ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

খালি পেটে কলা খাওয়ার ঝুঁকি

  • আপডেট সময় : ১১:৩১:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : সহজলভ্য কলা যখন তখন খেয়ে খিদা কমানো গেলেও খালি পেটে খেলে বাড়তে পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। যদিও কথায় বলে, ‘দিনে একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া থেকে দূরে রাখে’। তবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, মানুষ আপেল না কলাই বেশি খায়। কারণ এই ফল সহজলভ্য, খাওয়া সহজ, আর যেকোনো কিছুর সঙ্গেও মিশিয়ে খাওয়া যায়। তবে খালি পেটে খাওয়া নিরাপদ নয়।
কলার উপকারিতা : ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই বিষয়ে নিউ ইয়র্ক’য়ের পুষ্টিবিদ জেনিফার মায়েং বলেন, “কলা একটি চমৎকার খাবার। এটা সুস্বাদু এবং সাশ্রয়ী। পটাসিয়ামও বেশি থাকে যা ইলেক্ট্রোলাইটগুলোর মধ্যে একটি এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয়। যেমন পিএইচ’য়ের ভারসাম্য, দেহে পানির ভারসাম্য, রক্তচাপ, হজম এবং এমনকি পেশির সঙ্কোচন প্রসারণের জন্য উপকারী।”
খালি পেটে কি কলা খাওয়া যায়? কলা খাওয়া ভালো না খারাপ তা নির্ভর করে এর স্থায়িত্বের ওপর। মায়েং বলেন, “অল্প পাকা বা কাঁচা অবস্থায় কলাতে বেশি ‘রেজিসট্যান্ট স্টার্চ’ বা প্রতিরোধী শ্বেতসার থাকে, যা অনেকটা আঁশের মতো। কলা যত বেশি পাকে তত আঁশের পরিমাণ কমে। আর শর্করার মাত্রা বাড়ে।” তাই খালি পেটে পাকা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। যে কারণে লাগতে পারে ক্লান্ত। তাই দুপুরে খালি পেটে কিংবা শরীরচর্চার আগে কলা খেয়ে ক্লান্ত বোধ করার চেয়ে, দ্বিতীয়বার ভাবা উচিত। এমনকি সকালে খালি পেটেও কলা খাওয়া ঠিক না। মায়েং বলেন, “স্বাভাবিকভাবেই সকালে দেহ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। আর ডায়াবেটিক না হয়ে থাকলে এর ভারসাম্যতা রক্ষায় আরও বেশি ইন্সুলিন উৎপাদন করে শরীর। তাই সকালে অথবা খালি পেটে কলার মতো সরল কার্বোহাইড্রেইট ও কম আঁশ-জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়।”
এই পুষ্টিবিদের মতে, শুধু কলা নয় বরং কলা সমৃদ্ধ নাস্তা যেমন- ফলের স্মুদি, ওটমিলের সঙ্গে খাওয়া ইত্যাদিও রক্তের শর্করা ও শক্তির মাত্রায় নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
কলা খাওয়ার উত্তম উপায় : তারমানে এই নয় কলা খাওয়া যাবে না। বরং অন্যান্য খাবারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ও সঠিক সময়ে খেলে ভালো হবে। সঠিক উপায়ে কলা খাওয়া হলে তা রাতে ভালো ঘুমেও সহায়তা করে। মায়েং ব্যাখ্যা করে বলেন, “আঁশ, প্রোটিন এবং চর্বি দেহের শর্করার শোষণকে ধীর করে, রক্তে শর্করার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। অনেক সময় সরল কার্বোহাইড্রেইট জাতীয় খাবার (যেমন- কলা) খাওয়ার ফলে ইন্সুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়।” “রক্তে শর্করার নিরাপদ মাত্রা ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় দেখা দিতে পারে আরও চিনি খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।” তাই খালি পেটে বা সকালে কলা খেতে ইচ্ছে হলে বরং বাদামের মাখন বা প্রোটিনের সঙ্গে খাওয়াই হবে ভালো পন্থা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

