ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

ভারতীয় পাটের বাজার আবারও খুলছে

  • আপডেট সময় : ১২:৪২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশি পাটের অন্যতম বড় বাজার ছিল প্রতিবেশী ভারত। একসময় দেশটিতে শুল্কমুক্ত পাট রপ্তানির সুবিধা পেতো বাংলাদেশ। কিন্তু স্থানীয় পাটচাষিদের স্বার্থ বিবেচনায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশি পাট আমদানিতে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করে ভারত সরকার। ফলে ভারতীয় বাজারে বেড়ে যায় বাংলাদেশি পাটের দাম। শুরু থেকেই এ শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ। এতদিনে সেই দাবি পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ভারতের পাটকলমালিকদের সংগঠন আইজেএমএ সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানিতে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক থাকবে কি না, তা বিবেচনা করছে ভারত সরকার। তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাটচাষিদের ভর্তুকি দেওয়া নিয়ে আপত্তি রয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কোনো পণ্যের দেশীয় বাজারে যে দাম, তার চেয়ে কম দামে যদি সেটি বিদেশ থেকে আমদানি হয়, তাহলে দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে পণ্যটির ওপর যে শুল্ক আরোপ করা হয়, তার নাম অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশি পাটের ওপর এই শুল্ক আরোপ করেছিল ভারত। শুক্রবার (৬ মে) আইজেএমএ’র উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাট রপ্তানি বেড়েছে। গত ৫ মে এক বিবৃতিতে ভারতীয় পাটকলমালিকরা দাবি করেছেন, বাংলাদেশি পাটে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ না করলে এতদিনে ভারতীয় পাটশিল্প পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতো।

আইজেএমএ’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নতুন ও উদ্ভাবনী পণ্য এবং নতুন বাজার বিকাশের জন্য ভারতীয় পাটশিল্পকে বাংলাদেশের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেওয়ার সম্ভাব্য প্রভাবগুলো মূল্যায়ন করছে বলে মনে হচ্ছে। তবে এদিকের সব প্রচেষ্টা বাংলাদেশি উৎপাদকদের প্রচুর ভর্তুকি দেওয়ার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর খরচে তাদের নিজস্ব পাটের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দেখতে বদ্ধপরিকর।
ভারতীয় পাটকলমালিকদের সংগঠনটি আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরেই সুতা, চটের বস্তা ও চট রপ্তানিতে নগদ ভর্তুকি বাড়িয়েছে। আইজেএমএ’র এই বিবৃতি এমন সময়ে এলো যখন পাটপণ্যের তীব্র ঘাটতিতে ভুগছে ভারত। গত কয়েক মাসে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই এক ডজনের বেশি পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন অন্তত ৬০ হাজার শ্রমিক। এই সংকট কাটাতে প্রতি কুইন্টাল (১০০ কেজি) কাঁচা পাটের দাম সাড়ে ছয় হাজার রুপির বিষয়টি সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় পাটকলমালিকরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সুন্দরবনে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর অস্ত্র সরবরাহকারীকে আটক

ভারতীয় পাটের বাজার আবারও খুলছে

আপডেট সময় : ১২:৪২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশি পাটের অন্যতম বড় বাজার ছিল প্রতিবেশী ভারত। একসময় দেশটিতে শুল্কমুক্ত পাট রপ্তানির সুবিধা পেতো বাংলাদেশ। কিন্তু স্থানীয় পাটচাষিদের স্বার্থ বিবেচনায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশি পাট আমদানিতে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করে ভারত সরকার। ফলে ভারতীয় বাজারে বেড়ে যায় বাংলাদেশি পাটের দাম। শুরু থেকেই এ শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ। এতদিনে সেই দাবি পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ভারতের পাটকলমালিকদের সংগঠন আইজেএমএ সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানিতে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক থাকবে কি না, তা বিবেচনা করছে ভারত সরকার। তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাটচাষিদের ভর্তুকি দেওয়া নিয়ে আপত্তি রয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কোনো পণ্যের দেশীয় বাজারে যে দাম, তার চেয়ে কম দামে যদি সেটি বিদেশ থেকে আমদানি হয়, তাহলে দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে পণ্যটির ওপর যে শুল্ক আরোপ করা হয়, তার নাম অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশি পাটের ওপর এই শুল্ক আরোপ করেছিল ভারত। শুক্রবার (৬ মে) আইজেএমএ’র উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাট রপ্তানি বেড়েছে। গত ৫ মে এক বিবৃতিতে ভারতীয় পাটকলমালিকরা দাবি করেছেন, বাংলাদেশি পাটে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ না করলে এতদিনে ভারতীয় পাটশিল্প পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতো।

আইজেএমএ’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নতুন ও উদ্ভাবনী পণ্য এবং নতুন বাজার বিকাশের জন্য ভারতীয় পাটশিল্পকে বাংলাদেশের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেওয়ার সম্ভাব্য প্রভাবগুলো মূল্যায়ন করছে বলে মনে হচ্ছে। তবে এদিকের সব প্রচেষ্টা বাংলাদেশি উৎপাদকদের প্রচুর ভর্তুকি দেওয়ার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর খরচে তাদের নিজস্ব পাটের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দেখতে বদ্ধপরিকর।
ভারতীয় পাটকলমালিকদের সংগঠনটি আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরেই সুতা, চটের বস্তা ও চট রপ্তানিতে নগদ ভর্তুকি বাড়িয়েছে। আইজেএমএ’র এই বিবৃতি এমন সময়ে এলো যখন পাটপণ্যের তীব্র ঘাটতিতে ভুগছে ভারত। গত কয়েক মাসে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই এক ডজনের বেশি পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন অন্তত ৬০ হাজার শ্রমিক। এই সংকট কাটাতে প্রতি কুইন্টাল (১০০ কেজি) কাঁচা পাটের দাম সাড়ে ছয় হাজার রুপির বিষয়টি সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় পাটকলমালিকরা।