নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সরকারের উন্নয়ন দেখে না। তারা দিনের আলোতে অন্ধকার দেখে। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জনগণ চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুনের শেষের দিকে বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। ঢাকার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি তিনি এ সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে এ বক্তব্য দেন। শহরের রাজেন্দ্র কলেজ ময়দানে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু তৈরির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আগামী নির্বাচনে দলকে সংগঠিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে হলে, আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে, দেশের অর্জনকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। সংগ্রামী, সৎ ও পরীক্ষিতদের নেতৃত্বে আনতে হবে। যারা নৌকার বিরোধিতা করেছে তাদেরকে কোনোভাবেই নতুন কমিটিতে রাখা যাবে না। সেতুমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুরে অনেক রক্তপাত হয়েছে। আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। এর পুনরাবৃত্তি যেন আর না হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুর রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, ইকবাল হোসেন অপু, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। প্রধান বক্তা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাছির হোসেন, এ কে আজাদ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদারসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা। সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন সৈয়দ মাসুদ হোসেন। সম্মেলনে জেলা, নয় উপজেলা, ছয়টি পৌরসভা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মী যোগ দেন। সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।