ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নের স্বপ্নযাত্রায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ময়মনসিংহের ত্রিশালের নামাপাড়া গ্রামের যে বট গাছের নিচে কবি নজরুল বাঁশি বাজাতেন, সেই বটতলার কাছেই ২০০৬ খ্রিস্টাব্দের ৯ মে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। আজ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পূর্ণ হলো, পদার্পণ করলো ১৭তম বছরে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের রূপকল্প নিয়ে কাজ করছে। শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন-এই তিন উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।
মাত্র ১৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। বর্তমানে ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫৭ একর। এখন ৬টি অনুষদের অধীনে ২৪টি বিভাগ আছে। নজরুল গবেষণাকে নতুনমাত্রা দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ। নজরুল প্রাঙ্গণ মুখর থাকে ৮ হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থীর পদচারণায়। এখানে ২০৫ জন শিক্ষক, ১৩৯ জন কর্মকর্তা, ১৯৪ জন কর্মচারী বর্তমানে কর্মরত আছেন।
শিক্ষার্থীদের আবাসনে রয়েছে ৪টি আবাসিক হল। এগুলো হলো- অগ্নি-বীণা হল, দোলন-চাঁপা হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। প্রায় ৩ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী হলগুলোতে অবস্থান করতে পারেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসনের জন্য রয়েছে ৪টি ভবন ও একটি ডরমিটরি। স্থাপিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য।
শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য বিশ্বের বেশ ক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ২০১৮ সালের জুনে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ইরানের ফেরদৌসী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি অন্যতম। এ ছাড়াও, ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে নজরুলকে নিয়ে নির্মোহ গবেষণার উদ্দেশ্যে গবেষণা পত্রিকা প্রকাশ করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বর্তমান সময়ে ক্যাম্পাসে চলছে উন্নয়নের সুবিশাল কর্মকা-। একদিকে যেমন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে অন্যদিকে চলছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবন, মসজিদ, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), সম্প্রসারিত মেডিক্যাল সেন্টার নির্মাণের কাজ। ক্যাম্পাসের সুরক্ষার জন্য সীমানাপ্রাচীর যেমন নির্মাণ করা হচ্ছে, তেমনি শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে আয়োজন করা হচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনার। সেশনজট মুক্ত করতে ও একাডেমিক কার্যক্রমে গতি ফেরাতে শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হয়ছে।
৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রাক্কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রতিষ্ঠাদিবসের শুভেচ্ছা জানান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যুক্ত ছিলেন সবার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ অন্যদের প্রতিও।
উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিলক্ষ্য হচ্ছে সাংস্কৃতিক শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ক পঠন-পাঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটানো। দেশের আধুনিক ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দ্বারা জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখা।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ একর আয়তন নিয়ে শুরু এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালের ৯ মে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ৩ জুন উদ্বোধন করা হয়। পরের বছর ৩ জুন শুরু হয় শ্রেণিকক্ষে প্রথম পাঠদান। প্রতিষ্ঠাকালীন অনুষদ ২টি ও বিভাগ ছিল ৪টি। এর মধ্যে কলা অনুষদের বিভাগ ছিল-বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ ও সংগীত বিভাগ। বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের অধীনে ছিল কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। উদ্বোধনী ব্যাচে মাত্র ১৮৫ জন শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আয়োজন
১৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে এবার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে করা হচ্ছে আলোকসজ্জা। আয়োজনের প্রথম পর্ব সোমবার (৯ মে) ও দ্বিতীয় পর্ব বুধবার (১১ মে) অনুষ্ঠিত হবে। ১১ মে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন। তার আগমনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী এসময় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) এর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মো. রুহুল আমীন মাদানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. কাউসার আহাম্মদ।
লেখক: শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নের স্বপ্নযাত্রায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট সময় : ০৯:৩১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ময়মনসিংহের ত্রিশালের নামাপাড়া গ্রামের যে বট গাছের নিচে কবি নজরুল বাঁশি বাজাতেন, সেই বটতলার কাছেই ২০০৬ খ্রিস্টাব্দের ৯ মে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। আজ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পূর্ণ হলো, পদার্পণ করলো ১৭তম বছরে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের রূপকল্প নিয়ে কাজ করছে। শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন-এই তিন উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।
মাত্র ১৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। বর্তমানে ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫৭ একর। এখন ৬টি অনুষদের অধীনে ২৪টি বিভাগ আছে। নজরুল গবেষণাকে নতুনমাত্রা দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ। নজরুল প্রাঙ্গণ মুখর থাকে ৮ হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থীর পদচারণায়। এখানে ২০৫ জন শিক্ষক, ১৩৯ জন কর্মকর্তা, ১৯৪ জন কর্মচারী বর্তমানে কর্মরত আছেন।
শিক্ষার্থীদের আবাসনে রয়েছে ৪টি আবাসিক হল। এগুলো হলো- অগ্নি-বীণা হল, দোলন-চাঁপা হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। প্রায় ৩ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী হলগুলোতে অবস্থান করতে পারেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসনের জন্য রয়েছে ৪টি ভবন ও একটি ডরমিটরি। স্থাপিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য।
শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য বিশ্বের বেশ ক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ২০১৮ সালের জুনে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ইরানের ফেরদৌসী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি অন্যতম। এ ছাড়াও, ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে নজরুলকে নিয়ে নির্মোহ গবেষণার উদ্দেশ্যে গবেষণা পত্রিকা প্রকাশ করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বর্তমান সময়ে ক্যাম্পাসে চলছে উন্নয়নের সুবিশাল কর্মকা-। একদিকে যেমন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে অন্যদিকে চলছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবন, মসজিদ, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), সম্প্রসারিত মেডিক্যাল সেন্টার নির্মাণের কাজ। ক্যাম্পাসের সুরক্ষার জন্য সীমানাপ্রাচীর যেমন নির্মাণ করা হচ্ছে, তেমনি শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে আয়োজন করা হচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনার। সেশনজট মুক্ত করতে ও একাডেমিক কার্যক্রমে গতি ফেরাতে শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হয়ছে।
৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রাক্কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রতিষ্ঠাদিবসের শুভেচ্ছা জানান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যুক্ত ছিলেন সবার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ অন্যদের প্রতিও।
উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিলক্ষ্য হচ্ছে সাংস্কৃতিক শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ক পঠন-পাঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটানো। দেশের আধুনিক ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দ্বারা জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখা।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ একর আয়তন নিয়ে শুরু এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালের ৯ মে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ৩ জুন উদ্বোধন করা হয়। পরের বছর ৩ জুন শুরু হয় শ্রেণিকক্ষে প্রথম পাঠদান। প্রতিষ্ঠাকালীন অনুষদ ২টি ও বিভাগ ছিল ৪টি। এর মধ্যে কলা অনুষদের বিভাগ ছিল-বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ ও সংগীত বিভাগ। বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের অধীনে ছিল কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। উদ্বোধনী ব্যাচে মাত্র ১৮৫ জন শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আয়োজন
১৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে এবার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে করা হচ্ছে আলোকসজ্জা। আয়োজনের প্রথম পর্ব সোমবার (৯ মে) ও দ্বিতীয় পর্ব বুধবার (১১ মে) অনুষ্ঠিত হবে। ১১ মে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন। তার আগমনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী এসময় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) এর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মো. রুহুল আমীন মাদানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. কাউসার আহাম্মদ।
লেখক: শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।