ঢাকা ১০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

প্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে চার বিল

  • আপডেট সময় : ১১:১৪:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : নতুন চারটি বিল এসেছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে যেগুলোর লক্ষ্য প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে একটিতে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দুটি বিলে অ্যামাজন বা গুগলের মতো জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানের কথা উঠে এসেছে বলে প্রতিবেদনে বলেছে রয়টার্স, যারা নিজে অন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে নিজেরাই সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে।
বিলে উঠে আসা একটি প্রস্তাবনা হলো, প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা একটি বড় প্রতিষ্ঠান যদি এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক হয় যেটি ওই প্ল্যাটফর্মে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে, তবে ওই বড় প্রতিষ্ঠানটিকে ছোট প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা ছাড়তে হবে।
“অ্যামাজন থেকে ফেইসবুক, গুগল থেকে অ্যাপল, এটা পরিষ্কার এই প্রতিষ্ঠানগুলো এতো বড় হয়ে উঠেছে যে এ বিষয়ে ভাবা ছাড়া উপায় নেই।” – বলেন এ বিলের প্রস্তবক প্রমিলা জয়পাল, যিনি ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের ডেমক্রেট দলীয় প্রতিনিধি।
তবে, ব্যবসাবান্ধব মার্কিন চেম্বার অফ কমার্স এই প্রস্তবিত বিলের তীব্র বিরোধীতা করেছে। চেম্বারের নিল ব্র্যাডলি বলেন, “যদি পুরো ব্যবসায়ের ওপর নজর দেওয়ার বদলে একটি বিল মুষ্টিমেয় কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতি লক্ষ্য রেখে তৈরি করা হয়, স্পষ্টতই সেটা বাজে নীতি… একইসঙ্গে একে অসাংবিধানিক বলে রায় দেওয়া সম্ভব।”
অপরদিকে অধিকারভিত্তিক সংগঠন ‘পাবলিক সিটিজেন’ এর প্রেসিডেন্ট রবার্ট ওয়েইসম্যান বলছেন, “বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর লাগামহীনভাবে বড় হয়ে ওঠা এবং এদের ক্ষমতার অপব্যবহার গিয়ে আঘাত করেছে ভোক্তা, কর্মী, ছোট ব্যবসা এবং উদ্ভাবনে। ওই লাগামহীন ক্ষমতার দিন শেষ।”
অ্যান্টিট্রাস্ট প্যানেলের ডেমোক্রেট প্রধান ডেভিড সিসিলাইন এই বিলের প্রধান প্রস্তবকদের অন্যতম। তার সঙ্গে রয়েছেন, শীর্ষ রিপাবলিকান কেন বাক। জুডিশিয়ারি কমিটির জেরল্ড নাডলারও এই বিলে সমর্থন দিয়েছেন।
দ্বিতীয় প্রস্তাবনা হিসেবে বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠান তার তৈরি প্ল্যাটফর্মে যদি নিজের পণ্যের বেলায় পক্ষপতিত্ব করে তবে সেই প্রতিষ্ঠানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার আয়ের শতকরা ৩০ ভাগ জরিমানা করা যাবে। তৃতীয় বিলে বলা হয়েছে, প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা কোনো প্রতিষ্ঠান এমন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে কিনতে পারবে না যেটি ওই প্ল্যাটফর্মে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। চতুর্থ বিলের দাবি হচ্ছে, একজন ব্যবহারকারী চাইলে তার সমুদয় ডেটা অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করতে পারবেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে চার বিল

আপডেট সময় : ১১:১৪:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : নতুন চারটি বিল এসেছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে যেগুলোর লক্ষ্য প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে একটিতে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দুটি বিলে অ্যামাজন বা গুগলের মতো জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানের কথা উঠে এসেছে বলে প্রতিবেদনে বলেছে রয়টার্স, যারা নিজে অন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে নিজেরাই সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে।
বিলে উঠে আসা একটি প্রস্তাবনা হলো, প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা একটি বড় প্রতিষ্ঠান যদি এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক হয় যেটি ওই প্ল্যাটফর্মে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে, তবে ওই বড় প্রতিষ্ঠানটিকে ছোট প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা ছাড়তে হবে।
“অ্যামাজন থেকে ফেইসবুক, গুগল থেকে অ্যাপল, এটা পরিষ্কার এই প্রতিষ্ঠানগুলো এতো বড় হয়ে উঠেছে যে এ বিষয়ে ভাবা ছাড়া উপায় নেই।” – বলেন এ বিলের প্রস্তবক প্রমিলা জয়পাল, যিনি ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের ডেমক্রেট দলীয় প্রতিনিধি।
তবে, ব্যবসাবান্ধব মার্কিন চেম্বার অফ কমার্স এই প্রস্তবিত বিলের তীব্র বিরোধীতা করেছে। চেম্বারের নিল ব্র্যাডলি বলেন, “যদি পুরো ব্যবসায়ের ওপর নজর দেওয়ার বদলে একটি বিল মুষ্টিমেয় কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতি লক্ষ্য রেখে তৈরি করা হয়, স্পষ্টতই সেটা বাজে নীতি… একইসঙ্গে একে অসাংবিধানিক বলে রায় দেওয়া সম্ভব।”
অপরদিকে অধিকারভিত্তিক সংগঠন ‘পাবলিক সিটিজেন’ এর প্রেসিডেন্ট রবার্ট ওয়েইসম্যান বলছেন, “বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর লাগামহীনভাবে বড় হয়ে ওঠা এবং এদের ক্ষমতার অপব্যবহার গিয়ে আঘাত করেছে ভোক্তা, কর্মী, ছোট ব্যবসা এবং উদ্ভাবনে। ওই লাগামহীন ক্ষমতার দিন শেষ।”
অ্যান্টিট্রাস্ট প্যানেলের ডেমোক্রেট প্রধান ডেভিড সিসিলাইন এই বিলের প্রধান প্রস্তবকদের অন্যতম। তার সঙ্গে রয়েছেন, শীর্ষ রিপাবলিকান কেন বাক। জুডিশিয়ারি কমিটির জেরল্ড নাডলারও এই বিলে সমর্থন দিয়েছেন।
দ্বিতীয় প্রস্তাবনা হিসেবে বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠান তার তৈরি প্ল্যাটফর্মে যদি নিজের পণ্যের বেলায় পক্ষপতিত্ব করে তবে সেই প্রতিষ্ঠানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার আয়ের শতকরা ৩০ ভাগ জরিমানা করা যাবে। তৃতীয় বিলে বলা হয়েছে, প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা কোনো প্রতিষ্ঠান এমন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে কিনতে পারবে না যেটি ওই প্ল্যাটফর্মে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। চতুর্থ বিলের দাবি হচ্ছে, একজন ব্যবহারকারী চাইলে তার সমুদয় ডেটা অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করতে পারবেন।