ঢাকা ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে এপ্রিলে

  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২০০ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার, যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২০২০-২১ অর্থবছরের মে মাসে ২১৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এপ্রিলে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৫ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬১ কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার।
আলোচ্য সময়ে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৪২ কোটি ৯৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এর পরেই ডাচ–বাংলা ব্যাংকের অবস্থান। এ ব্যাংকের মাধ্যমে ২৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া, অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ৫৭ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৮ লাখ ও ব্যাংক এশিয়ায় মাধ্যমে ৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বাড়ে। রমজান মাস ও ঈদে দেশে নগদ টাকার চাহিদা ছিল বেশি। নগদ টাকার যোগান দিতেই প্রবাসীরা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
তারা আরও জানান, আগে প্রবাসীদের বৈধ পথে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা ছিল ২ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা পাঠালে ২ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হতো। চলতি বছরের শুরুতে এ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। এতে তারা ১০০ টাকা পাঠালে প্রণোদনা পান ২ টাকা ৫০ পয়সা। ফলে, প্রবাসীরা বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে উৎসাহ পাচ্ছেন।
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের মধ্যে জুলাইয়ে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার, আগস্টে ১৮১ কোটি, সেপ্টেম্বর মাসে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ, নভেম্বর ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ, ডিসেম্বরে ১৬২ কোটি ৯০ লাখ, জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ এবং মার্চে ১৮৫ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে এপ্রিলে

আপডেট সময় : ০৯:১৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২০০ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার, যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২০২০-২১ অর্থবছরের মে মাসে ২১৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এপ্রিলে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৫ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬১ কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার।
আলোচ্য সময়ে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৪২ কোটি ৯৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এর পরেই ডাচ–বাংলা ব্যাংকের অবস্থান। এ ব্যাংকের মাধ্যমে ২৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া, অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ৫৭ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৮ লাখ ও ব্যাংক এশিয়ায় মাধ্যমে ৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বাড়ে। রমজান মাস ও ঈদে দেশে নগদ টাকার চাহিদা ছিল বেশি। নগদ টাকার যোগান দিতেই প্রবাসীরা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
তারা আরও জানান, আগে প্রবাসীদের বৈধ পথে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা ছিল ২ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা পাঠালে ২ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হতো। চলতি বছরের শুরুতে এ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। এতে তারা ১০০ টাকা পাঠালে প্রণোদনা পান ২ টাকা ৫০ পয়সা। ফলে, প্রবাসীরা বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে উৎসাহ পাচ্ছেন।
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের মধ্যে জুলাইয়ে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার, আগস্টে ১৮১ কোটি, সেপ্টেম্বর মাসে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ, নভেম্বর ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ, ডিসেম্বরে ১৬২ কোটি ৯০ লাখ, জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ এবং মার্চে ১৮৫ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।