ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

জবির ছাত্রী হলে খাবারের দাম বেশি মান খারাপ

  • আপডেট সময় : ১০:০৫:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী হলে উচ্চমূল্যে নি¤œমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীরা বলেন, হলের খাবারে দাম অনেক বেশি হলেও মান খুবই খারাপ। এছাড়া নোংরা পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হয়। পচা-বাসি খাবারও মাঝেমধ্যে দেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ক্যান্টিনের ভেতর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে খাবার। টেবিলের নিচে ফ্লোরে ঢাকনা ছাড়া রয়েছে রান্না করা তরকারি। এর ওপর ভনভন করছে মাছি। এছাড়া রান্নাঘরে রাখা কাটা কাঁচা মাছ হাতে নেওয়ার পর একরকম ভ্যাপসা দুর্গন্ধ ও নরম দেখা যায়। সেখানে রাখা কাঁচা সবজিগুলোও অনেক আগের। এছাড়া ভাতের ঝুড়ির পাশেই ধোয়া হচ্ছে ময়লা থালা। এ সময় থালা ধোয়ার ময়লা পানি ছিটকে ভাতের ঝুড়িতে পড়তে দেখা যায়। এসব দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করার সময় দ্রুত খাবার ঢাকতে থাকেন এক ক্যান্টিন কর্মচারী।
ক্যান্টিনে খেতে আসা কয়েকজন ছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হলে মাছের তরকারি খেলে মনে হয় শুঁটকি মাছ। কারণ দুর্গন্ধ বের হয়। এ খাবারে কোনো স্বাদ নেই। মুরগির মাংস খেলে মনে হয় বাসি মুরগি। মিনিকেট চাল বলা হলেও ভাত অনেক মোটা। এটা মিনিকেট চাল হয় কীভাবে? অথচ এই খাবার খেয়েই প্রতি মাসে আমাদের বিল আসে চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। হল ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল। অভিযোগ করলেও কোনো সমাধান মেলে না বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ বিষয়ে হলের ক্যান্টিন পরিচালক নূর মোহাম্মদ মামুনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, হলের খাবারের মান ঠিক আছে, দামও ঠিক আছে। আপনারা অন্য জায়গায় খোঁজ নিয়ে দেখেন। আর আমাদের জায়গা কম বলে প্লেট ধোয়ার জায়গার পাশে ভাতের ঝুড়ি রাখা হয়েছিল।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, হলের শিক্ষার্থীদের খাবার মান নিয়ে আমাদের কাছে তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। আর যেসব অভিযোগ আসে সেগুলা আমরা আমলে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি। তবে আমাদের হলের মেয়েরা খুবই নোংরা অবস্থায় থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা অনেক পরিচ্ছন্ন থাকলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের শিক্ষার্থীরা অপরিচ্ছন্নভাবে থাকে। এজন্য তারা পিছিয়ে আছে। তাদের দিয়ে কিছু হবে না।
হলের ক্যান্টিনে অপরিচ্ছন্নতার কথা জানালে তিনি বলেন, খাবার যেন পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পরিবেশন করা হয়, এ বিষয়ে আমি বারবার বলেছি। মাঝেমধ্যে তদারকিও করি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ জানান, এ বিষয়ে তার কিছু করার নেই। হলের প্রভোস্ট তার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। হল প্রভোস্ট অভিযোগ করলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জবির ছাত্রী হলে খাবারের দাম বেশি মান খারাপ

আপডেট সময় : ১০:০৫:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী হলে উচ্চমূল্যে নি¤œমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীরা বলেন, হলের খাবারে দাম অনেক বেশি হলেও মান খুবই খারাপ। এছাড়া নোংরা পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হয়। পচা-বাসি খাবারও মাঝেমধ্যে দেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ক্যান্টিনের ভেতর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে খাবার। টেবিলের নিচে ফ্লোরে ঢাকনা ছাড়া রয়েছে রান্না করা তরকারি। এর ওপর ভনভন করছে মাছি। এছাড়া রান্নাঘরে রাখা কাটা কাঁচা মাছ হাতে নেওয়ার পর একরকম ভ্যাপসা দুর্গন্ধ ও নরম দেখা যায়। সেখানে রাখা কাঁচা সবজিগুলোও অনেক আগের। এছাড়া ভাতের ঝুড়ির পাশেই ধোয়া হচ্ছে ময়লা থালা। এ সময় থালা ধোয়ার ময়লা পানি ছিটকে ভাতের ঝুড়িতে পড়তে দেখা যায়। এসব দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করার সময় দ্রুত খাবার ঢাকতে থাকেন এক ক্যান্টিন কর্মচারী।
ক্যান্টিনে খেতে আসা কয়েকজন ছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হলে মাছের তরকারি খেলে মনে হয় শুঁটকি মাছ। কারণ দুর্গন্ধ বের হয়। এ খাবারে কোনো স্বাদ নেই। মুরগির মাংস খেলে মনে হয় বাসি মুরগি। মিনিকেট চাল বলা হলেও ভাত অনেক মোটা। এটা মিনিকেট চাল হয় কীভাবে? অথচ এই খাবার খেয়েই প্রতি মাসে আমাদের বিল আসে চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। হল ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল। অভিযোগ করলেও কোনো সমাধান মেলে না বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ বিষয়ে হলের ক্যান্টিন পরিচালক নূর মোহাম্মদ মামুনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, হলের খাবারের মান ঠিক আছে, দামও ঠিক আছে। আপনারা অন্য জায়গায় খোঁজ নিয়ে দেখেন। আর আমাদের জায়গা কম বলে প্লেট ধোয়ার জায়গার পাশে ভাতের ঝুড়ি রাখা হয়েছিল।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, হলের শিক্ষার্থীদের খাবার মান নিয়ে আমাদের কাছে তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। আর যেসব অভিযোগ আসে সেগুলা আমরা আমলে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি। তবে আমাদের হলের মেয়েরা খুবই নোংরা অবস্থায় থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা অনেক পরিচ্ছন্ন থাকলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের শিক্ষার্থীরা অপরিচ্ছন্নভাবে থাকে। এজন্য তারা পিছিয়ে আছে। তাদের দিয়ে কিছু হবে না।
হলের ক্যান্টিনে অপরিচ্ছন্নতার কথা জানালে তিনি বলেন, খাবার যেন পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পরিবেশন করা হয়, এ বিষয়ে আমি বারবার বলেছি। মাঝেমধ্যে তদারকিও করি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ জানান, এ বিষয়ে তার কিছু করার নেই। হলের প্রভোস্ট তার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। হল প্রভোস্ট অভিযোগ করলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।