খালি পেটে কলা খাওয়ার ঝুঁকি

আপডেট সময় : ১১:৩১:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক : সহজলভ্য কলা যখন তখন খেয়ে খিদা কমানো গেলেও খালি পেটে খেলে বাড়তে পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। যদিও কথায় বলে, ‘দিনে একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া থেকে দূরে রাখে’। তবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, মানুষ আপেল না কলাই বেশি খায়। কারণ এই ফল সহজলভ্য, খাওয়া সহজ, আর যেকোনো কিছুর সঙ্গেও মিশিয়ে খাওয়া যায়। তবে খালি পেটে খাওয়া নিরাপদ নয়।
কলার উপকারিতা : ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই বিষয়ে নিউ ইয়র্ক’য়ের পুষ্টিবিদ জেনিফার মায়েং বলেন, “কলা একটি চমৎকার খাবার। এটা সুস্বাদু এবং সাশ্রয়ী। পটাসিয়ামও বেশি থাকে যা ইলেক্ট্রোলাইটগুলোর মধ্যে একটি এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয়। যেমন পিএইচ’য়ের ভারসাম্য, দেহে পানির ভারসাম্য, রক্তচাপ, হজম এবং এমনকি পেশির সঙ্কোচন প্রসারণের জন্য উপকারী।”
খালি পেটে কি কলা খাওয়া যায়? কলা খাওয়া ভালো না খারাপ তা নির্ভর করে এর স্থায়িত্বের ওপর। মায়েং বলেন, “অল্প পাকা বা কাঁচা অবস্থায় কলাতে বেশি ‘রেজিসট্যান্ট স্টার্চ’ বা প্রতিরোধী শ্বেতসার থাকে, যা অনেকটা আঁশের মতো। কলা যত বেশি পাকে তত আঁশের পরিমাণ কমে। আর শর্করার মাত্রা বাড়ে।” তাই খালি পেটে পাকা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। যে কারণে লাগতে পারে ক্লান্ত। তাই দুপুরে খালি পেটে কিংবা শরীরচর্চার আগে কলা খেয়ে ক্লান্ত বোধ করার চেয়ে, দ্বিতীয়বার ভাবা উচিত। এমনকি সকালে খালি পেটেও কলা খাওয়া ঠিক না। মায়েং বলেন, “স্বাভাবিকভাবেই সকালে দেহ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। আর ডায়াবেটিক না হয়ে থাকলে এর ভারসাম্যতা রক্ষায় আরও বেশি ইন্সুলিন উৎপাদন করে শরীর। তাই সকালে অথবা খালি পেটে কলার মতো সরল কার্বোহাইড্রেইট ও কম আঁশ-জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়।”
এই পুষ্টিবিদের মতে, শুধু কলা নয় বরং কলা সমৃদ্ধ নাস্তা যেমন- ফলের স্মুদি, ওটমিলের সঙ্গে খাওয়া ইত্যাদিও রক্তের শর্করা ও শক্তির মাত্রায় নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
কলা খাওয়ার উত্তম উপায় : তারমানে এই নয় কলা খাওয়া যাবে না। বরং অন্যান্য খাবারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ও সঠিক সময়ে খেলে ভালো হবে। সঠিক উপায়ে কলা খাওয়া হলে তা রাতে ভালো ঘুমেও সহায়তা করে। মায়েং ব্যাখ্যা করে বলেন, “আঁশ, প্রোটিন এবং চর্বি দেহের শর্করার শোষণকে ধীর করে, রক্তে শর্করার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। অনেক সময় সরল কার্বোহাইড্রেইট জাতীয় খাবার (যেমন- কলা) খাওয়ার ফলে ইন্সুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়।” “রক্তে শর্করার নিরাপদ মাত্রা ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় দেখা দিতে পারে আরও চিনি খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।” তাই খালি পেটে বা সকালে কলা খেতে ইচ্ছে হলে বরং বাদামের মাখন বা প্রোটিনের সঙ্গে খাওয়াই হবে ভালো পন্থা।