ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

জলজ উদ্ভিদের শক্তিতে চলেছে কম্পিউটার!

  • আপডেট সময় : ১১:৫২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : শৈবালের বা জলজ উদ্ভিদের মাধ্যমে সংগৃহিত বিদ্যুৎ শক্তিতে টানা এক বছর একটি কম্পিউটার চালিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজের বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, শৈবালের মাধ্যমে কম্পিউটারের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর ডিভাইসটি আকারে একটি ‘ডাবল এ (অঅ)’ ব্যাটারির সমান। এতে ‘সিনেকোসিস্টেস’ নামের নীলচে-সবুজ শৈবালের একটি অবিষাক্ত প্রজাতি ব্যবহার করেছেন তারা। এ প্রজাতির শৈবাল ‘প্রাকৃতিকভাবেই ফটোসিনথেসিসের মাধ্যমে সূর্য থেকে শক্তি সংগ্রহ করে’ বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষকদের বিশ্বাস, এই প্রযুক্তির “নির্ভরযোগ্য ও পুননবায়নযোগ্য উপায়ে আকারে ছোট ডিভাইসের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর সম্ভাবনা আছে।”
গবেষকরা পুরো ডিভাইসটি বানাতে সহজলভ্য, সস্তা এবং রিসাইকেল করা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। “এর মানে হল, এই প্রযুক্তির বারবার নকল করে ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’-এর অংশ হিসেবে বিপুল সংখ্যক ছোট ছোট ডিভাইস চালানো সম্ভব,” বলে দাবি করেছেন গবেষক দল। ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’ সাধারণত স্মার্টওয়াচের মতো ছোট ছোট ডিভাইসের একটি নেটওয়ার্ককে বোঝায়। অল্প বিদ্যুৎ শক্তি খরচ করে ডেটা সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিকভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডেটা শেয়ার করে ডিভাইসগুলো। শৈবালগুলো ফটোসিনথেসিসের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে, অ্যালুমিনিয়াম ইলেকট্রোডের মাধ্যমে সেই বিদ্যুৎ শক্তি পৌঁছায় কম্পিউটারের মাইক্রোপ্রসেসরে। এ প্রসঙ্গে ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজের জৈবরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার হাউই বলেন, “আমাদের ফটোসিনথেসিস ডিভাইস প্রথাগত ব্যাটারির মতো একটা সময়ে অকেজো হয়ে পড়ে না কারণ এটি আলো থেকে শক্তি সঞ্চয় করে।”
বিবিসি জানিয়েছে, গবেষণায় একটি ‘এআরএম করটেক্স এমজিরো+’ মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’ ভাবনার অংশ হিসেবে বিবেচিত ডিভাইসগুলোতে বহুল ব্যবহার রয়েছে এই চিপটির। এ প্রকল্পে ইউনিভার্সিটি অফ কেমবিজের গবেষকদের সহযোগিতা করেছে মাইক্রোচিপ নকশা প্রতিষ্ঠান এআরএম। এই প্রতিষ্ঠানটিও কেমব্রিজভিত্তিক। নতুন প্রযুক্তি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈবরসায়ন বিভাগের আরেক গবেষক পাওলো বমবেলি বলেন, “আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম কয়েক সপ্তাহ পরেই এটা থেমে যাবে। কিন্তু এটা থামেনি।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জলজ উদ্ভিদের শক্তিতে চলেছে কম্পিউটার!

আপডেট সময় : ১১:৫২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : শৈবালের বা জলজ উদ্ভিদের মাধ্যমে সংগৃহিত বিদ্যুৎ শক্তিতে টানা এক বছর একটি কম্পিউটার চালিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজের বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, শৈবালের মাধ্যমে কম্পিউটারের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর ডিভাইসটি আকারে একটি ‘ডাবল এ (অঅ)’ ব্যাটারির সমান। এতে ‘সিনেকোসিস্টেস’ নামের নীলচে-সবুজ শৈবালের একটি অবিষাক্ত প্রজাতি ব্যবহার করেছেন তারা। এ প্রজাতির শৈবাল ‘প্রাকৃতিকভাবেই ফটোসিনথেসিসের মাধ্যমে সূর্য থেকে শক্তি সংগ্রহ করে’ বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষকদের বিশ্বাস, এই প্রযুক্তির “নির্ভরযোগ্য ও পুননবায়নযোগ্য উপায়ে আকারে ছোট ডিভাইসের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর সম্ভাবনা আছে।”
গবেষকরা পুরো ডিভাইসটি বানাতে সহজলভ্য, সস্তা এবং রিসাইকেল করা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। “এর মানে হল, এই প্রযুক্তির বারবার নকল করে ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’-এর অংশ হিসেবে বিপুল সংখ্যক ছোট ছোট ডিভাইস চালানো সম্ভব,” বলে দাবি করেছেন গবেষক দল। ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’ সাধারণত স্মার্টওয়াচের মতো ছোট ছোট ডিভাইসের একটি নেটওয়ার্ককে বোঝায়। অল্প বিদ্যুৎ শক্তি খরচ করে ডেটা সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিকভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডেটা শেয়ার করে ডিভাইসগুলো। শৈবালগুলো ফটোসিনথেসিসের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে, অ্যালুমিনিয়াম ইলেকট্রোডের মাধ্যমে সেই বিদ্যুৎ শক্তি পৌঁছায় কম্পিউটারের মাইক্রোপ্রসেসরে। এ প্রসঙ্গে ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজের জৈবরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার হাউই বলেন, “আমাদের ফটোসিনথেসিস ডিভাইস প্রথাগত ব্যাটারির মতো একটা সময়ে অকেজো হয়ে পড়ে না কারণ এটি আলো থেকে শক্তি সঞ্চয় করে।”
বিবিসি জানিয়েছে, গবেষণায় একটি ‘এআরএম করটেক্স এমজিরো+’ মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’ ভাবনার অংশ হিসেবে বিবেচিত ডিভাইসগুলোতে বহুল ব্যবহার রয়েছে এই চিপটির। এ প্রকল্পে ইউনিভার্সিটি অফ কেমবিজের গবেষকদের সহযোগিতা করেছে মাইক্রোচিপ নকশা প্রতিষ্ঠান এআরএম। এই প্রতিষ্ঠানটিও কেমব্রিজভিত্তিক। নতুন প্রযুক্তি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈবরসায়ন বিভাগের আরেক গবেষক পাওলো বমবেলি বলেন, “আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম কয়েক সপ্তাহ পরেই এটা থেমে যাবে। কিন্তু এটা থামেনি।”