবাসের চালক মনিরুজ্জামান (৩৫) এবং একই উপজেলার গহরপাড়া গ্রামের মৃত আদম আলীর ছেলে আল-মাহবুব (৪৩)। এসআই ফিরোজ হোসেন জানান, মাইক্রোবাসটি চুয়াডাঙ্গা থেকে রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসে যাচ্ছিল। সংঘর্ষের পর ট্রাকটি উল্টে যায় ও মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের চালকের মৃত্যু হয়। এদিকে মাইক্রোবাসের দুই পাশের দরজার মধ্যে আটকা পড়েন যাত্রী আল-মাহবুব। তিনি সেখানে আটকে প্রায় ঘণ্টাখানেক বাঁচার আকুতি করেন। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কেটে বের করার আগেই তার মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। বনপাড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের টিম লিডার নুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা ভোর ৩টা ৫ মিনিটে খবর পাওয়ার পর পরই দুর্ঘটনাস্থলে যাই এবং উদ্ধার তৎপরতা শুরু করি। এক যাত্রী দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসের ভেতরে আটকে ছিলেন। মাইক্রোবাসের কিছু অংশ কেটে তাকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

এক ঘণ্টা ধরে বাঁচার আকুতি, রক্ষা পেলেন না

আপডেট সময় : ১২:৪৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২

নাটোর সংবাদদাতা : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বালুভর্তি ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল বুধবার ভোররাতের দিকে নাটোর-পাবনা মহাসড়কে উপজেলার নগর কয়েনবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বনপাড়া হাইওয়ে থানার এসআই ফিরোজ হোসেন জানান। নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা পশুরহাট এলাকার আছির উদ্দিনের ছেলে মাইক্রোবাসের চালক মনিরুজ্জামান (৩৫) এবং একই উপজেলার গহরপাড়া গ্রামের মৃত আদম আলীর ছেলে আল-মাহবুব (৪৩)। এসআই ফিরোজ হোসেন জানান, মাইক্রোবাসটি চুয়াডাঙ্গা থেকে রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসে যাচ্ছিল। সংঘর্ষের পর ট্রাকটি উল্টে যায় ও মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের চালকের মৃত্যু হয়। এদিকে মাইক্রোবাসের দুই পাশের দরজার মধ্যে আটকা পড়েন যাত্রী আল-মাহবুব। তিনি সেখানে আটকে প্রায় ঘণ্টাখানেক বাঁচার আকুতি করেন। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কেটে বের করার আগেই তার মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। বনপাড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের টিম লিডার নুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা ভোর ৩টা ৫ মিনিটে খবর পাওয়ার পর পরই দুর্ঘটনাস্থলে যাই এবং উদ্ধার তৎপরতা শুরু করি। এক যাত্রী দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসের ভেতরে আটকে ছিলেন। মাইক্রোবাসের কিছু অংশ কেটে তাকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।